1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভালোবাসা দিবসে কি মোদীর সায় আছে?

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ধর্ম সংক্রান্ত বিতর্কিত কোনো বিষয় সামনে এলেই নরেন্দ্র মোদী নীরব হয়ে যান৷ হিন্দু মহাসভা ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষ্যে প্রেমিক-যুগল দেখলেই জোর করে বিয়ে দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছে, সে বিষয়েও মুখ খোলেননি তিনি৷

https://p.dw.com/p/1EaD7
Narendra Modi Rede in Sydey 17.11.2014
ছবি: Reuters/R. Stevens

ভারতের বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশকে আরও উন্নত ও আধুনিক করে তোলার স্বপ্নের কথা বলেন৷ অথচ তাঁর নিজের ‘সংঘ পরিবার' ও সমমনা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি একের পর এক ফতোয়া জারি করে চলেছে৷ তাদের বক্তব্যের মূল সুর একই৷ তারা গোটা দেশের উপর নিজেদের হিন্দুত্বের আদর্শ চাপিয়ে দিতে চায়৷ অ-হিন্দুদের অধিকার নিয়ে তাদের বিশেষ মাথাব্যথা নেই৷ উলটে ধর্মান্তকরণ করে তাদের আবার হিন্দুধর্মের ছত্রছায়ায় নিয়ে আসতে চায় তারা৷

শুধু অ-হিন্দু নয়, যাঁরা জন্মসূত্রে হিন্দু হয়েও সংকীর্ণ হিন্দুত্ববাদী ভাবধারার নাগালের বাইরে, তাঁদেরকেও শিক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর এই সব সংগঠন৷ সম্প্রতি জোর করে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে' বানচাল করার অঙ্গীকার করেছে ‘হিন্দু মহাসভা' নামের এক সংগঠন৷ এ দিন কোনো প্রেমিক-প্রেমিকাকে হাতেনাতে ধরতে পারলে তাদের জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা৷ এ প্রসঙ্গে ঈদ মহম্মদ তাঁর টুইট-এ লিখেছেন:

তবে সেই হুমকি জারির পর দিল্লির নির্বাচনে বিজেপি দলের ভরাডুবি ঘটেছে৷ বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ এই ফলাফল থেকে হিন্দুত্ববাদীদের শিক্ষা নেবার ডাক দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, হিন্দুরা আসলে উদারপন্থি ভাবধারার প্রতিমূর্তি৷ ‘‘আমরা ‘লাভ জিহাদ', ‘ঘর ওয়াপসি' বা ভ্যালেন্টাইনস ডে-র বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি৷''

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা চতুর্বেদী এ প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষ বিজেপি সম্পর্কে শ্লেষ প্রকাশ করে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন৷ তাঁর মতে, হিন্দু মহাসভার জানা উচিত, তাদের সহযোগী বিজেপি দলের সাংসদরা কী ভাবে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করার পরিকল্পনা করছেন৷ অভিনেত্রী হেমা মালিনী ও বাংলা গায়ক বাবুল সুপ্রিয় এদিন যুগলবন্দি গান গাইবেন বলে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে৷

শুধু ভ্যালেন্টাইনস ডে নয়, হিন্দুদের ‘করণীয়' তালিকাও তৈরি করছে হিন্দুত্ববাদীরা৷ যেমন হিন্দু নারীদের অনেক সন্তান ধারণ করা উচিত – এমন বিধান জারি করছেন অনেক স্বঘোষিত ধর্মীয় নেতা৷ তাদের কটাক্ষ করে ‘হিউম্যান রাইটস ডিএইচআর' নামে এক সংগঠন টুইট করে লিখেছে, বিজেপি নেতারা কি মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া' কনসেপ্ট ভুল বুঝেছে?

এর আগে মোদীর নীরবতা নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছিলো নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রে৷ তাতে ভারতে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার সম্পর্কে অনেক অপ্রিয় প্রশ্ন তলো হয়েছে৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য