1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাগ্যবান খেলোয়াড় আরিয়েন রবেন

১ জুন ২০১০

পেশাদার ক্যারিয়ারের আট বছরে পাঁচটি লিগ শিরোপা জিতেছেন, এই হিসেবে নেদারল্যান্ডসের তারকা আরিয়েন রবেন’কে ভাগ্যবান খেলোয়াড় বলা চলে৷ এবার তাঁর নিজ দেশের পক্ষে কতটুকু ভাগ্য নিয়ে আসতে পারেন সেদিকে তাকিয়ে আছে ডাচ সমর্থকরা৷

https://p.dw.com/p/Net5
ছবি: AP

বিশ্বকাপ ফুটবলের যে কয়টি দেশ চ্যাম্পিয়ন না হওয়া সত্বেও বরাবরই ফেভারিটদের মধ্যে থাকে তার মধ্যে নেদারল্যান্ডস অন্যতম৷ রুড গুলিট, ফান বাস্টেনের দেশ এর আগে দুইবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেও বিশ্বকাপের নাগাল পায়নি৷ এবার দেশটির সাফল্যের জন্য যার ওপর সবচেয়ে বেশী আশা ভক্তদের তিনি হচ্ছেন আরিয়েন রবেন৷ ২৪ বছর বয়স্ক এই ডাচ স্ট্রাইকার চলতি বছরে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন৷ জার্মান বুন্ডেসলিগার শীর্ষ দল বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলেছেন রবেন৷ এই মৌসুমে তিনি ২৩টি গোল করেছেন৷

জন্ম ও ক্লাব ক্যারিয়ার

নেদারল্যান্ডস এর বেদুমে ১৯৮৪ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আরিয়েন রবেন৷ ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় ফুটবলার হওয়ার৷ তাই মাত্র ১৫ বছর বয়সে ডাচ ক্লাব গ্রনিংগেন এর জুনিয়র দলে যোগ দেন তিনি৷ এক বছর পরে তিনি দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজের জায়গা করে নেন৷ তাই তাঁর ওপর নজর পড়ে ডাচ লিগের বড় দল পিএসভি-র৷ দুই বছরের মধ্যে সেখানেও দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে সকলের নজর কাড়েন তিনি৷ নির্বাচিত হন বছরের সেরা তরুণ ফুটবলার হিসেবে৷ এরপর তাঁর ডাক পড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট ক্লাব চেলসি'তে৷ দেশ ছেড়ে এবার বিদেশে পা বাড়ান রবেন৷ যদিও চেলসি লিগ শিরোপা নিয়েছিল সেবার, কিন্তু রবেন ইনজুরির কারণে তেমন কিছু করতে পারেননি৷ তিন বছর ছিলেন চেলসিতে, কিন্তু ইনজুরির কারণেই অনেক সময় নষ্ট হয় তার৷ ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে তাকে ৩৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে চেলসির কাছ থেকে কিনে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ৷ সেখানে ছিলেন গত বছর পর্যন্ত৷ এরপর ২৫ মিলিয়ন ডলারের ট্রান্সফার ফি-র বিনিময়ে তিনি পাড়ি দেন জার্মানির বুন্ডেসলিগায়৷ এবার দল বায়ার্ন মিউনিখ৷

Champions League FC Bayern gegen Olympique Lyon Flash-Galerie
জার্মান বুন্ডেসলিগার শীর্ষ দল বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলেছেন রবেনছবি: AP

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে মোট ৪২টি ম্যাচ খেলেছেন আরিয়েন রবেন৷ গোল করেছেন ১১টি৷ ২০০৪ সালের ইউরো কাপের মাধ্যমে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার৷ ক্লাব ফুটবলে যতটা সাফল্য পেয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কিন্তু ততটা সাফল্য আসেনি৷ ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে দলে ছিলেন তিনি, ছয়টি ম্যাচে গোল করেন মাত্র দুটি৷ এরপর দুই বছর আগে ইউরো কাপেও দলে ছিলেন তিনি৷

পজিশন

মূলত স্ট্রাইকার হলেও রবেন একেবারে সামনে খেলেন না৷ তিনি একটু পেছনে উইংগার হিসেবে খেলে থাকেন৷ ২০০৮ সালের ইউরো কাপে তাকে ফরোয়ার্ডদের চেয়ে একটু পেছনে খেলতে হয়েছে৷ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিতে সক্ষম ছয় ফুট লম্বা এই স্ট্রাইকার৷ বিশেষ করে ডি বক্সের ভেতর তাঁর ক্রসগুলো বেশ নিখুঁত যা প্রতিপক্ষের মধ্যে ভয় ধরিয়ে দেয়৷ তবে গোল করার চেয়ে গোল বানানোর ক্ষেত্রে তাঁর পারঙ্গমতা বেশি৷ এই মুহূর্তে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০ নম্বর জার্সিটি পরেই খেলছেন রবেন৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ