1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বজুড়ে অ্যামনেস্টির ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

২৮ মে ২০১১

শনিবার মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পালন করছে তার ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী৷ পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে মহা সমারোহে পালন করা হচ্ছে দিনটি৷ বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবসময়ই সোচ্চার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

https://p.dw.com/p/11PdO
Logo Amnesty International 2002

১৯৬১ সালের ২৮শে মে লন্ডনে পিটার বেনেনসন স্থাপন করেন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল৷ পেশায় তিনি ছিলেন আইনজীবী৷ কিন্তু শুরু হয়েছিল কীভাবে?

১৯৬১ সাল, পর্তুগাল তখনো একনায়ক আন্তোনিও দো অলিভিয়েরা সালাজারের অধীনে৷ লিসবনের একটি বারে বসে দুই পর্তুগিজ তরুণ ‘স্বাধীনতা' কথাটা উচ্চারণ করে তুলে ধরেছিল পানপাত্র৷ সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাদের কথা ছাপানো হয় পত্রিকায়৷

এই দুই তরুণের মুক্তির দাবি জানিয়ে পিটার বেনেনসন শুরু করেন অ্যামনেস্টির কাজ৷ চলে প্রচারাভিযান, নাম অ্যামনেস্টির আবেদন৷ শুরু হয় পথচলা৷ তিনি নিজে ‘দ্যা অবজারভার, উইকএন্ড রিভিউ'-তে দুই তরুণের মুক্তির দাবিতে একটি লেখা ছাপেন৷ শিরোনাম দেন ‘ভুলে যাওয়া বন্দীদের কথা' লিখে৷

আজ আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে৷ অত্যাচার এবং অনাচারের প্রতিবাদে সবাইকে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

বর্তমানে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পাশে দাঁড়িয়েছে পৃথিবীর ১৫০টি দেশ৷ রয়েছে ৩০ লক্ষেরও বেশি সমর্থক এবং কর্মী৷ এর মধ্যে প্রায় ৬২টি দেশে বেশ ঘটা করেই পালন করা হবে এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী৷

অ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনালের মহাসচিব সলিল শেঠি বেশ গর্বের সঙ্গে জানান, পঞ্চাশ বছর ধরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অন্যায়-অনাচার রোধ করতে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে লড়ে যাচ্ছে৷ এই সংস্থাটি দেখিয়েছে যে পরিবর্তন আনা সম্ভব এবং তা শুধুমাত্র মানুষই আনতে পারে৷ তবে তার জন্য চাই একাত্মতা, সহমর্মিতা, আত্মবিশ্বাস এবং অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা৷ তাহলেই কোন সীমানা আর সীমানা মনে হবে না, যে কোন বাধা সরে যাবে দুর থেকে দূরান্তে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য