1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এলো বিশ্ব ‘কিন্ডারগার্টেন’

সাবিনে ডামাশকে/আরবি৩১ আগস্ট ২০১৪

জার্মানির কিন্ডারগার্টেনগুলিতে আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না৷ এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ মাত্র এক তৃতীয়াংশ কিন্ডারগার্টেন নাকি অন্যান্য সংস্কৃতি থেকে আসা বাচ্চাদের চাহিদা নিয়ে মাথা ঘামায়৷

https://p.dw.com/p/1D41H
Interkulturelle Elternbildung in deutschen Kitas
ছবি: DW/L. Heller

জার্মানিতে পাঁচ বছরের নীচে প্রতি তিনজন শিশুর একজন এসেছে অভিবাসী পরিবার থেকে৷ বার্লিনের একটি শহরাংশ বার্লিনার ভেডিং-এ প্রায় অর্ধেক বাসিন্দাই বিদেশি বংশোদ্ভূত৷ ৯৮ শতাংশ বাচ্চা অভিবাসীর সন্তান বা নাতি-নাতনি৷ বেশিরভাগই তুরস্ক ও আরব দেশগুলি থেকে আসা৷ ‘‘অনেক ভুল বোঝাবুঝিও হয় এখানে'', বলেন বার্লিনার ভেডিং-এর ভাটস্ট্রেসে কিন্ডারগার্টেনের প্রধান এফা লিবকে৷ ‘‘অনেক মা-বাবা নানা রকম ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খান৷ অনেকে কিন্ডারগার্টেনের বিজ্ঞপ্তি বুঝতে না পেরে অসুবিধায় পড়ে যান৷''

সমস্যা হয়

অন্যদিকে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষিকারাও ‘পেরেন্টস-ডে'-র আলাপ-আলোচনায় এসে সমস্যায় পড়েন৷ কেননা খুব কম মা-বাবাই প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনায় যোগ দেন৷ এর ফলে বাচ্চাদের মঙ্গলের জন্য সহযোগিতামূলক কাজকর্মের পরিবেশ গড়ে উঠতে পারে না৷

শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মোহিনি লোখান্ডে জার্মান কিন্ডারগার্টেনে আন্তঃসাংস্কৃতিক পরিবেশের ব্যাপারে গবেষণা করেছেন৷ ফলাফল: মাত্র এক তৃতীয়াংশ কিন্ডারগার্টেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশ থেকে আসা বাচ্চাদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করে থাকে৷ শিক্ষক/ শিক্ষিকা ও কর্মীদের আন্তঃসাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জ্ঞানের অভাব রয়েছে৷ এছাড়া মা-বাবাদের কিন্ডারগার্টেনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার সুযোগ থাকে কম৷

একটি ব্যতিক্রম

ভাটস্ট্রাসের কিন্ডারগার্টেনটি এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম৷ বির্গ্যুল ডোগান কিন্ডারগার্টেনের রঙচংয়ে ভবনে তাঁর ছোট্ট মেয়েটির কাছ থেকে বিদায় নেন৷ টুকটাক কথা বলেন শিক্ষিকা বারবারা ব্যার্গারের সঙ্গে৷ ‘‘আমরা আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষিকার সঙ্গে সব বিষয়ে কথাবার্তা বলতে পারি৷'' বলেন এই চটপটে তরুণী মা৷ ভেডিং-এ বড় হয়েছেন তিনি৷

ভাষাগত সমস্যা হলে দোভাষী হিসাবে বির্গ্যুলের মতো জার্মানিতে বড় হয়ে ওঠা মা-বাবার ডাক পড়ে৷ কিছুদিন আগে একটি বাচ্চা ছেলে নতুন গ্রুপে অস্বস্তি বোধ করছিল, তার মায়ের সাথে কথা বলার জন্য বির্গ্যুল ডোগানের সাহায্য চাওয়া হয়৷ এই রকম ঘটনা ঘটে প্রায়ই৷

মা-বাবারা দাপ্তরিক বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তাদের বিশ্বস্ত দোভাষী সাথে নিয়ে আসতে পারেন৷ এই কিন্ডারগার্টেনটিতে আন্তঃসাংস্কৃতিক পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়৷

রোজার কারণে কোনো অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে৷ বড়দিনের মতো ঈদের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয় কিন্ডারগার্টেনে৷ শিক্ষিকারা জানেন, হিজাব মানেই পরনির্ভরতা নয়৷ তুর্কি, আরব বা জার্মান, সব জাতি গোষ্ঠীতেই ভালো-মন্দ রয়েছে৷ বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়৷ ‘‘তাই কোনো মাকে যদি আমরা জার্মান কোর্স করতে বলি, তিনি তা নির্দেশ বলে মনে করেন না৷ অনেকে তো উদ্দীপিত বোধ করেন৷'' বলেন এভা লিবকে৷

প্রয়োজন সহযোগিতামূলক কর্মর্সূচি

মা-বাবা ও শিক্ষিকারা সহযোগিতামূলক কাজকর্ম করতে পারলে বাচ্চারাই তো লাভবান হয়৷ ব্রিটেনে এই ধরনের কর্মসূচিতে সুফল দেখা গিয়েছে৷ জার্মানির ১৪টি রাজ্য একত্রে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষিক শিক্ষিকার প্রশিক্ষণে একটি পাঠ্যসূচি গ্রহণ করার ব্যাপারে একমত হন৷ যার কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ‘কিন্ডারগার্টেন মা-বাবা ও সহযোগিতা'৷ কিন্তু কিন্ডারগার্টেনের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে শিক্ষিকদের ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়, বাচ্চাদের পাশাপাশি মা-বাবার বিশেষ চাহিদার দিকে নজর দেওয়ার সময়ই থাকে না৷

বাচ্চাদের মঙ্গলের জন্য মা-বাবার আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রয়োজন৷ আর এ জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন অভিবাসী সংগঠন, পরামর্শ কেন্দ্র ও স্থানীয় উদ্যোগের মধ্যে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি৷ বলেন শিক্ষা গবেষক মোহিনি লোখান্ডে৷ এই সংগঠনগুলি মা-বাবার আস্থা গড়ে তুলতে কিন্ডারগার্টেনগুলিকে সহায়তা করতে পারে৷ কিংবা মা-বাবাদের জন্য পরামর্শ ও কোর্সের আয়োজন করতে পারে৷ রাস্তার উল্টো দিকে অবস্থিত পারিবারিক কেন্দ্রটি না থাকলে ভাটস্ট্রাসের কিন্ডারগার্টেনটির পক্ষে অনেক কাজ করাই কঠিন হয়ে পড়তো৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য