1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমা আইন সংশোধন বিল অনুমোদিত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৫ জুলাই ২০১৪

ভারতের আর্থিক স্বাস্থ্য চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বিমা আইন সংশোধন বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে মোদী মন্ত্রিসভা৷ এতে বিমা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বর্তমানের ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশ করা সম্ভব হবে৷

https://p.dw.com/p/1CiRn
Indien Delhi Budget Eisenbahn ACHTUNG SCHLECHTE QUALITÄT
ছবি: Uni

দেশে আর্থিক সংস্কারের বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিমা এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বর্তমানের ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের ২০১৪-২০১৫ সালের প্রথম বাজেট প্রস্তাবে৷ দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রথম ধাপ হিসেবে বিমা আইন সংশোধন বিলটিতে ছাড়পত্র দেয় মোদী মন্ত্রিসভা গত বৃহস্পতিবার৷ বিলটি এবার পেশ করা হবে সংসদের চলতি অধিবেশনেই৷ মোদী সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রশ্নাতীত থাকায় ধরে নেয়া যেতে পারে বিলটি সহজেই পাশ হয়ে যাবে৷

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিমা ব্যবসা যেহেতু মূলধন-নির্ভর, তাই ভারতের বিমা শিল্প লগ্নির অভাবে ক্রমশই রুগ্ন হয়ে পড়ছিল৷ এর ফলে সেটা অনেকাংশে দূর হবে৷ বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বাড়লে বিমার বাজারে ঢুকবে দীর্ঘ মেয়াদে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা৷ স্বল্প মেয়াদে ২০ হাজার কোটি টাকা৷ এর ফলে বিমা ক্ষেত্রের বিভিন্ন শাখা সম্প্রসারিত হবে মজবুত হবে বিমা ব্যবসার পরিকাঠামো৷ প্রতিযোগিতার আবহে উন্নত হবে বিমা পরিষেবা৷

বিলে বলা হয়, বিমা কোম্পানিগুলির পরিচালনভার থাকবে শুধু ভারতীয় বিমা কোম্পানিগুলির হাতে৷ ২৬ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের অনুমতি দরকার হবে না, কিন্তু ৪৯ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তা দরকার হবে৷ বর্তমানে ভারতীয় বিমা কোম্পানিগুলির সংখ্যা ২৪টি৷ তার মধ্যে ১৭টি গত বছর লাভের মুখ দেখেছে৷

ভারতে বিমা কোম্পানিগুলির আওতায় আছে বিমা ব্যবসার মাত্র ৩.২ শতাংশ৷ বিদেশি বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বাড়লে আরো বেশি কোম্পানি আসবে৷ তাতে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ৷ বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে পেনসন ক্ষেত্রেও তার সুফল পাওয়ার আশা আছে৷ মনমোহন সিং-এর কংগ্রেস-জোট সরকারের আমলে ২০০৮ সাল থেকেই এই পরিবর্তন হবার কথা ছিল৷ কিন্তু তা আটকে ছিল বিজেপির বিরোধিতায়৷ উল্লেখ্য, বিমা ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের দরজা প্রথম খুলে দেয়া হয় ২০০০ সালে বিমা নিয়ন্ত্রক ও বিকাশ কর্তৃপক্ষ আইন আইআরডিএ পাশ হবার পর৷ তার আগে পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা নিগম ছিল একচেটিয়া সংস্থা৷

পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতেও প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে৷ অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির কথায়, ‘‘এখন বিশ্বে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ ভারত৷ এ ক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদন রয়েছে প্রাথমিক স্তরে৷ প্রচুর বিদেশি মুদ্রা খরচ করে বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সাজ সরঞ্জাম কিনতে হয়৷‘‘ তবে দেখতে হবে জাতীয় নিরাপত্তার ওপর যেন তার বিরূপ প্রভাব না পড়ে৷ আর প্রতিরক্ষার কোন কোন ক্ষেত্রে এফডিআই আসতে দেয়া হবে, সেটাও স্পষ্ট করতে হবে৷ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে যেন আধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের সংস্থান রাখা হয়৷ উল্লেখ্য, ভারতে সুপারসনিক হালকা জঙ্গি বিমান ‘‘তেজস ‘‘ তৈরির চেষ্টা করা হয় দেশীয় কাবেরি ইঞ্জিন দিয়ে, কিন্তু তা সফল হয়নি৷ কাজেই বিদেশি বিনিয়োগের সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি জরুরি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য