বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাণ্ডের তদন্তে দিল্লি পুলিশের বড় রকম সাফল্য
৩০ নভেম্বর ২০১১গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দু'জন পাকিস্তানি সহ ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের ৬ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে বলে দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা আজ দাবি করেছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তদন্ত চলছে৷ সন্দেহ গত বছরের ১৩ই ফেব্রুয়ারি পুনের জার্মান বেকারিতে বিস্ফোরণ, ১৭ই এপ্রিল ব্যাঙ্গালোরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ এবং ৯ই সেপ্টেম্বর দিল্লির জুমা মসজিদে গুলি বর্ষণ ও বিস্ফোরণের সঙ্গে এরা জড়িত৷
গোয়েন্দা বিভাগের মতে, এইসব সন্ত্রাসী তৎপরতার পেছনে যার সবথেকে বড় হাত সেই ইমরান এখনো ধরা পড়েনি৷ ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের বিভিন্ন মডিউলের মধ্যে সমন্বয় করতো, টাকাপয়সা জোগাতো, বিভিন্ন সাজসরঞ্জাম সরবরাহ করতো এই ইমরান৷ পুলিশের মতে, সন্ত্রাসী চক্রে যাঁরা নতুন তাঁদেরকে সামনে রেখে এরা অপারেশন চালায়৷ পুলিশ রেকর্ডে নতুনদের বিরুদ্ধে তথ্যউপাত্ত বেশি নেই বলে ধরা পড়লেও তা প্রমাণ করা পুলিশের পক্ষে কঠিন৷
ধৃত ৬ জনের মধ্যে জামিল ও আজমল পাকিস্তানি৷ ২৪শে নভেম্বর বিহারের মধুবনিতে এরা দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের হাতে ধরা পড়ে৷ জাল পাসপোর্ট নিয়ে এরা ভারতে ঢুকেছিল৷ এদের জিজ্ঞাদাবাদ চলছে৷ সন্দেহ নেপাল ও ভারত থেকে নাশকতা কাজের জন্য যুবকদের নিয়োগ করতো এরা৷
উল্লেখ্য, পুনের জার্মান বেকারি বিস্ফোরণে নিহত হয় ১৭ জন, আহত ৬০ জন৷ ইহুদি চাবাড হাউসের সামনে জার্মান বেকারি বিস্ফোরণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৪০ জনকে৷ তার মধ্যে ছিল দুজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন৷
আইপিএল ক্রিকেট ম্যাচের আগে ব্যাঙ্গালোর চিন্নাই স্টেডিয়ামের বিস্ফোরণে আহত হয়েছিল ১৭ জন৷ দিল্লি কমনওয়েলথ গেমস-এর আগে দিল্লি জুমা মসজিদের সামনে তাইওয়ানের দুজন পর্যটককে লক্ষ্য করে গুলি চলে৷ তারপরই সামনে পার্ক করা একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হয়৷ চিন্নাই স্টেডিয়াম ও জুমা মসজিদ বিস্ফোরণের মধ্যে একটা মিল খুঁজে পায় পুলিশ৷ অপরাধীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যাদি যাচাই করে দেখতে তা পাঠানো হচ্ছে কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক