1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজিএমইএর প্রতিশ্রুতিতে আস্থা নেই

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ আগস্ট ২০১৪

পোশাক কারখানা তুবা গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন, ভাতা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজিএমইএ নেতারা৷ তাঁরা বলেছেন, মালিক জেলে থাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1Cn0u
Bangladesch Dhaka Ashulia Arbeiter Proteste
ছবি: picture-alliance/dpa

শ্রমিকরা ঈদ করতে না পারায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ নেতারা৷ তবে বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা৷

ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর প্রথম কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিজিএমইএ নেতারা এই প্রতিশ্রতি দেন৷ তবে বিজিএমইএ-র বর্তমান কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না৷ সাতদিনের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন বিজিএমইএ-র সাবেক সহসভাপতি টিপু মুন্সি৷

বিজিএমইএ ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুন্সি বলেন, ‘‘ঈদের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন, বোনাস সংক্রান্ত যে ধরনের হয়রানি হয়েছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত৷ ব্যাংকের কাছ থেকে আমাদের যে টাকা পাওয়ার কথা ছিলো তা পাওয়া যায়নি বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘কিছু টাকা যা অন্যান্য জায়গা থেকে ব্যবস্থা করে তুবা গ্রুপের কয়েকটি কারখানায় পরিশোধ করা হয়৷ কিন্তু সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেয়া যায়নি৷ আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহ বা সাত কর্ম দিবসের মধ্যেই তুবার শ্রমিকদের বেতন, ভাতাদি পরিশোধ করা সম্ভব হবে৷''

তুবা গ্রুপের আমরণ অনশনে অংশ নেয়া শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বিজিএমইএ-র দ্বিতীয় সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, ‘‘আপনাদের দাবির সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত৷ একটু ধৈর্য্য ধরুন৷ আমাদের একটু সময় দিন৷''

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ-র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘‘আমাদের কার্যক্রম শেষ করতে অন্তত সাত কার্যদিবসের দরকার৷ শ্রমিক ভাইবোনদের বলব একটু ধৈর্য্য ধরুন৷ আমরণ অনশন কোনো সমাধান না৷''

বিজিএমইএ নেতারা বলেন, তুবা গ্রুপের মালিক জেলে থাকায় বর্তমানে ক্রেতারা কার্যাদেশ দিতে অনীহা প্রকাশ করছে৷ অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারড বিল্ডিং-এ অবস্থিত হওয়ায় সাব সাব কন্ট্রাক্টের কাজও পাচ্ছেন না৷ এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়ায় মে, জুন, জুলাই মাসের শ্রমিকদের বেতন দিতে পারেনি গ্রুপটি৷

বিকেলে বিজিএমইএ-র সংবাদ সম্মেলনের পর সন্ধ্যায় শ্রমিকরা বেতন-ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন৷ আন্দোলনরত শ্রমিকরা বিজিএমইএ-র এই প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে পারছেন না৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না, আন্দোলন চলবেই৷''

শ্রমিকরা বলেন, ‘‘গত তিনদিন ধরে অনাহারে থেকে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি৷ ঈদও এই কারখানায় কেটেছে৷ আমাদেরকে মালিক ও বিজিএমই-র কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেনি৷ এখন শ্রমিকদের আন্দোলন দেখে বিজিএমইএ-র টনক নড়েছে৷ তাই তাঁরা বলছে আগামী সাতদিনের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে৷''

তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের এই কথায় আস্থা রাখতে পারছি না৷ কারণ এর আগেও মালিকপক্ষ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করতে পারেনি৷ তাই টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই৷''

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদের আগে বেতন-ভাতা না পেয়ে ঢাকার বাড্ডায় তুবা গ্রুপের পাঁচটি পোশাক কারাখানার ১,৬০০ শ্রমিক ঈদের আগের দিন সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন৷ ঈদের দিনও তাঁরা অনশন করে কাটিয়ে দেন৷

তিনদিনের অনশনে এরই মধ্যে ৬৫ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ২১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বাকিদের কারখানার ভেতরেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য