1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নজর রাখছে জাতিসংঘ

আরাফাতুল ইসলাম২৯ জানুয়ারি ২০১৫

জাতিসংঘের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের ভিডিও ফেসবুক এবং টুইটারে শেয়ার করেছেন অনেকে৷ এতে বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার যে ‘স্বৈরাচারী' নয় তা সরকারের নিশ্চিত করা উচিত বলে জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1ESmv
Bangladesch Wahlen 2014 Militär Unruhen
ছবি: Munir uz Zaman/AFP/Getty Images

ইউটিউব-এ ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ‘বিএনপি অনলি' নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের মুখপাত্র স্টেফান ডুইয়ারিচ এক সাংবাদিকের বাংলাদেশ বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের অবস্থান তুলে ধরেছেন৷

ভিডিওটি ফেসবুকেও শেয়ার করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি' নামের একটি ফেসবুক পাতা থেকে৷ পাতাটি ফেসবুক ভিরিফাইড করেনি৷ তাই এটি বিএনপির আনুষ্ঠানিক পাতা কিনা নিশ্চিত নয়৷ এতে লেখা হয়েছে, ‘‘বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার এবং দেশে অব্যাহত মানবাধিকার লংঘনে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মূখপাত্র স্টেফান ডুইয়ারিচ৷''

জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিং-এর এই ভিডিও টুইটারেও শেয়ার করেছেন অনেকে৷ ডয়চে ভেলের অনুসন্ধানে ভিডিও-টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে৷ গত ২২শে জানুয়ারি আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংটির টেক্সট রয়েছে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মুখপাত্র জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনারের অবস্থানের কথা পুর্নব্যক্ত করেন৷ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সরকারকে এটা প্রমাণ করতে হবে যে, শীর্ষ বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার এবং আটক কখনই ‘স্বৈরাচারী' নয় এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দেশে যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই করা হচ্ছে৷''

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাঁর কাছে অত্যন্ত ‘ডিস্টার্বিং' বলে মনে হয়েছে৷ জাতিসংঘের কাছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বর্তমান ‘বিশৃঙ্খলা' স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছে তাঁর৷ বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, হত্যার অভিযোগ রয়েছে৷ এ সব অভিযোগ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দেশটির অবস্থানের উপর কোনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা – এমন এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, এক্ষেত্রে ‘স্টান্ডার্ড হিউম্যান রাইটস স্ক্রিনিং পলিসি' অনুসরণ করা হবে বলে তিনি মনে করেন৷

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জানুয়ারি মাসের চলমান অবরোধে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েক ডজন মানুষ৷ এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত ‘ক্রসফায়ারে' নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে সাত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য