1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ‘ড্রোন' ব্যবহার করে হামলার পরিকল্পনা!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ ডিসেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে একটি আলোচিত জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে আটকের পর, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে৷ জঙ্গিরা স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘ড্রোন'-এর সহায়তায় হামলার পরিকল্পনা করছিল৷

https://p.dw.com/p/1E62Y
Drohne vom Typ MQ-1 Predator beim Landeanflug
ছবি: picture-alliance/dpa

মঙ্গলবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তানজিল হোসেন বাবু ও গোলাম মাওলা মোহন নামের ওই দুই যুবককে আটক করা হয়৷ গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, তারা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য৷ তাদের কাছ থেকে দূর নিয়ন্ত্রিত ‘ড্রোন' বা কোয়াডকপ্টার তৈরির যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে৷

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এর মধ্যে রয়েছে, ড্রোন তৈরির প্রজেক্ট, ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম, বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও উগ্র মতবাদ সম্বলিত কয়েকটি বই৷''

মনিরুল ইসলাম জানান, ‘‘দূর নিয়ন্ত্রিত ড্রোনের সাহায্যে তারা ওপর থেকে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ছয় মাস ধরে তারা ড্রোন তৈরির জন্য গবেষণা ও কার্যক্রম চালাচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, তারা নাকি ড্রোন তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল৷ আরও কিছু টেকনিকাল সাপোর্ট পেলেই তারা এটি তৈরি করতে পারত৷''

খেলনা হেলিকপ্টারের চেয়ে একটু উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা ড্রোনটি তৈরি করছিল বলে জানান মনিরুল ইসলাম৷ তাঁর কথায়, ‘‘২০-৩০ তলা উঁচু ভবনে হামলা চালানোর জন্য ড্রোনটি তৈরি করছিল জঙ্গিরা৷''

তাদের হামলার টার্গেট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং ব্যক্তিরা ছিলেন – এ কথা জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার বলেন, ‘‘সেকুলার রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকেরা ছিলেন হামলার লক্ষ্য৷ এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের পরিকল্পনা ছিল তাদের৷''

মনিরুল ইসলাম জানান, আটক মোহন গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়াশোনা করছিল৷ অন্যদিকে তানজিলের অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি না থাকলেও, সে টেকনিকাল দিকে থেকে পারদর্শী৷ এই দু'জন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা জসীম উদ্দিন রাহমানীর অনুসারী, বলেন মনিরুল ইসলাম৷

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নাম প্রথম আলোচনায় আসে গত বছর শেষ দিকে৷ আগস্ট মাসে বরগুনা থেকে এ সংগঠনের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পরদিন ঢাকার মোহাম্মদপুরে জসীমের বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিডিসহ উসকানিমূলক বই ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়৷ এই টিমের সদস্যরাই ব্লগার হত্যা এবং তাঁদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত৷

জসীমসহ এ সংগঠনের ১০ সদস্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গত ১৬ই সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রও দিয়েছে পুলিশ৷

গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ছানোয়ার হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, আটক দু'জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ জিজ্ঞাসাবাদে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে তাঁর আশা৷

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে জঙ্গিদের ‘ড্রোন' ব্যবহার করে হামলার পরিকল্পনার কথা এই প্রথম শোনা গেলেও, এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দূর নিয়ন্ত্রিত ‘ড্রোন' বা কোয়াডকপ্টার তৈরিতে সফল হয়েছেন৷ এ নিয়ে ব্যাপক উত্‍সাহ দেখা দিলে নিরাপত্তার কথা ভেবে অনুমতি ছাড়া এটা তৈরি ও উড্ডয়নে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এ ধরনের ‘পরীক্ষামূলক ড্রোন বা রিমোট কন্ট্রোল চালিত বিমান অথবা হেলিকপ্টার' ওড়ানোর আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাহিনীর অনুমোদন নেয়া আবশ্যক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য