1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টাকা দিলেই মেলে সার্টিফিকেট!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ জুলাই ২০১৪

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে উচ্চ শিক্ষার সনদ বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ এছাড়া শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়া ও নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য উপহার ছাড়াও নগদ অর্থের লেনদেন হয় বলে অভিযোগ৷

https://p.dw.com/p/1CTMd
Universität Stipendienausschusses
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

বাংলাদেশে এখন মোট ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে৷ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনুসন্ধান করে৷ তাতেই উঠে আসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির নানা চিত্র৷

টিআইবি-র প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষার সনদপত্র কেনা যায়৷ শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়া এবং নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য উপহার ছাড়াও নগদ অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে৷

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ, বিষয় এবং শিক্ষক নিয়োগসহ নানা বিষয় অনুমোদন করাতে অর্থের লেনদেন হয়৷ টিআইবি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ অনুমোদনের জন্য ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিদর্শন বাবদ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, অনুষদ অনুমোদনের জন্য ১০ থেকে ৩০ হাজার, বিভাগ অনুমোদনের জন্য ১০ থেকে ২০ হাজার, পাঠ্যক্রম অনুমোদন ও দ্রুত অনুমোদনের জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লেনদেন হয় এবং নিরীক্ষা করানোর জন্য ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা লেনদেন করতে হয় বলে জানা যায়৷ তবে প্রতিবেদনে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি৷

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, টিআইবি-র তথ্য এবং অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়৷ তারা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেনি বা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ করেনি৷ তারা যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেয়, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি৷

ড. চৌধুরী বলেন, মঞ্জুরি কশিনের উদ্যোগে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্বাধীন কমিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসহ নানা দিক তদন্তের কাজ করছে৷ এ পর্যন্ত তারা ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত শেষ করেছে৷ টিআইবি চাইলে তাদের কাছেও তথ্য-প্রমাণ দিতে পারে৷

তিনি জানান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মঞ্জুরি কমিশনের ৫৫টি মামলা চলছে৷ তাদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বিক্রিসহ নানা অভিযোগ থাকায়, তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তারা এখন আদালতের নির্দেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানান তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য