1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বড় গির্জাগুলির ভবিষ্যত

ক্লাউস ইউর্গেন/আরবি২২ আগস্ট ২০১৪

সদস্য সংখ্যা এভাবে কমতে থাকলে প্রতিষ্ঠিত বড় গির্জাগুলি বিলীন হয়ে যেতে পারে, এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের৷ ওদিকে নতুন ধরনের ছোট ছোট গির্জাও মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1CyhZ
Evangelisch-lutherische Rellinger Kirche in Rellingen
ছবি: Frank-Michael Theuer

এ সব বেসরকারি ও ‘মুক্ত-গির্জা’-র ‘আইডিয়া’ গ্রহণ করলে বড় চার্চগুলিও উপকৃত হতে পারে৷

ফ্রি-চার্চের আইডিয়া

গির্জার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষেত্রে ধর্মতত্ত্বের প্রফেসর ৮৮ বছর বয়স্ক ইউর্গেন মোল্টমানের কোনো ক্লান্তি নেই৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমি ব্রেমেন শহরে প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চের যাজক হিসাবে পাঁচ বছর চার্চকে ওপর থেকে দেখেছি৷ ৫০ বছর ধরে আমি সাধারণ মানুষ হিসাবে গির্জাকে নীচ থেকেও দেখছি৷ এই দৃষ্টিভঙ্গি আমি বিশপ ও যাজকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি৷''

Theologe Jürgen Moltmann
ইউর্গেন মোল্টমানছবি: picture-alliance/dpa

মোল্টমানের ধারণা ভবিষ্যতে টিকে থাকতে হলে প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জাকে ‘ফ্রি চার্চ'-এর আইডিয়া নিতে হবে৷ ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জার অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা একই ধরনের মত পোষণ করেন৷ স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণের নীতি ফ্রি-চার্চ অনেক আগে থেকেই চালু করেছে৷ সাধারণত বড় গির্জাগুলি শিশুদের ব্যাপটাইজ করে তাদের সদস্য করে নেয়৷ অন্যদিকে ফ্রি-চার্চ সচেতনভাবেই প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যাপটাইজ করে থাকে৷

দৃঢ় সম্পর্ক

এইভাবে শুধু বিশ্বাসী মানুষরাই গির্জার সদস্য হয়ে থাকেন৷ বলেন ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রোটেস্টান্ট ফ্রি চার্চেস'-এর প্রেসিডেন্ট আন্সগার হ্যোর্সটিং৷ বড় বড় চার্চের সদস্যরা ব্যাপটাইজের পর নিজেদের গির্জার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন খুব কমই৷ ফ্রি-চার্চের সদস্যরা তাঁদের গির্জা কমিউনিটির সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক রাখেন, অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে৷ প্রসঙ্গত, ফ্রি-চার্চ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৭০,০০০৷

ফ্রি-চার্চ প্রতিষ্ঠিত চার্চের মতো গির্জা-কর পায় না৷ সদস্যদের স্বেচ্ছায় দেওয়া চাঁদার অর্থে কাজ চলে তাদের৷ বিষয়টিকে ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন হ্যোর্সটিং৷ ‘‘কোনো কম্যুনিটিতে ৩০০ সদস্য থাকলে ওয়ারশিপ বা উপাসনাতেও ৩০০ জন উপস্থিত থাকেন৷''

পারস্পরিক সম্পর্ক

ছোট ছোট গ্রুপে (১০ জনের মতো) কোনো বাড়িতে মিলিত হয়ে ফ্রি-চার্চের সদস্যরা বাইবেল পড়েন, উপাসনা করেন, সুখ দুঃখের কথা আদান প্রদান করেন৷ এরফলে পারস্পরিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়, ধর্মে বিশ্বাস দৃঢ় হয়৷ ইউর্গেন মোল্টমান মনে করেন, এই ধরনের গ্রুপ গড়ে তোলা বড় চার্চগুলির জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে৷

সেই ঊনবিংশ শতাব্দীতেও মিশন বা ধর্মপ্রচারের কাজকর্ম ওপর থেকে নয়, বরং বিভিন্ন সংঘ-সমিতি ও কমিউনিটির পক্ষ থেকে করা হতো৷ ‘‘আমি আশা করি ভবিষ্যতেও আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে খ্রিষ্টান কমিউনিটি ও কর্মকাণ্ড গড়ে উঠবে৷'' বলেন প্রফেসর মোল্টমান৷