1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফিফা রসাতলে গেছে'

স্টেফান নেস্টলার/এসি২৮ মে ২০১৫

ডয়চে ভেলের ক্রীড়া বিভাগীয় সম্পাদক স্টেফান নেস্টলার-এর এই অভিমত৷ ফিফা-র ছ'জন কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ওদিকে ২০১৮, ২০২২-এর বিশ্বকাপ বরাদ্দ নিয়ে তদন্ত চলেছে সুইজারল্যান্ডে৷

https://p.dw.com/p/1FXXk
FIFA Sepp Blatter
ছবি: picture-alliance/epa/E. Leanza

ফিফা যে আগাপাস্তলা দুর্নীতিগ্রস্ত, সেটা এখন সকলেই উপলব্ধি করতে পারছেন৷ শুক্রবার জুরিখে ফিফা-র কংগ্রেস; ঠিক তার আগেই ছ'জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হল৷ মার্কিন তদন্তকারীদের খবর অনুযায়ী ,তারা বহুবছর ধরে উত্তর ও দক্ষিণ অ্যামেরিকার বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টের সম্প্রচার তথা পণ্য বিক্রির অধিকার প্রদানকে কেন্দ্র করে প্রায় দশ কোটি ডলার পরিমাণ উৎকোচ গ্রহণ করেছেন৷

ফিফা-র কার্যনির্বাহী পরিষদের আটজন ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ উত্তর এবং মধ্য অ্যামেরিকা, সেই সঙ্গে ক্যারিবিয়ানের ফুটবল সমিতির প্রধান জেফ্রি ওয়েব সেই দু'জনের একজন৷ ওয়েব আবার ফিফা প্রেসিডেন্ট ইওসেফ ব্লাটার-এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে পরিচিত৷ অবশ্য স্বয়ং ব্লাটারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি৷

অদৃশ্য রক্ষাকবচ

তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷ ফিফা-তে গত ১৭ বছরে ব্লাটার-এর আমলে যতোবারই ফুটবল কর্মকর্তারা ঘুষ খেয়েছেন, ততোবারই ব্লাটার নিজে কিন্তু জাল কেটে বেরিয়ে এসেছেন: গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত লাগেনি, যেন তিনি কোনো অদৃশ্য রক্ষাকবচ পরে আছেন৷একবারই তাঁর গায়ে আঁচড় না হলেও, আঁচ লাগতে চলেছিল, যখন জানাজানি হয়ে যায় যে, সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন তিনি ফিফা-র মার্কেটিং পার্টনার আইএসএল সংস্থার ঘুষ দেওয়া সম্পর্কে অবহিত ছিলেন৷ ব্লাটার-এর ফিফা ঐ ঘুষকে ‘‘দালালির পারিশ্রমিক'' হিসেবে বর্ণনা করে, বিপুল পরিমাণ জরিমানা দিয়ে পার পায় – সে ২০১০ সালের কথা৷ নয়তো ব্লাটার সব সমস্যা এবং সব সংকটকে স্মিত হাসি হেসে উড়িয়ে দিয়ে থাকেন৷ সংকটেরও কোনো অভাব নেই: রাশিয়াকে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আর কাতার-কে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ দেওয়া নিয়ে সুইস কর্তৃপক্ষ আপাতত তদন্ত চালাচ্ছেন৷

ফিফা-র সংস্কারের আশা কম

এই পরিস্থিতিতে ব্লাটার যে শুক্রবার পঞ্চমবারের জন্য ফিফা-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চলেছেন, তাতে অনেকেই আশ্চর্য হতে পারেন৷ এক্ষেত্রে ৭৯ বছর বয়সি সুইস নাগরিক ব্লাটার চোখ বুজে তাঁর চেলাচামুণ্ডাদের উপর নির্ভর করতে পারেন: কেননা আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ অ্যামেরিকা, সব জায়গাতেই তাঁর অনুগামীরা আছেন এবং সকলেই ব্লাটারের সপক্ষে ভোট দেবেন৷ ইউরোপীয়রা ব্লাটার-কে বিদায় করতে চান, কিন্তু তাদের সে ক্ষমতা নেই৷ থাকলে ব্লাটার-কে অনেক আগেই বিদায় নিতে হতো৷ লজ্জাশরম থাকলে তিনি যা নিজেই করতেন – বলেন সমালোচকরা৷ এবং তিনি যখন সেটা করছেন না, বা করার লক্ষণ দেখাচ্ছেন না, তখন বিপ্লবই হল একমাত্র পন্থা: সব ক'টাকে একসঙ্গে ঝেঁটিয়ে বিদায় করো!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য