1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিকল্প জ্বালানির ক্ষেত্রে সমন্বয়

রিৎসকি নুগ্রাহা/এসবি৯ নভেম্বর ২০১৩

বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বেড়ে চললেও জ্বালানি উৎপাদন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সার্বিক পরিকল্পনার অভাব দেখা যায়৷ বার্লিন শহরে জ্বালানির সমন্বয়ের এক মডেল হয়ে উঠছে ‘স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম’৷

https://p.dw.com/p/1AEAS
BU: "Über ein digitales Netzwerk verbindet das Smart Grid alle Akteure der Energieversorgung miteinander" +++KfW-Bildarchiv / Fotograf: Thomas Klewar+++ Windpark / Windkraftanlagen, Hochspannungsmasten und Hochspannungsleitungen, im März 2008, Deutschland
Stromnetzছবি: KfW-Bildarchiv / Fotograf: Thomas Klewar

বিদ্যুৎ সংরক্ষণের জার্মান উপায়

ভবিষ্যতের জ্বালানি ব্যবস্থা এখনই পরীক্ষা করা হচ্ছে বার্লিন শহরে৷ এই ব্যবস্থার পোশাকি নাম ‘স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম'৷ জার্মানিতে ‘ইলেক্ট্রো মোবিলিটি' আরও কার্যকর করে তুলতে বিদ্যুতের নতুন ‘ইন্টেলিজেন্ট' গ্রিড তৈরি করার তোড়জোড় চলছে৷

২০১১ সাল থেকে এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছেন ফ্রাংক ক্রিস্টিয়ান হিনরিশস৷ তবে প্রকল্পটি এখনো পরিকল্পনার স্তরেই রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘শুধু সবুজ বিদ্যুতের খাতিরে যে কোনো মূল্যে দামি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার আমাদের লক্ষ্য নয়৷ নানা প্রযুক্তির মিশ্রণে এই ব্যবস্থা যাতে ব্যবসায়ীকভাবে সফল হয়, সেটাই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে৷''

স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম' বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা, বিদ্যুতের স্টোরেজ ব্যবস্থা, গ্রাহক ও ইলেকট্রিক গাড়ির মধ্যে এমন সমন্বয় করে, যাতে সব পক্ষই উৎপাদন ক্ষমতা ও চাহিদার খবর পায়৷ একমাত্র এভাবেই নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনিয়মিত যোগান ও বিদ্যুতের বর্তমান ব্যবহারের মধ্যে ভারসাম্য আনা সম্ভব৷

প্রত্যেক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সবার আগে ইলেকট্রিক গাড়িতে ভরা হবে৷ যে কেউ ভাড়া নিতে পারবেন এই সব গাড়ি৷ হিনরিশস বলেন, ‘‘এখানে প্রশ্ন হলো, কীভাবে আমি নবায়নযোগ্য জ্বালানি পেতে পারি? কারণ এর মান ও পরিমাণ তো সমান হয় না৷ তার পরেও ফসিল-ভিত্তিক জ্বালানির দিকে হাত বাড়াতে চাই না৷ বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে জ্বালানি সংগ্রহই সাফল্যের চাবিকাঠি৷''

বার্লিনের একটি স্টেশনে এমন প্রচেষ্টা চলছে৷ সৌর ও বায়ুচালিত বিদ্যুতের সমন্বয়ে ২০১৪ সাল থেকে জার্মান রেল কোম্পানি নিজস্ব ‘স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম' চালু করতে চলেছে৷ এর আওতায় ইলেকট্রিক গাড়ি ও ইলেকট্রিক সাইকেলও ভাড়া দেয়া হবে৷

প্রতি দিন প্রায় এক লাখ মানুষ এই স্টেশনে যাতায়াত করেন৷ তাঁদের মধ্যে আছেন প্রকল্পের প্রধানও৷ বার্লিনের ডায়লান ম্যাককে বলেন, ‘‘এখানে এই ‘ইনটেলিজেন্ট মোবিলিটি স্টেশন'-এ ব্যবহারকারী নিজের স্মার্টফোনেই দেখতে পাবেন, সেই মুহূর্তে তাঁর সামনে কী বিকল্প রয়েছে – তাঁর জন্য কোনটা সবচেয়ে ভালো৷ গন্তব্যে যাবার সেরা পথ কী, তার খরচ কত? তাছাড়া গোটা ব্যবস্থাই চলবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে৷''

তবে এখনো অবকাঠামো প্রস্তুত হয়নি৷ বার্লিন শহরে প্রায় ১,২০০টি ইলেকট্রিক গাড়ি চলে৷ তবে এই অবস্থা দ্রুত বদলাবে, কারণ ভবিষ্যতের ‘স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম'-এ ইলেকট্রিক গাড়ি অপরিহার্য৷ বার্লিনের ইলেক্ট্রো মোবিলিটি এজেন্সি-র টোমাস মাইসনার বলেন, ‘‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে গেলে স্টোরেজের ব্যবস্থা করতে হবে৷ ইলেকট্রিক গাড়িও ব্যাটারিতে চলে৷ ‘স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম' বাস্তবায়ন করতে হলে এর থেকে ভালো স্টোরেজ আর কী হতে পারে? অর্থাৎ বাড়তি সৌর ও বায়ুচালিত বিদ্যুৎ গাড়ির ব্যাটারিতেই ধরে রাখা যাবে৷''

‘স্মার্ট গ্রিড'-এর মতো অনেক প্রকল্পের সাহায্যে বার্লিন কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতের পরিবহন নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে চায়৷ বার্লিন ইউরোপের সেরা ‘ইলেকট্রো-মোবিলিটি' শহর হয়ে উঠতে পারে কি না, তা জানার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে৷

প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশেরও কি এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত? জানান আপনার মতামত#অন্বেষণ #বাংলাদেশ