প্রিয় মানুষদের জার্মানরা যেসব নামে ডাকে
ভালোবাসার মানুষকে জার্মানরা অনেক নামেই ডেকে থাকেন৷ ছবিঘরে থাকছে এমনই ১০টি মধুর ডাকের কথা৷
মাউস (ইঁদুর)
বেশি শব্দ করা, জীবাণু থাকা, ধরতে কষ্ট হওয়া – এ সব কারণে আমাদের অনেকের কাছেই হয়ত ইঁদুর খুব একটা পছন্দের প্রাণী নয়৷ কিন্তু জার্মান পুরুষরা প্রায়ই তাঁদের বান্ধবী বা স্ত্রীকে আদর করে ‘মাউস’ অর্থাৎ ইঁদুর বলে ডাকেন৷ কখনো কখনো আবার ছোটদেরও এ নামে ডাকা হয়৷ তবে সেক্ষেত্রে মাউস শব্দের ক্ষুদ্রতাবোধক অনুসর্গ ‘ময়েস-শেন’ ব্যবহার করাটাই বেশি উপযুক্ত৷
হাজে (খরগোশ)
পুরুষদের চেয়ে নারীদেরই এই নামে বেশি ডাকা হয় বেশি৷ ইঁদুরের থেকে কিছুটা হলেও খরগোশ ডাকটা যে কারুর কারু একটু বেশি পছন্দের৷ তবে ছোটদের জন্য ডাকটা হবে ‘হেস-শেন’৷
বেয়ার-শেন (ছোট ভল্লুক)
যে পুরুষদের পেটটা একটু ভারী গোছের, জার্মানিতে তাঁদের আদর করে এই নামে ডাকা হয়৷ অবশ্য কেউ যদি কাউকে শুধু ‘বেয়ার’ বা ভালুক বলে ডাকেন, তবে অবশ্য অনেকেই চটে যেতে পারেন৷
ময়সেবেয়ার (ইঁদুর ভল্লুক)
ইঁদুর আর ভল্লুককে কি একসঙ্গে কল্পনা করা যায়? বোধ হয় না৷ তবে জার্মানরা কিন্তু সেটা করে ফেলেছেন৷ অনেক সময় প্রিয়জনদের তাঁরা ‘ময়সেবেয়ার’ নামে ডাকে৷ অবশ্য এই নামে যাকে ডাকা হয় তিনি একটু চিন্তায় পড়ে যান৷ ভাবতে থাকেন, তাঁকে কি ভালোবেসে ডাকা হচ্ছে, নাকি চটানোর জন্য!
শ্নেকে (শামুক)
কেউ যদি আপনাকে এই নামে ডাকে তাহলে বুঝতে হবে সে হয়ত আপনার কাছে যেতে চায়, মানে আপনার সংস্পর্শ চায়৷
শ্নুকি
এই শব্দের কোনো ইংরেজি অর্থ নেই৷ প্রিয়জনকে ডাকার জন্য জার্মানরা নিজেরাই এই শব্দটি বের করেছে৷ কারণ এটা শুনতে নাকি ‘কিউট’ লাগে৷
প্যার্লে (মুক্তা)
নামই বলে দিচ্ছে কেন ভালোবাসার মানুষকে এই নামে ডাকা হয়৷ তবে পুরো জার্মানিতে নয়, ডাকটা শোনা যাবে শুধু রূর অঞ্চলে, যেটা জার্মানির মূল শিল্পাঞ্চল বলে খ্যাত৷
লিবলিং (প্রিয়তম)
‘ডার্লিং’ শব্দের সঙ্গে সবাই পরিচিত৷ এর জার্মান সংস্করণই হলো ‘লিবলিং’৷ তবে প্রিয় কোনো কিছু বোঝাতেও এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ যেমন আপনার প্রিয় বই বোঝাতে বলা হবে ‘লিবলিংসবুখ’৷ এই শব্দে লিবলিং মানে হলো প্রিয়, আর বুখ মানে বই৷ আর এই দুই শব্দ জোড়া লাগাতে জার্মান ভাষার নিয়ম অনুযায়ী ‘এস’ লাগানো হয়েছে৷
স্যুসে বা স্যুসার (সুইটি)
জার্মান ‘স্যুস’ শব্দের বাংলা মানে হচ্ছে মিষ্টি৷ তাই অনেক বন্ধু বা প্রেমিকই তাঁর বান্ধবীকে ডাকেন ‘স্যুসে’ নামে৷ অন্যদিকে প্রেমিকা বা বান্ধবী তাঁর বন্ধুকে ডাকেন ‘স্যুসার’ নামে৷
শাটৎস (সম্পদ)
ভালোবাসার মানুষকে ডাকার জন্য জার্মানিতে এই শব্দটিই বেশি ব্যবহৃত হয়৷ বয়স্ক দম্পতি, এমনকি তরুণ প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যেও এই ডাকের চল বেশি৷ কেউ কেউ আবার ভালোবাসার মাত্রা অনুযায়ী ডাকটাকে একটু বদলে নেয়৷ যেমন ‘শাটৎসি’ বা ‘শাটৎ-শেন’৷