1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথিবীতে বসেই মঙ্গলগ্রহে রোবট চালানোর স্বপ্ন

মানুয়েল ওসারকেস / এসবি১৯ জুলাই ২০১৪

মঙ্গল আরও দূরের কোনো গ্রহে মহাকাশযান পাঠানো আজ আর কোনো বিস্ময়কর ঘটনা নয়৷ কিন্তু পৃথিবীতে বসেই রোবট চালনার ক্ষমতা এখনো পুরোপুরি রপ্ত হয় নি৷ ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতায় এমন পরীক্ষা চালাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1Cev2
ছবি: picture alliance / Photoshot

নেদারল্যান্ডস উপকূলে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসা-র গবেষণা কেন্দ্রে রোবটের হাত নড়াচড়া করছে৷ প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে এক বিজ্ঞানী মোবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাকে চালাচ্ছেন৷ লক্ষ্য, অদূর ভবিষ্যতে কয়েক লক্ষ কিলোমিটার দূর থেকেও এটা সম্ভব করা৷ এমন এক যন্ত্রের সাহায্যে ভবিষ্যতে দূরের কোনো গ্রহে পৃথিবী থেকেই রোবট চালনা করা যাবে৷

২০১৬ সালে আগামী মঙ্গলগ্রহ অভিযান শুরু হবে৷ মানুষের জন্য মঙ্গলগ্রহ তেমন দূর নয়৷ এমন যাত্রা রোবটের জন্য কিছুই নয়৷ কিন্তু তাকে চালনা করতে হবে৷ তবে মঙ্গল যাত্রা শুরুর আগে কিছু বাধা দূর করতে হবে৷ ক'দিন আগে অ্যামেরিকানরা এই প্রকল্প ছেড়ে চলে গেছেন৷ এখন ইউরোপীয়রা রাশিয়ার রসকসমস সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন৷ ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর বিষয়টি বেশ বিতর্কিত হয়ে পড়েছে৷ কিন্তু রাশিয়ানদের কাছে রকেট ও অর্থ – দুটোই রয়েছে৷ এসটেক-এর ফ্রাংকো ওনগারো বলেন, ‘‘তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কেউই অপরিহার্য নয়৷ ধরুন আপনারা দু'জন বেড়াতে যাচ্ছেন৷ অন্যজন পিছিয়ে এলে সব খরচ আপনার কাঁধে এসে পড়বে৷ তাই এর একটা আর্থিক দিক রয়েছে৷''

রোবট ল্যাবের পাশেই মঙ্গলগ্রহের ভূ-পৃষ্ঠের মডেল তৈরি করা হয়েছে৷ সেখানেই রোভার-কে নিয়ে পরীক্ষা চলছে৷ মঙ্গলগ্রহে একবার নামার পর কোনোরকম ভুলত্রুটি হলে চলবে না, যেমনটা এখানে ঘটছে৷ অভিযানের আগে অনেক ছোট-বড় সমস্যার সমাধান করতে হবে৷ কিন্তু গবেষকরা আসলে কী চান? এক্সোমার্স প্রকল্পের খর্খে ভাগো বলেন, ‘‘লক্ষ্য হলো বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রাণের সন্ধান করা৷ মাটির ঠিক এক-দুই মিটার নীচের অংশই খোঁজ চালানোর আদর্শ জায়গা৷''

ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে যে কাজ চলছে, তার আর্থিক ব্যয়ভার কত? চাই নিত্যনতুন হাইটেক যন্ত্রপাতি৷ যেমন এক মহাকাশ সিমুলেটর৷ তাতে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ভরা হয়েছে, যা পরে মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হবে৷ বায়ুশূন্য পরিবেশ, বিকিরণ ও তাপমাত্রার বিশাল রদবদল সহ্য করা সেগুলির জন্য কতটা কঠিন?

এই প্রকল্পের বর্তমান ব্যয়ভার প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ১০০ কোটি ইউরো ছুঁয়েছে৷ খর্খে ভাগো বলেন, ‘‘এই বিনিয়োগ ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ৷ তাছাড়া এটা এমন কোনো বড় বিনিয়োগ নয়৷ ইউরোপের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বছরে একটি সিনেমা টিকিট কিনতেই এত অর্থ লাগে৷ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রাণের প্রথম চিহ্ন পেতে এমন ধরনের অভিযানের জন্য এটা চাই৷''

ফেরা যাক রোবট হাত পরীক্ষার বিষয়ে৷ ডার্মস্টাট শহরে বসে ইঞ্জিনিয়ার ৫০০ কিলোমিটার দূরে একটি যন্ত্রাংশ বসাবেন৷ কিন্তু সিগনাল পৌঁছতে কয়েক সেকেন্ড দেরি হওয়ায় হাত ফসকে গেল৷ এটা কি ইঞ্জিনিয়ারদের আকাশকুসুম পরিকল্পনা?

পরীক্ষা সফল হয়েছে৷ মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রোবটের হাত নড়েছে৷ এটা সাফল্য বৈকি৷ একেবারে বিফল হলে সেটা খুবই লজ্জার বিষয় হতো৷

রিমোট কন্ট্রোল নিয়ে আরও গবেষণা চলছে৷ এর পরের পরীক্ষায় রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে রোবটের হাত চালানো হবে৷ কারণ সবাই জানে, মঙ্গলগ্রহে তো আর মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য