এই মন্তব্য পাঠক ওবায়দুল্লা পিন্টুর৷
- ধন্যবাদ ভাই পিন্টু৷ আপনি জানেন শনি ও রবিবার ‘পাঠক ভাবনা' পাতাটি আপডেট করা হয় না৷ গত সপ্তাহে শুক্রবারও অনিবার্য কারণবশত আপডেট করা সম্ভব হয়নি, আমরা দুঃখিত৷ তবে আপনারা যে তা লক্ষ্য করেছেন, তা জেনে ভালো লাগলো৷
পাঠক ওবায়দুল্লাহ পিন্টু আরো লিখেছেন, ‘‘গতকালের পাঠক ভাবনায় শ্রোতা বোন সাবিনার ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রেরিত অন্বেষণ কুইজের পুরস্কার আইপডটি ফেরত পাঠানোর সংবাদটি সত্যি দুঃখজনক৷ তাঁর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি৷ সেই সাথে ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, পাঠকদের জন্য পাঠানো প্রতিটি উপহার সামগ্রীর প্যাকেটের উপরে বাংলাদেশ ডাকবিভাগকে শুল্ক না ধরার অনুরোধ জানানোর স্টিকার মেরে, তারপর তা পাঠানোর জন্য৷''
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মূল লক্ষ্য ডয়চে ভেলে
দুই প্রজন্মের দুই দেশের দু’জন শ্রোতাবন্ধু৷ ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান শোনার মধ্য দিয়ে যাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে৷ হুগলি জেলার প্রয়াত বন্ধু মদন গোপাল মুখার্জী , যিনি বাংলা অনুষ্ঠানের শুরুর সময় থেকেই ডয়চে ভেলের সাথে ছিলেন৷ যার চিঠির প্রায় পুরোটা জুড়েই থাকতো অনুষ্ঠান বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা৷ যা কর্মীদের অনুষ্ঠান সাজাতে ভাবাতো৷ মদনের বাড়িতে গোপালগঞ্জের বন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার অনুষ্ঠান বিষয়ে আলোচনা করছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
একসাথে রেডিও শুনবো
প্রায় ১৫ বছর আগে পাঠানো একটি ছবি, তখন এভাবেই ডয়চে ভেলে অনুষ্ঠানের ভক্ত বন্ধুরা গ্রামে সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে একসাথে শর্টওয়েভ-এ তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান শুনতেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ক্লাবগুলোর মধ্যে একতা
কপিলমুনি, খুলনার সুন্দরবন ইন্টারন্যাশনাল যে ক্লাবটি গঠিত হয়েছিলো প্রায় ২২ বছর আগে৷ ছবিতে ক্লাবের সভাপতি আরশাদ আলী বিশ্বাস, বিকাশ রঞ্জন ঘোষকসহ অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে করা হয়েছিলো বিশাল আয়োজন যাতে অংশ নিয়েছিলো সে সময়ের বেশ কয়েকটি সক্রিয় ক্লাব৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলেকে চিঠি লিখতে চাই নীরবতা
১৯৯৪ সালে পাঠানো ছবিতে দেখা যাচ্ছে কুড়িগ্রামের শাপলা শর্টওয়েভ শ্রোতাসংঘের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মাষ্টারকে৷ যিনি নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে আমাদের কাছে তার মূল্যবান মতামত পাঠাতেন লম্বা লম্বা চিঠিতে৷ শর্টওয়েভ বন্ধ হয়ে যাবার পর তাঁকে আমরা সেভাবে আর না পেলেও একেবারে হারিয়ে যাননি ডয়চে ভেলে থেকে৷ মাঝে মধ্যে ছোট্ট করে এসএমএস-এ জানিয়ে দেন তিনি আছেন আমাদের সাথে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মনে পড়ে ছাত্র জীবনের কথা
কুষ্টিয়ার ফ্রেন্ডস রেডিও লিসনার্স ক্লাব, বর্তমানে যে ক্লাবটি ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব ঢাকা নামে পরিচিত৷ প্রায় ১৩ বছর আগে ক্লাবের সভাপতি সোহেল রানা হৃদয় যখন ছাত্রাবস্থায় ছিলেন তখন ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে তোলা এই ছবিটি পাঠিয়েছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
যানবাহনেও ডয়চে ভেলে
সুর সংলাপ রেডিও ক্লাব, যশোরের বন্ধু মো.মুজিবুল হক এই ছবিটি পাঠিয়েছেন ১৯৯৯ সালে৷ রাস্তায় গাড়িতে গাড়িতে ডয়চে ভেলের স্টিকার লাগিয়ে এভাবেই ক্লাবের সদস্যরা ডয়চে ভেলেকে আরো পরিচিত করিয়েছেন, জনপ্রিয় করেছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলে থেকে পাওয়া উপহার
কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহের দিশারী রেডিও শ্রোতাসংঘের পক্ষ থেকে শ্রোতাবন্ধু শামীম উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে জনপ্রিয় করতে আয়োজন করেছিলেন একটি প্রতিযোগিতার৷ বিজয়ীদের অন্যান্য পুরস্কারের পাশাপাশি ডয়চে ভেলে থেকে পাঠানো উপহারও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
সবকিছুতেই ডয়চে ভেলে
মুর্শিদাবাদের কয়েকটি ক্লাব মিলে আন্তর্জাতিক বেতার প্রদর্শনী ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো, লক্ষ্য ডয়চে ভেলেকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া৷ ছবিতে বিজয়ী বন্ধু আরতি মজুমদার, ( যিনি ডয়চে ভেলেকে নিয়ে বিস্মৃত ডাক নামে বইও লিখেছেন৷ সহিদুল হকও অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ছবিটি পাঠিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু বিশ্বনাথ মণ্ডল ১০৯৯ সালে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
পুরানো সেই দিনের কথা
এ ছবিটিও ১৯৯৯ সালে তোলা ডয়চে ভেলের চিঠিপত্র বিভাগে কর্মীদের নিয়ে৷ তখন এভাবেই ডাকে শ্রোতাবন্ধুদের চিঠি এসে পাহাড় জমে যেতো৷ ছবিতে নুরুননাহার সাত্তার সহ হিন্দি, ইংরেজি এবং ইন্দোনেশীয় ভাষার কর্মীদের দেখা যাচ্ছে চিঠিপত্র বিভাগের প্রধান ড.অলিভার স্যোলনারকে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
আজকের প্রযুক্তি
আগের ছবিগুলো ১০ থেকে ২০ বছরের পুরনো৷ দেখাই যাচ্ছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে কলকাতার বন্ধু স্বপন চক্রবর্তী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন৷ ছবিতে এই মিষ্টি মেয়েটি শ্রোতাবন্ধু স্বপনের ‘সৃষ্টি’৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
- বন্ধু, এতেও কোনো ফল হয়নি৷ অর্থাৎ ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, সবই করা হয়েছে৷
বাংলাদেশের ডাক বিভাগ সম্পর্কে পাঠক ওবায়দুল্লার মন্তব্য: ‘‘বাংলাদেশের ডাকবিভাগের কথা আর কী বলবো! আমার মনে হয় যত গাধা, নেশাখোর ও চোর জাতীয় লোককে ডাকবিভাগ নিয়োগ দিয়েছে এবং তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পাঠানো শ্রোতাদের জন্য উপহার সামগ্রী চুরি করে নেয়৷ এছাড়া তারা যখন তা চুরি করতে না পারে, তখন তার উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে, যা আমরা যারা বিভিন্ন দেশে পত্র যোগাযোগ করি কিছু উপহার সামগ্রী পাওয়ার জন্য, এটা তাদের জন্য খুবই দুঃখজনক৷ আমরা জানি বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু কিছু এলাকা ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই৷ কারণ যে বা যিনি প্যাকেটটি পাঠান, তিনি তো সমস্ত ডাকমাশুল পরিশোধ করেই পোস্ট করেন৷ তাহলে আবার এই শুল্ক কেন? এ বিষয়ে জানতে চাই বাংলাদেশ ডাকবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে৷ মো. ওবায়দুল্লাহ পিন্টু, আমলা, মিরপুর, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ৷''
পরের ই-মেলটি যশোরের বন্ধু আশিকুজ্জামান সবুজের৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে ‘ভিডিও ব্লগিং যেভাবে মিডিয়াকে বদলে দিচ্ছে' প্রতিবেদনটি পড়লাম৷ আমার একটা অনুরোধ আছে৷ আমাকে ‘আউটসোরসিং' বিষয়ে ধারণা দিলে খুশি হবো৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ