1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুনি নয় মাসের শিশু!

১৫ এপ্রিল ২০১৪

বয়স মাত্র নয় মাস৷ তারপরও সে নাকি খুনি! পুলিশ এ কথা বললেও, পাকিস্তানে নয় মাসের ঐ শিশুটির বিরুদ্ধে পুলিশের করা হত্যাচেষ্টা মামলা খারিজ করে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত৷ মামলাটি নিয়ে সম্প্রতি তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সেখানে৷

https://p.dw.com/p/1BhlE
দুধ পান করছে নয় মাস বয়সি মোহাম্মদ মুসা খানছবি: Reuters

বয়স মাত্র নয় মাস৷ তারপরও সে নাকি খুনি! পুলিশ এ কথা বললেও, পাকিস্তানে নয় মাসের ঐ শিশুটির বিরুদ্ধে পুলিশের করা হত্যাচেষ্টা মামলা খারিজ করে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত৷ মামলাটি নিয়ে সম্প্রতি তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সেখানে৷

হত্যা পরিকল্পনা, পুলিশকে হুমকি এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে নয় মাস বয়সি মোহাম্মদ মুসা খানসহ তার পরিবারের ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেছিল পাকিস্তানের পুলিশ৷

গত শনিবার শিশুটিকে লাহোরের আদালতে হাজির করার পর বিচারক রাফাকাত আলী কামার তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম খারিজ করে দেন৷ পুলিশ একটি দুধের শিশুর বিরুদ্ধে কীভাবে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনলো, তাও তদন্ত করে দেখতে বলেছেন বিচারক৷

Anklage gegen den neun Monate alten Mohammad Musa fallengelassen
ছবি: A.Ali/AFP/Getty Images

লাহোরের বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিভাগের কর্মীরা গত ৩১শে জানুয়ারি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে৷ পূলিশের অভিযোগ, স্থানীয়রা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের দিকে ঢিল ছোড়ে এবং তাদের ওপর চড়াও হয়৷

ওই ঘটনার পর পুলিশ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে, যাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুসাকেও আসামি করা হয়৷ অথচ পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে ১২ বছরের কম বয়সি কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায় না৷

নয় মাসের একটি শিশুর বিরুদ্ধে মামলার খবর গণমাধ্যমে এলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তানের পুলিশ বিভাগ৷ এই প্রেক্ষাপটে তদন্তকারী কর্মকর্তা কাশিফ মুহাম্মদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়৷

পুলিশ বার বার মুসার খোঁজে বাড়িতে হানা দেয়ায় শনিবার তাকে শুনানিতে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা৷ পুলিশ আঙুলের ছাপ নিতে গেলে মুসা তারস্বরে কেঁদে ওঠে৷ এ সময় তার দাদা মুহাম্মাদ ইয়সিন দুধের বোতল হাতে নাতিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন৷

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে মুসার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়ার আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে৷ অবশ্য মুসার পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলবে৷ তার দাদা ইয়সিন এবং বাবা মুহাম্মদ ইমরানসহ পাঁচজন ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন৷

জেকে/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য