1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ৫টি অনলাইন মেসেজিং অ্যাপস বন্ধ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২০ জানুয়ারি ২০১৫

রবিবার জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন ভাইবার ও ট্যাংগো বন্ধের পর সোমবার থেকে নিরাপত্তার কারণে হোয়াটস অ্যাপ, লাইন ও মাই পিপলও বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন(বিটিআরসি)৷

https://p.dw.com/p/1ENGE
Symbolbild - Smartphone Stress
ছবি: picture-alliance/dpa

নিরাপত্তার কারণে আগামী ২১শে জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের এসব অ্যাপস বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি৷ আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই সেবা বন্ধ নিয়ে বাংলাদেশে চলছে তুমুল বিতর্ক৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব অনলাইন সেবা বন্ধ করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করা যায় না৷

বিটিআরসি-র সচিব সরওয়ার আলম জানিয়েছেন, ‘‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে পাঁচটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে৷'' কবে নাগাদ এই সেবা চালু করা সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘গোয়েন্দারা কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই সেবা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছে৷ নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হলেই হয়তো তারা খুলে দিতে বলবে৷''

এদিকে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের সহকারী পরিচালক তৌসেফ শাহরিয়ার সকল ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে সর্বশেষ যে নোটিস পাঠিয়েছেন, তাতে ২১শে জানুয়ারি রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ওই পাঁচটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে৷

সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা ভাইবার এবং ট্যাংগোসহ এই পাঁচটি অ্যাপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছে বলে এর আগেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ‘‘তারা ফোন কল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অপরাধীদের ওপর নজর রাখতে পারলেও সন্ত্রাসীরা ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করায় তাদের সনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে৷ আর বিএনপি জোটের অবরোধের মধ্যেও এসব অ্যাপ ব্যবহার করে নাশকতাকারীরা যোগাযোগ রাখছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে৷'' এসব বিষয় বিবেচনা করেই ভাইবার ও ট্যাংগোসহ পাঁচটি অ্যাপস বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে বলে ব়্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান৷

প্রাথমকিভাবে ২১শে জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত পাঁচটি'র সেবা বাংলাদেশে বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও প্রয়োজনে এই সময় আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে৷ গোয়েন্দারা জানান, ‘‘বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি কতটা দীর্ঘায়িত হবে তা দেখে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে৷''

বিটিআরসি জানায়, ‘‘ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে এসব ওটিটি (ওভার দ্য টপ) সেবার মাধ্যমে ভয়েস এবং ভিডিও কল করা যায়৷ এই ওটিটি সেবা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বেশি পছন্দ৷ কারণ এতে সরকারের কোনও নজরদারি নেই৷ ফলে এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অপরাধ সংগঠনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে৷ শুধু তাই নয়, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে এ বিষয়ে কিছু তথ্য-প্রমাণও এসে পৌঁছেছে৷''

Frauen in Dhaka, Bangladesch, mit Handy
মুঠোফোনের ব্যবহার আজ সর্বত্রছবি: AP


প্রযুক্তি বিশ্লেষক বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটর্স গ্রুপ (বিডিনগ) এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির অ্যাপস বন্ধ হওয়ার কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বেশিরভাগ ওটিটি সেবায় কোনও রেকর্ড থাকে না৷ ফলে কোনও ধরনের সন্দেহজনক কথাবার্তা বা ভিডিও বার্তা উদ্ধার করা কঠিন৷'' তিনি জানান, ‘‘যারা অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তাদের অনেকে প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চ ধারণা রাখে৷ ফলে বিষয়টিকে হেলাফেলা করা ঠিক হবে না৷''

এদিকে, টেলিকমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ ও লার্ন এশিয়ার সিনিয়র রিসার্চ ফেলো আবু সাঈদ খান বলেন, ‘‘এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নয়৷ কারণ প্রযুক্তি বন্ধ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মনিটর করা অসম্ভব৷'' উদাহরণ হিসেবে তিনি পাকিস্তান, সৌদি আরব, মিশর ও তুরস্কের তরুণদের বিভিন্ন কাজের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেন৷

এই ৫টি সেবা বন্ধ হওয়ায় এর ব্যবহারকারীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন৷ ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে নানা মন্তব্য আর প্রতিক্রিয়া চলছে৷ কেউ কেউ আবার বন্ধ হওয়া পাঁচটি অ্যাপস ব্যবহারের বিকল্প পথ বাতলে দিচ্ছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য