ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় মাত্র এক ঘণ্টায় এই পোস্টটি দেখেছেন প্রায় ১১ হাজার পাঠক আর লাইক করেছেন আড়াইশ'রও বেশি মানুষ৷ তবে মন্তব্য করেছেন মাত্র ১৩-১৪ জন বন্ধু৷ যাঁরা মতামত জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পাঠক ইখতিখার আল-দীনের মন্তব্য, ‘‘পশ্চিমারা আন্তরিক হলে সম্ভব হতে পারে৷ কিন্তু গণতন্ত্রের এ সব ফেরিওয়ালারা সংকট দূর হোক, তা আদৌ চায় কিনা সন্দেহ!
পাঠক সন্ধ্যা তারার মত, ‘‘তাঁরা দু'জন ভালো হলে সম্ভব হতো৷''
কাজি নজরুল ইসলামের স্পষ্ট মত, ‘‘না''৷ মো. আবদুল্লাহ এবং পল্লব অনিকেতও নজরুল ইসলামের সাথে পুরোপুরি একমত, অর্থাৎ সোজা উত্তর ‘‘সম্ভব না''৷
পাঠক রাকিব শেখ ভাবতেই পারেন না যে সেটা সম্ভব হতে পারে৷ তাই তিনি শতভাগ নিশ্চিত হয়েই জানিয়েছেন, ‘‘দুনিয়া উল্টে গেলেও না৷''
আরিফ রনি মনে করেন, ‘‘যেখানে নৈতিকতার অভাব, সেখানে নিয়মকানুনের মাধ্যমে ভালো দিকগুলো প্রতিষ্ঠা করা উচিত৷''
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরুদ্ধ খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, তবে সোমবার তিনি বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁর গেটে তালা লাগিয়ে দেয়৷ ফলে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গেটের মধ্যেই৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরোধ ঘোষণা
অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন৷ গুলশানের কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের কালো পতাকা কর্মসূচি ছিল৷ সমাবেশ করতে দেওয়া হয় নাই৷ পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে৷’’
-
অস্থির বাংলাদেশ
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ ছবিতে পুলিশে একটি গাড়ি রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এভাবে আরো কয়েকটি বালু এবং ইটভর্তি ট্রাকও রাখা হয়েছে৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
গাড়িতে আগুন
রবিবার থেকেই ঢাকায় সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপিসহ বিশ দল৷ ঢাকায় একটি সিএনজি এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ছবি এটি৷ বিএনপি সমর্থকরা এটা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
পার্ক করা গাড়িতে আগুন
পার্ক করে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিচ্ছে বিএনপির সমর্থকরা৷ ছবিটি ঢাকা থেকে তোলা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ
পুলিশ সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন৷ বিষয়টি সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, ‘‘...নিষেধাজ্ঞা কি শুধু বিএনপির জন্য? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দেখি শহরজুড়ে মিছিল করছে, উল্লাস করছে, গান শুনছে, গান গাইছে৷’’ ছবিতে ঢাকায় বিএনপির এক সমর্থককে পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘শান্তির পথে আসুন’
এদিকে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিএনপি নেত্রীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবিতে বিএনপিসহ বিশদল আন্দোলন করেছে, সেই দাবির প্রতি কোন নমনীয়তা দেখাননি তিনি৷ হাসিনা মনে করেন, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল ছিল৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘একতরফা’ নির্বাচন
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি৷ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোন ভোটাভুটি হয়নি৷ বাকি আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেটিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
প্রধান দুই দলের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে পেন্সিল রাহাদের মত, ‘‘তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷''
চলমান সংকট নিরসনে পশ্চিমা কূটনীতিকরা দেশের প্রধান দুই দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার যে আহ্বান জানিয়েছেন সে সম্পর্কে পাঠক আলাউদ্দিন জাভেদ তাঁর মতামত জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দলীয়করণে বিশ্বাসী, আদালতকে এরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে জণগণের অধিকার কেড়ে নেয়! যেমন আদালতের একটি রায়কে ব্যবহার করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে! টিক তেমনি আদালতের রায় দিয়ে এখন, হরতাল অবরোধের মতো গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পায়তারা হচ্ছে!!''
অন্যদিকে এ ব্যাপারে অসমাপ্ত ভালোবাসা বলছেন, ‘‘হাসিনার সে মনোভাব নেই৷'' আর মো. মহিউদ্দিনের মন্তব্য, ‘‘বস্তির রানী সংলাপ চায় না৷''
মজার ব্যাপার হলো, সবাইকে অবাক করে দিয়ে চানাচুর বিক্রেতা নামের এক পাঠকবন্ধু লিখেছেন, সংকট নিরসনে প্রধান দুই দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা ‘সম্ভব'৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ