1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এত চাপ কিসের?'

২ এপ্রিল ২০১৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একের পর এক হারে হতাশ ক্রিকেট ভক্তরা৷ সেইসাথে সাকিব আল হাসানের দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়েও উঠেছে সমালোচনার ঝড়৷ বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন এসব নিয়েই তোলপাড়৷

https://p.dw.com/p/1BZy7
ছবি: Getty Images

সামহয়্যার ইন ব্লগে এম মাসুদ একটি প্রশ্ন রেখেছেন ‘এমন ক্রিকেট কি প্রয়োজন আছে?' লিখেছেন,

‘‘নিজের মাটিতে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল বেশ ভালো করার৷ এই আশা দেখাতে তো শিখিয়েছে আমাদের এই ক্রিকেটাররাই৷ আমার কাছে মনে হয় এটার পিছনে দলের কিছু খেলোয়াড়দের মাঝে অতি আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে যে আমরা ছাড়া বাংলাদেশে ক্রিকেট অচল (মুশফিক: তামিম, সাকিব, মুশফিককে পেতে ১০ বছর অপেক্ষা করাতে হবে) এবং বিসিবি কর্মকর্তাদের দলাদলি, কারও প্রতি বেশি সুদৃষ্টি কাউকে বা অবহেলা করা, আত্মীয়তন্ত্র৷ এভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ছে৷''

একই ব্লগে তাহমীদ লিখেছেন, ‘‘অরেঞ্জ জুস, আয়, দেশপ্রেম নিয়ে সাকিব আল হাসানের দেওয়া সাক্ষাৎকারের কথাগুলো মানতে বড় ইচ্ছে করে, ঠিকই তো সবজি খিচুড়ি খেয়ে কি গেইল, আফ্রিদি, মাক্সদের হারানো যায়৷ মানতে গিয়ে কেন যেন হুট করে মনে পরে যায় সালমাদের কথা ওরাও তো হাড় জিরজিরে শরীর নিয়ে ভালোই খেলছে, মনে পরে যায় আফগানিস্তানের কথা, বিধ্বস্ত অর্থনীতির একটা দেশ হয়েও বাংলাদেশকে কিভাবে হারায়, যাদের সকালের ঘুম ভাঙে হয়ত বোমা, কিংবা ককটেলের শব্দে৷ ওদের আয় যে তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে কিনা সন্দেহ আছে, ওরা পারলে আমরা পারব না কেন? তিনি অনেক কিছুই এড়িয়ে গেছেন নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে৷''

Flash-Galerie Cricket Weltmeisterschaft 2011
ছবি: AP

নাভিদ আরমান শিফাতও সাকিবের সাক্ষাৎকার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি লিখেছেন,

‘‘ভারতের জনসংখ্যা ১০০ কোটির উপরে৷ তাদের ক্রিকেটারদের মুখে তো প্রত্যাশার চাপের কথা শোনা যায় না৷ তারা খারাপ খেললে ক্রিকেটারদের বাড়িতে আক্রমণ হয়, ভাংচুর হয়৷ আমরা কি কখনো আপনাদের বাড়ি ভাংচুর করি? তাহলে এত চাপ কিসের?''

সাকিব, আপনে জন্ম নিয়েছেন এমন এক দেশে যে দেশের মানুষের মানুষের বাৎসরিক আয় এখন ও ২৫ হাজার টাকার নিচে৷ আর সেখানে আপনে দাবি করেন এক ডিনারেই ২৫ হাজার টাকা খরচের৷ আমি জানি না, বাংলাদেশের অন্য কোনো পেশায় এতটা আয় আছে কিনা৷ এ দেশের মানুষ আপনাদের মনে প্রাণে ভালোবাসে বলেই আপনাদের এত আয়৷ যে লোকটা দু'বেলা পেটের ভাত জোটাতে পারে না, সে ও কাজের ফাঁকে একবার আপনাদের খবর নেয়৷ যখন আপনারা ব্যটিং করেন, কর্মব্যস্ত ট্যক্সি ড্রাইভারটি ও গাড়ি চালানো বাদ দিয়ে পাশের পায়ের দোকানের টিভির সামনে কিছুটা সময় ব্যয় করে৷ এগুলো আপনাদের উপর চাপ না ভাই, এগুলো হলো ভালোবাসা৷ আমাদের শুধু একটাই চাওয়া – খেলাটাকে পেশাদারিত্বের দৃষ্টিতে নয়, খেলেটাকে ১৬ কোটি মানুষের গচ্ছিত সম্পদ হিসেবে নেন; যার সদ্ব্যবহার কেবল আপনারাই করতে পারেন৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য