...তখন থেকেই চিঠি লিখা শুরু করি৷ পরে রেডিও ডিডাব্লিউ লিসেনার্স ক্লাব গঠন করি, যা পরে রেজিস্ট্রি হয় খুব সম্ভবত বি ২০৫ নম্বর ছিল৷ ঢাকায় শ্রোতা সম্মেলনে অংশ নেই (ছবি সংযুক্ত) যেখানে ই পেটারসেন এসেছিলেন৷ এর পর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি এবং পাশ করার পরও আপনাদের অনুষ্ঠানের নিয়মিত শ্রোতা ছিলাম৷ অনুষ্ঠান খুবই উপভোগ করতাম বলে সময় পেলেই রেডিওর নব ঘুরাতাম৷ আপনাদের পাঠানো ডিজিটাল রেডিওটি এখনও যত্ন করে রেখেছি৷ এর পর পারিবারিক জীবন, চাকুরি ব্যস্ততা ও আপনাদের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখন ফেসবুক সোশাল পেজে নিয়মিত আছি ও থাকবো৷ আমার সংগ্রহে থাকা দুটি ছবি পাঠালাম আশা করি ভালো লাগবে৷
ধন্যবাদান্তে মো. জাহাঙ্গীর আলম মান্টু, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি, বাংলাদেশ৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করে৷ সেখানে ১৮ বছরের কমবয়সি শিশু-কিশোরদের শ্রমিক কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
তোয়ালে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে তোয়ালে তৈরির কারখানায় কাজ করে এই শিশুটি৷ আইএলও-র হিসাবে এশিয়ায় প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ শিশু কাজ করছে৷ অর্থাৎ ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু-কিশোরের প্রায় ১০ শতাংশ কাজেকর্মে নিয়োজিত৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
দিনে ৬৫ টাকা
লেখাপড়ার পরিবর্তে এই শিশুটি ইট তৈরি করছে৷ চরিম দরিদ্রতার কারণে ভারতের অনেক পরিবার তাদের শিশুদের কাজে পাঠিয়ে থাকে৷ দিন প্রতি মাত্র ৮০ সেন্ট, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ বাংলাদেশি টাকা পায় তারা৷ এ জন্য তাদের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
সস্তা শ্রম
ভারতের সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ শিশু-কিশোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে৷ তারা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে রান্না করা, রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার করা – সব কাজই করে৷ এমনকি ইট কাটা, মাঠে তুলা তোলা ইত্যাদি কাজও করে থাকে শিশুরা৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
অমানবিক অবস্থা
২০১৩ সালে প্রকাশিত আইএলও-র একটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের শিশু শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করে৷ তাদের অধিকাংশকেই কোনোরকম চুক্তিপত্র ও চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ করতে হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ-এর হিসাবে, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিশু-কিশোর তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি
কম্বোডিয়ায় স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরের সংখ্যা অনেক কম৷ বেশিরভাগই তাদের মা-বাবার সঙ্গে কাজ করে৷ এছাড়া হাজার হাজার শিশু রাস্তায় বাস করে কম্বোডিয়ায়৷ এই যেমন এই শিশুটি৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
২০০০ সালের পর বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমলেও এশিয়ার অনেক দেশ যেমন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে পরিস্থিতির এখনও ততটা উন্নতি হয়নি৷
লেখক: এস্থার ফেল্ডেন/ জেডএইচ
– ভাই জাহাঙ্গীর আলম মান্টু ,এতো বছর আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে৷ অনেক বছর আগে চিঠিপত্র বিভাগের প্রধান ই.পেটারসেন সাহেবের সাথে ঢাকায় তোলা আপনাদের ছবিটি দেখে ভালো লাগলো৷
নিয়মিত লেখক এমএ বারিক, ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া থেকে লিখেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ কে জানেন? এদের পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক নেই বললেই চলে৷ তাও আবার প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়৷ মাসে তাঁদের গড় বেতন ৫১০ টাকা, কাজ করতে হয় কমপক্ষে দশ ঘণ্টা৷ আর ঘুমাতে হয় রান্না ঘরের মেঝেতে৷ এমন সব নিম্ন শ্রেণির মানুষের কথা উঠে এসেছে ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটের পাতায়৷ যা আমাদের মত সচেতন মানুষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে৷ ডয়চে ভেলে সবসময় নির্যাতিত অবহেলিত, বৈষম্যপূর্ণ মানুষের কথা বলে৷ এ সব কারণেই ডয়চে ভেলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মিডিয়া৷
পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন, বন্ধু রাজীব৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মূল লক্ষ্য ডয়চে ভেলে
দুই প্রজন্মের দুই দেশের দু’জন শ্রোতাবন্ধু৷ ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান শোনার মধ্য দিয়ে যাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে৷ হুগলি জেলার প্রয়াত বন্ধু মদন গোপাল মুখার্জী , যিনি বাংলা অনুষ্ঠানের শুরুর সময় থেকেই ডয়চে ভেলের সাথে ছিলেন৷ যার চিঠির প্রায় পুরোটা জুড়েই থাকতো অনুষ্ঠান বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা৷ যা কর্মীদের অনুষ্ঠান সাজাতে ভাবাতো৷ মদনের বাড়িতে গোপালগঞ্জের বন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার অনুষ্ঠান বিষয়ে আলোচনা করছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
একসাথে রেডিও শুনবো
প্রায় ১৫ বছর আগে পাঠানো একটি ছবি, তখন এভাবেই ডয়চে ভেলে অনুষ্ঠানের ভক্ত বন্ধুরা গ্রামে সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে একসাথে শর্টওয়েভ-এ তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান শুনতেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ক্লাবগুলোর মধ্যে একতা
কপিলমুনি, খুলনার সুন্দরবন ইন্টারন্যাশনাল যে ক্লাবটি গঠিত হয়েছিলো প্রায় ২২ বছর আগে৷ ছবিতে ক্লাবের সভাপতি আরশাদ আলী বিশ্বাস, বিকাশ রঞ্জন ঘোষকসহ অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে করা হয়েছিলো বিশাল আয়োজন যাতে অংশ নিয়েছিলো সে সময়ের বেশ কয়েকটি সক্রিয় ক্লাব৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলেকে চিঠি লিখতে চাই নীরবতা
১৯৯৪ সালে পাঠানো ছবিতে দেখা যাচ্ছে কুড়িগ্রামের শাপলা শর্টওয়েভ শ্রোতাসংঘের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মাষ্টারকে৷ যিনি নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে আমাদের কাছে তার মূল্যবান মতামত পাঠাতেন লম্বা লম্বা চিঠিতে৷ শর্টওয়েভ বন্ধ হয়ে যাবার পর তাঁকে আমরা সেভাবে আর না পেলেও একেবারে হারিয়ে যাননি ডয়চে ভেলে থেকে৷ মাঝে মধ্যে ছোট্ট করে এসএমএস-এ জানিয়ে দেন তিনি আছেন আমাদের সাথে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মনে পড়ে ছাত্র জীবনের কথা
কুষ্টিয়ার ফ্রেন্ডস রেডিও লিসনার্স ক্লাব, বর্তমানে যে ক্লাবটি ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব ঢাকা নামে পরিচিত৷ প্রায় ১৩ বছর আগে ক্লাবের সভাপতি সোহেল রানা হৃদয় যখন ছাত্রাবস্থায় ছিলেন তখন ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে তোলা এই ছবিটি পাঠিয়েছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
যানবাহনেও ডয়চে ভেলে
সুর সংলাপ রেডিও ক্লাব, যশোরের বন্ধু মো.মুজিবুল হক এই ছবিটি পাঠিয়েছেন ১৯৯৯ সালে৷ রাস্তায় গাড়িতে গাড়িতে ডয়চে ভেলের স্টিকার লাগিয়ে এভাবেই ক্লাবের সদস্যরা ডয়চে ভেলেকে আরো পরিচিত করিয়েছেন, জনপ্রিয় করেছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলে থেকে পাওয়া উপহার
কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহের দিশারী রেডিও শ্রোতাসংঘের পক্ষ থেকে শ্রোতাবন্ধু শামীম উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে জনপ্রিয় করতে আয়োজন করেছিলেন একটি প্রতিযোগিতার৷ বিজয়ীদের অন্যান্য পুরস্কারের পাশাপাশি ডয়চে ভেলে থেকে পাঠানো উপহারও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
সবকিছুতেই ডয়চে ভেলে
মুর্শিদাবাদের কয়েকটি ক্লাব মিলে আন্তর্জাতিক বেতার প্রদর্শনী ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো, লক্ষ্য ডয়চে ভেলেকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া৷ ছবিতে বিজয়ী বন্ধু আরতি মজুমদার, ( যিনি ডয়চে ভেলেকে নিয়ে বিস্মৃত ডাক নামে বইও লিখেছেন৷ সহিদুল হকও অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ছবিটি পাঠিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু বিশ্বনাথ মণ্ডল ১০৯৯ সালে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
পুরানো সেই দিনের কথা
এ ছবিটিও ১৯৯৯ সালে তোলা ডয়চে ভেলের চিঠিপত্র বিভাগে কর্মীদের নিয়ে৷ তখন এভাবেই ডাকে শ্রোতাবন্ধুদের চিঠি এসে পাহাড় জমে যেতো৷ ছবিতে নুরুননাহার সাত্তার সহ হিন্দি, ইংরেজি এবং ইন্দোনেশীয় ভাষার কর্মীদের দেখা যাচ্ছে চিঠিপত্র বিভাগের প্রধান ড.অলিভার স্যোলনারকে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
আজকের প্রযুক্তি
আগের ছবিগুলো ১০ থেকে ২০ বছরের পুরনো৷ দেখাই যাচ্ছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে কলকাতার বন্ধু স্বপন চক্রবর্তী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন৷ ছবিতে এই মিষ্টি মেয়েটি শ্রোতাবন্ধু স্বপনের ‘সৃষ্টি’৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
তিনি লিখেছেন ‘‘প্রিয় ডয়চে ভেলে পরিবার, আমার ভালোবাসাময় শুভেচ্ছা নিবেন৷ রমজানের ছুটির অবসরে নিয়মিত চোখ থাকছে ডয়চে ভেলের বাংলা ওয়েবে৷ গাজার বর্তমান অবস্থা নিয়ে তথ্য চিত্র প্রতিবেদন বেশ আপডেট হচ্ছে৷ দিন যাচ্ছে আর নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধিই পাচ্ছে! এর শেষ কোথায়? সত্যিই মানবিক দিক দিয়ে আমরা ব্যথিত৷
ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটের সমাজ সংস্কৃতি পাতায় ‘মানুষ কেটে খাওয়ায় তার কাজ' প্রতিবেদনটি পড়ে আশ্চর্য হলাম ! লজ্জাকর হলেও সত্য যে বাংলাদেশে সরকারী চাকুরিজীবীদের ভুয়া মুক্তিযুদ্ধ সনদপত্র ধরা পড়েছে৷ ভারতের বিচার বিভাগে দুর্নীতির অবস্থা জেনে খারাপই লাগলো৷ সব মিলিয়ে বলা যায় বাংলা ওয়েব সারা বিশ্বের দিকেই বেশ ভালোই নজর রাখছে৷
১২ ও ১৩ জুলাই তারিখের টপ গেম কুইজের ফলাফল যদি প্রকাশ হয়েই থাকে, তবে আমাকে ফলাফলের ওয়েব লিংকটা জানাবেন৷ হয়তো বা খেলা দেখার পাশাপাশি পরীক্ষার পড়াশুনার চাপে সঠিক সময়ে ফলাফলটা দেখতে পারি নাই! তবে আমি আপনাদের কেমন পাঠক সেটা আপনারই মূল্যায়ন করবেন৷ সময়ের সাথে আগামীর পথে দর্শক পাঠকদের মন জয় করে এগিয়ে যাক ডয়চে ভেলে বাংলা এই শুভকামনায় '' রাজীব কুমার মণ্ডল, হাসিমপুর, সালামপুর, লালপুর, নাটোর থেকে পাঠিয়েছেন এই ই-মেলটি৷
-লেখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ৷ পাঠক রাজীবের অনুরোধে জানাচ্ছি, গত ১২ ও ১৩ই জুনের টপ গেম কুইজের বিজয়ী বন্ধুরা হলেন, সুজানগর, পাবনার রীনা পারভীন আর দ্বিতীয়জন হলেন, প্রীতম মাহমুদ যিনি এখনো পোস্টাল ঠিকানা পাঠান নি৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন