1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২৬৮জন এখনো নিখোঁজ!

১৮ এপ্রিল ২০১৪

দক্ষিণ কোরিয়ার ডুবে যাওয়া ফেরির ২৬৮ জন যাত্রীকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি৷ এ পর্যন্ত ১৭৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ২৮টি মৃতদেহও৷ উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে যাত্রীদের স্বজনরা এখনো ক্ষুব্ধ৷

https://p.dw.com/p/1Bkdn
Südkorea Fährunglück 18.04.2014
ছবি: Reuters

দক্ষিণ কোরীয় উপকূলে বুধবার ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে ৪৭৫ জন যাত্রী ছিল৷ যাত্রীদের অধিকাংশ যাত্রীই ছিল স্কুল শিক্ষার্থী৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় ফেরিটি চালাচ্ছিলেন এক জুনিয়র অফিসার৷ এ নিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও ফেরি কর্তৃপক্ষের দাবি, এতে কোনো নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি৷ ফেরি কর্তৃপক্ষ এবং ক্যাপ্টেন দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন৷ তবে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নন এমন দাবিও করেছেন তাঁরা৷

যাত্রীদের স্বজনরা অবশ্য দুর্ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষ এবং দায়িত্বরত ক্যাপ্টেনদেরই দায়ী মনে করেন৷ ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় ক্যাপ্টেনসহ অন্যান্য কর্মীদের অনেকে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচান৷ মৃত্যুভয়ে আতঙ্কিত স্কুল শিক্ষার্থীরা তখন তাদের বাঁচানোর জন্য সহায়তা চাইছিল৷ ক্যাপ্টেন এবং ফেরির অন্যান্য কর্মীরা তখন সহায়তায় এগিয়ে না গিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদেরও পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে হ্যাম ইয়ং-হো বলেন, ‘‘তিনি (ক্যাপ্টেন) কী করে ছোট ছোট বাচ্চাদের ডুবন্ত ফেরি থেকে নিজে নিজে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর কথা বলতে পারলেন?'' হ্যাম ইয়ং-হো-র সন্তানও ওই ফেরিতে ছিল৷ তাঁকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি৷

বুধবার সকালে ইনচিয়ন বন্দর থেকে ৪৭৫ জন যাত্রী নিয়ে জেজু দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে চোংহাজিন মেরিন কোম্পানির একটি ফেরি৷ জেজু দ্বীপ অবকাশ যাপন কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধ৷ ছুটির আনন্দে কয়েকটি দিন কাটাতে গিয়ে এখনো সন্ধান না পাওয়া ২৬৮জন যাত্রীর অধিকাংশের সলীল সমাধি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স,এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য