1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুলি না চালানোর প্রশিক্ষণ

ডেনিস স্টুটে/এসি৩১ আগস্ট ২০১৪

অর্থাৎ ‘গুলি চালিও না’৷ সেটাই হলো একটি গুলি চালানোর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শীর্ষক, জনবহুল উত্তর রাইন পশ্চিম ফালিয়া রাজ্যে৷ অবশ্য জার্মান পুলিশ অফিসাররা পারতপক্ষে গুলি চালান না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি ঠিক যার উল্টো৷

https://p.dw.com/p/1D41O
Schießtraining bei der Polizei
ছবি: picture-alliance/dpa

ফার্গুসন-এ মাইকেল ব্রাউন হত্যার পর অ্যামেরিকা তোলপাড়৷ শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বিভাজনের ক্ষতটা থেকে এবার যেন শুধু রক্তক্ষরণ নয়, বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে৷ কিন্তু মার্কিন মুলুকে ব্যক্তিস্বাধীনতার খুঁটি বলে যে বস্তুটি পরিগণ্য হয়, সেটি হলো নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার৷ সারা দেশে সম্ভবত ৪০ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র আছে৷ ফলে অ্যামেরিকায় গুলি চলেই থাকে, যেমন জনসাধারণ, তেমনই পুলিশের দিক থেকে: ফার্গুসন-এর ঘটনা যার সর্বাধুনিক নিদর্শন৷

কী ঘটেছে ফার্গুসন-এ? ১৮ বছরের নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণটির দিকে কেন গুলি চালালেন সংশ্লিষ্ট শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারটি? জার্মানিতে কি এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে – পুলিশের তরফ থেকে? যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বেশ কয়েক'শো মানুষ পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান – ধরে নেওয়া যাক তাঁদের অধিকাংশই অপরাধী, কিন্তু তা সত্ত্বেও একটা মানুষের প্রাণ তো একটা মানুষের প্রাণই? জার্মানিতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানোর পরিসংখ্যান শুনুন: গত দু'বছরে আটজন; ১৯৯৮ সাল যাবৎ ১০৯ জন৷

জার্মানিতে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা এত কম হওয়ার একটা কারণ: এ দেশে অপরাধী কিংবা সাধারণ মানুষদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার সম্ভাবনা কম৷ তা সত্ত্বেও বলা যায়, সত্তরের দশক যাবৎ জার্মান পুলিশের মধ্যে প্রথমেই কিংবা সামান্য প্ররোচনাতেই গুলি না চালানোর চেতনা ও মনোবৃত্তি ক্রমেই আরো গভীরভাবে দানা বেঁধেছে – এবং সেটা রাজনীতি ও পুলিশ বিভাগের ওপরওয়ালাদের সচেতন সিদ্ধান্ত হিসেবেই৷

উত্তর রাইন পশ্চিম ফালিয়া রাজ্যের পুলিশ বিভাগের রংরুটরা তাই তাদের গুলি চালানোর প্রশিক্ষণে শেখে: গুলি না চালাতে! তাদের মনে রাখতে বলা হয়, আগ্নেয়াস্ত্র বস্তুটি কোনো খেলনা নয়, বরং একটি প্রাণঘাতী অস্ত্র৷ পুলিশ রেঞ্জে টার্গেট প্র্যাকটিসের পরই শুরু হয় চাপ ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার ট্রেনিং – এমনকি রোল প্লেয়িং-ও বাদ যায় না৷ তা সত্ত্বেও যে দুর্বলতাটা থেকে যায়, সেটা হলো মানুষ চিনতে ভুল করা – যে মানসিকভাবে অসুস্থ, তাকে অপরাধী বলে মনে করা৷

গত বছর বার্লিনে একজন পুলিশ অফিসার একজন উলঙ্গ পুরুষকে গুলি করে মারেন, যে ছুরি হাতে একটি ফোয়ারার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল৷ পরে জানা যায়, সে মানসিক রোগে ভুগছিল৷ বার্লিনের একটি টিভি চ্যানেলের রিপোর্ট অনুযায়ী বিগত পাঁচ বছরে যতজন পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছেন, তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশই ছিলেন মানসিক রোগগ্রস্ত এবং অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের কাছেও সে তথ্য অজ্ঞাত ছিল না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য