1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানের আকাশসীমায় চীনা বিমান

১৩ ডিসেম্বর ২০১২

বৃহস্পতিবার একটি চীনা পর্যবেক্ষণ বিমান পূর্ব চীন সাগরে বিতর্কিত দিয়াওউ ওরফে নানকাকু দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে উড়ে যায়৷ এর প্রতিক্রিয়ায় জাপান এক বহর জঙ্গিজেট আকাশে পাঠায়৷

https://p.dw.com/p/171bK
An Osprey aircraft departs Iwakuni Air Base in Iwakuni, Yamaguchi prefecture, southern Japan Tuesday, Oct. 2, 2012. Japan's Kyodo News reports that another three Osprey hybrid aircraft are heading on Tuesday to Marine Corps Air Station Futenma in Okinawa, a day after six Osprey aircraft were transferred to Futenma. All told, 12 of the MV-22 Osprey aircraft will be stationed at Futenma, which is surrounded by residential areas amid people's concern about the plane's safety. (Foto:Kyodo News/AP/dapd) JAPAN OUT, MANDATORY CREDIT, NO LICENSING IN CHINA, FRANCE, HONG KONG, JAPAN AND SOUTH KOREA
ছবি: Kyodo News/AP/dapd

১৯৫৮ সাল যাবৎ জাপান তার বায়ু সীমানার উপর নজর রেখে আসছে, কিন্তু চীনা বিমানের জাপানের বায়ু সীমানা লঙ্ঘণের ঘটনা এই প্রথম৷ অবশ্য দ্বীপগুলির মালিকানা নিয়ে চীন ও জাপানের মধ্যে বিরোধ, তকরার, এমনকি উত্তেজনা অনেকদিনের৷ চীনা ভাষায় এই দ্বীপপুঞ্জের নাম দিয়াওউ, জাপানি ভাষায় নানকাকু৷ জাপান গত নভেম্বর মাসে দ্বীপগুলি ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত'' করার পর বেইজিং সরকার অতিমাত্রায় ক্ষুব্ধ এবং চীনের জনতা ঠিক সেই পরিমাণ ক্ষিপ্ত৷ দ্বীপগুলির আশেপাশে চীনা মাছধরা ট্রলারের আসা-যাওয়া নিয়ে জাপানি উপকূলরক্ষা বাহিনির সঙ্গে প্রায়ই ছোটখাটো ‘‘ঘটনা''-ও ঘটে চলেছে৷

কিন্তু চীন যে এবার একটি ওয়াই-১২ গোত্রীয় টুইন-টার্বোপ্রপ নৌ-পর্যবেক্ষণ বিমান পাঠিয়েছে, তার ফলে বিরোধ আরো এক পর্যায় উপরে উঠল, বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ তাঁদের ধারণা, এটা চীনের একতরফাভাবে একটা ‘‘নতুন স্বাভাবিক অবস্থা'' নির্ধারণ করার অভিযানের অঙ্গ৷ ঐ ‘‘নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে'' চীনের জাহাজগুলি তাদের মর্জি মতো বিতর্কিত দ্বীপগুলির কাছে আসা-যাওয়া করতে পারবে, এটাই হল সম্ভবত চীনের উদ্দেশ্য৷

তার উপর আবার ১৯৩৭ সালের নানজিং হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকী পড়েছে ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে, জাপানি সম্রাটের সৈন্যরা যখন চীনের সে আমলের রাজধানীতে প্রায় তিন লাখ মানুষকে হত্যা করে বলে চীনের ইতিহাসবেত্তাদের দাবি৷ দক্ষিণ চীন সাগরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে প্রচারণার উদ্দেশ্যটাও খানিকটা যোগ হয়ে থাকতে পারে৷

জাপানের প্রতিক্রিয়া সতর্ক এবং কূটনীতিকসুলভ৷ জাপান সরকারের মুখ্য সচিব ওসামু ফুজিমুরা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক৷ আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করছে, এমন যে কোনো কর্মের আমরা এ'দেশের আইন ও নিয়মাবলী অনুযায়ী পূর্বাপর দৃঢ়বদ্ধভাবে মোকাবিলা করব৷'' অপরদিকে এটাও ঠিক যে, জাপান আটটি এফ-১৫ জঙ্গিজেট এবং একটি ই-২-সি শীঘ্র সতর্কতা বিমান আকাশে পাঠিয়ে চীনকে জানান দিয়েছে যে, চীনের ‘‘নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি'' জাপানের নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়৷

অপরদিকে বেইজিং'এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নৌ-পর্যবেক্ষণ বিমানটির উড়ালকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলে বর্ণনা করেছে৷ মুখপাত্র হং লেই যোগ করেছেন, ‘‘চীন চায় যে জাপানি তরফ থেকে দিয়াওউ দ্বীপপুঞ্জের পানি তথা বায়ু অঞ্চলে বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা হোক৷''

এসি / জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য