1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাকাতের অর্থ জঙ্গিদের পকেটে?

২০ জুলাই ২০১৪

পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি ওয়েবসাইটে এমন কথাই বলা হয়েছে৷ রোজার সময় দেয়া ফিতরা, জাকাত ও সদকার অর্থের একটা অংশ নাকি পাচ্ছে জঙ্গি আর সন্ত্রাসীরা৷

https://p.dw.com/p/1CfQv
ছবি: AP

‘হক হাকদার তাক' ওয়েবসাইট বলছে, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে, যে সব দাতব্য সংস্থা জাকাত, ফিতরা ও সদকার টাকা সংগ্রহ করে তাদের কয়েকটির সঙ্গে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের সম্পর্ক রয়েছে৷''

জাকাত ও সদকা থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০০ বিলিয়ন রুপি অর্থ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে হক হাকদার তাক৷ এর প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই আসে রোজার সময়৷

তবে জামাত-উদ-দাওয়া ও আল-রহমত ট্রাস্ট নামে দুটি দাতব্য সংস্থার মুখপাত্র বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেছে, সংগৃহীত অর্থ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হয়৷

জামাত-উদ-দাওয়া, যার সঙ্গে ২০০৭ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালানো গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, সেই গোষ্ঠীর সালমান শহিদ ডিপিএকে বলেছেন, ‘‘আমরা গরিবদের জন্য স্কুল ও হাসপাতাল চালাই৷ গত বছর আমরা প্রায় দেড়শো কোটি রুপি খরচ করেছি৷ আমরা সারা বছরই অর্থ সংগ্রহ করি, তবে রোজার মাসটা বিশেষ সময়৷''

আল-রহমত ট্রাস্টের মাওলানা ইমদাদুল'ও কোনোরকম জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার করা অস্বীকার করেছে৷ অথচ তাদের সঙ্গে কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠী জয়শ-ই-মোহাম্মদের সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷

এদিকে জাকাত, ফিতরা কিংবা সদকার অর্থ দেয়ার ক্ষেত্রে মানুষ যেন সচেতন হয় সে জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে পাকিস্তানের সরকার৷ রাজধানী ইসলামাবাদে টাঙানো একটি ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘‘কোনো সংস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি জানার পর অর্থ দান করুন৷ না হলে আপনার অর্থ রাষ্ট্রবিরোধী কাজে ব্যবহৃত হতে পারে৷''

তবে ‘সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউট’-এর আবিদ সুলেরি বলছেন, সরকারের উচিত এমন প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করা যারা সত্যিকার অর্থে কল্যাণমূলক কাজ করছে৷ তাহলে হয়ত জনগণের সুবিধা হবে৷

জেডএইচ / এসবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য