1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাইরোপ্লেন এবং সিঙ্গল রিফ্লেক্স

স্টেফানি ড্রেশার/এসি২৭ মার্চ ২০১৫

পোল্যান্ডের এক ফটোগ্রাফার তাঁর ক্যামেরা নিয়ে আকাশে ওঠেন ছবি তোলার জন্য, এমন সব ছবি, যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সভ্যতার, মানুষ আর প্রকৃতির সংযোগের নানান কাহিনি৷

https://p.dw.com/p/1EyIW
Morasko meteorite nature reserve
ছবি: BY-SA-CC

পোল্যান্ডের উত্তরে কাশুবিয়া অঞ্চলের হেমন্তের অরণ্যে রংয়ের জাদু৷ অথবা গেডানস্ক শহরের কাছে একটি গুদাম, বরফের মধ্যে যন্ত্রপাতি ডাঁই করা রয়েছে৷ অথবা স্যান্ডোমিয়েরৎস শহরটি যখন বন্যার জলে ডুবে৷ আবার বিমূর্ত প্রকৃতি: ডিজিটাল সিঙ্গল লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা দিয়ে আকাশ থেকে তোলা ছবি৷ এ সবই হল পোলিশ আলোকচিত্রশিল্পী কাস্পার কোভালস্কি-র ট্রেডমার্ক৷ কোভালস্কি বলেন: ‘‘এই ছবিগুলো আমাদের সভ্যতার কতোগুলো বিশেষ দিক নিয়ে৷ পোল্যান্ডের এই প্রাকৃতিক দৃশ্য যেন সভ্যতার একটি দর্পণ৷''

কাস্পার কোভালস্কি চার বছর স্থপতি হিসেবে কাজ করার পর ঠিক করেন যে, তিনি তাঁর দু'টি নেশাকে করবেন তাঁর পেশা: বিমানচালনা এবং ছবি তোলা৷ চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি তাঁর নতুন পেশায় মন দেন: এরিয়াল ফটোগ্রাফি৷ তাঁর বাহন হল একটি জাইরোপ্লেন, ছাদবিহীন খুদে হেলিকপ্টার৷ এই জাইরোপ্লেন নিয়ে তিনি তাঁর স্বদেশ পোল্যান্ডের আকাশে ঘুরে বেড়ান, উড়ে বেড়ান৷ নিয়মিত তাঁর ‘বাহনের' দেখাশোনা, মেরামতি করতে হয়৷ মাঝেমধ্যে পরিষ্কার আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়৷ তবে একবার আকাশে উঠলে কাস্পার কোভালস্কি যেন ধ্যানমগ্ন হয়ে যান৷ তাঁর সামনে এমন একটা জগত, যা শুধু আকাশ থেকে দেখা যায়৷ আকাশ থেকে কোনো কোনো জায়গা যেন নতুন করে দেখেন ৩৭ বছর বয়সি কোভালস্কি৷ বার বার ফেরেন সেখানে, দিনের নানান সময়ে৷ যেমন গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় পোল্যান্ডের সমুদ্রসৈকতে৷ এভাবেই মানুষ আর প্রকৃতির সম্পর্ক নিয়ে ছোট ছোট কাহিনি তৈরি হয়৷

দুর্গম, নির্জন স্থান

কাস্পার কোভালস্কি গোড়া থেকেই দুর্গম, নির্জন স্থানগুলি সম্পর্কে আগ্রহী – কলকারখানা, রাসায়নিকের কারখানা, খোলা কয়লাখনি, যে সব জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে এবং খুঁজে পাওয়া শক্ত৷ কাস্পার এমন সব জায়গার ওপর দিয়ে ওড়েন এবং ছবি তোলেন, যা মানুষজন সাধারণত দেখতে পায় না৷ কোভালস্কি বলেন, ‘‘আমি মানুষকে এমন সব স্থান দেখাতে চাই, যেগুলো আমাদের এই আরামদায়ক আধুনিক জীবনের মূল্যস্বরূপ, কেননা বাড়িতে বিদ্যুতের তারে রয়েছে বিদ্যুৎ, সেটা তো কোথাও একটা উৎপাদন করতে হবে৷ ‘টক্সিক বিউটি' বা ‘বিষাক্ত সৌন্দর্য' পর্যায়ের ছবিগুলোতে সেই সব স্থান দেখানো হয়েছে, যে সব স্থান আমরা আমাদের কল্পনা, আমাদের আবেগ-অনুভূতি থেকে বাদ দিতে চাই৷''

কোভালস্কির সর্বাধুনিক বইটির নাম হল ‘সাইড এফেক্টস': মানুষ আর প্রকৃতির সংযোগ এর উপজীব্য৷ ছবিগুলোর কোনো ব্যাখ্যা দেননি কোভালস্কি, শুধুমাত্র যে স্থানগুলি দেখানো হচ্ছে, জিপিএস অনুযায়ী সেগুলির অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন আকাশে উড়ি, তখন যেমন হয়৷ আমিও আকাশ থেকে যে মাঠঘাট দেখি, তার উপর কোনো নাম কিংবা ক্যাপশন লেখা থাকে না৷ আমার বইতেও সেভাবে আমার সঙ্গে ওড়া যায়, কোনো নাম-ধাম না জেনে৷''

কাস্পার কোভালস্কি-র চোখ দিয়ে দেখলে মাটির পৃথিবী কখনো কাব্য হয়ে যায়, কখনো হয় হেঁয়ালি৷ হয়তো সেটাই তাঁর জীবনদর্শন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান