1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিক-জার্মান বসন্ত

মার্সেল ফ্যুর্স্টেনাউ/এসি২৪ মার্চ ২০১৫

গ্রিসকে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে নাটক জমেছে, তা'তে সবচেয়ে ওজনদার ভূমিকা নিঃসন্দেহে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ সবাই গোড়ায় ফাঁকি দিয়েছে, এবার বোঝাপড়ার পালা - বলছেন মার্সেল ফ্যুর্স্টেনাউ৷

https://p.dw.com/p/1Ew2Q
Berlin Tsipras bei Merkel
ছবি: Bundesregierung/Bergmann/dpa

সংকটটা যেমন বাস্তব, ঠিক তেমনই বাস্তব সেই সংকট সমাধানের প্রচেষ্টা, এ'তে কোনো সন্দেহ নেই৷ গ্রিস দরিদ্র, এবং ঠিক সেই পরিমাণে হতাশ হয়ে পড়েছে; তার আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এই দুই দেনদার তাদের ধৈর্য্যের সীমানায় পৌঁছে গেছে৷

বিশেষ করে এথেন্সে বামপন্থিদের নেতৃত্বাধীন একটি বাম-দক্ষিণ সরকার লাগাম হাতে নেওয়া যাবৎ পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে৷ গ্রিসের সামাজিক গণতন্ত্রী এবং রক্ষণশীল অধ্যুষিত অতীত সরকারগুলোর দায়িত্ব নিয়ে আজ আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই৷ আজ চাই সমস্যার বাস্তবসম্মত ও ন্যায্য সমাধান - গ্রিসের মানুষদের স্বার্থে৷

অতীত নিয়ে বাজি

তথাকথিত ইউরোপীয় প্রকল্পের ভাগ্য কিন্তু গ্রিসের সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত৷ তা না হলে ব্রাসেলসে আজ আর কেউ গ্রিসকে নিয়ে মাথা ঘামাতো না৷ কিন্তু ব্রাসেলসের রাউন্ড টেবিলে বসা ‘খেলোয়াড়রা' সকলেই জানেন, এ'বাজি হারলে সকলেরই ক্ষতি৷ গ্রিস দেউলিয়া হবার মানে কোটি কোটি ইউরো ঋণ পরিশোধ হবে না৷ দেনদারদের মধ্যে যে দেশের সবচেয়ে বেশি ঋণ খেলাপি হয়ে যাবে, সে' দেশটি হল জার্মানি৷ কাজেই ম্যার্কেল সিপ্রাসের দিকে মৈত্রীর হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভালো কাজই করেছেন৷ সোমবার ছিল সিপ্রাসের প্রথম সরকারি বার্লিন সফর: ম্যার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাতে উভয়কেই ভালো মেজাজে দেখা গেছে৷

Deutsche Welle Marcel Fürstenau
ডয়চে ভেলের মার্সেল ফ্যুর্স্টেনাউছবি: DW

উভয়ে নৈশভোজের আগে, এবং পরে চ্যন্সেলরের কার্যালয়ে প্রায় মধ্যরাত্রি অবধি কথাবার্তা বলেছেন৷ মাঝে প্রকাশ্য সংবাদ সম্মলনে যেটুকু দেখা গেছে, তা'তে দু'জনের মধ্যে সদ্ভাবই পরিলক্ষিত হয়েছে৷ দুই নেতাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যাবৎ উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন৷ গ্রিস যে সে' আমলের নাৎসি নিপীড়নের জন্য আজও ক্ষতিপূরণ প্রত্যাশা করে, চ্যান্সেলরের দপ্তরে তা গ্রহণযোগ্য হোক বা না হোক - সিপ্রাস কিন্তু বার্লিনে বলেছেন, এই দাবির ভিত্তি যতোটা না আর্থিক, তার চেয়ে বেশি নৈতিক৷ এ'ক্ষেত্রে সিপ্রাস যে নাৎসি জার্মানির গ্রিসের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা ঋণ আর ফেরৎ চাইছেন না, এমন ব্যাখ্যা করলে ভুল করা হবে৷ হয়তো তাঁর বলার ধরনটাই খেয়াল করা উচিত: ঐতিহাসিক দায়িত্বের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানের ঋণসংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান৷

‘পোকার' খেলায় ‘জোকার' চলে না

আঙ্গেলা ম্যার্কেলও দূরদর্শী৷ তিনি জানেন যে, এথেন্স সরকারের আরো সময় প্রয়োজন৷ ওদিকে সিপ্রাস জানেন যে, শুধু গ্রিসের ভবিষ্যৎ নয়, গোটা ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাপোড়েনে ম্যার্কেলই হলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি - জার্মানির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কারণে৷ উভয়ের সাক্ষাতের ফল যদি এই উপলব্ধি এবং সংশ্লিষ্ট মনোভাব হয়ে থাকে, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নামধারী অসাধারণ প্রকল্পটিকে এখনও একটা সুযোগ দেওয়া চলতে পারে৷

স্টিরিওটাইপ বা বদ্ধ ধারণায় আটকে থাকলে চলবে না - সঠিক দাবি করেছেন সিপ্রাস৷ আবার কখনো-সখনো স্টিরিওটাইপের একটা ভালো দিকও থাকে: যেমন জার্মানদের ধারণা যে, গ্রিসে আবহাওয়া সারা বছর ভালো থাকে৷ তাই না সিপ্রাস যৌথ সংবাদ সম্মেলনের শেষে বলতে পেরেছেন যে, তিনি বার্লিনে এক ঝলক বসন্ত এনেছেন!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য