1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফুটবল ইন্ডিওদের আবিষ্কার’

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

গুয়ারানি ইন্ডিয়ানদের কথা জানেন তো? গুয়ারানিরা মূলত দক্ষিণ অ্যামেরিকার একটি ‘ইন্ডিও’ উপজাতি৷ তারা নাকি আধুনিক ফুটবল খেলা আবিষ্কৃত হওয়ার দু’শো বছর আগেই ঐ ধরনের একটি খেলা খেলত, বলে দাবি করেছেন প্যারাগুয়ে সরকার স্বয়ং৷

https://p.dw.com/p/1D9pv
Symbolbild - Mädchen spielen Fußball in der Favela
ছবি: picture-alliance/dpa

সরকারি তথ্যচিত্রটির নাম: ‘‘গুয়ারানিরা ফুটবল আবিষ্কার করে''৷ তথ্যচিত্রের ভিত্তি হলো সপ্তদশ শতাব্দীর জেসুইট যাজকদের বিভিন্ন রচনা৷ জেসুইট যাজকরা গুয়ারানিদের খেলার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা-তে দেখা যাচ্ছে ইন্ডিওরা একটা বাতাস-ভরা রবারের বল নিয়ে একটি খেলা খেলত৷ সে খেলার আসল রহস্য হলো: খেলোয়াড়দের পা দিয়ে বল কন্ট্রোল করতে হয় – নিছক ফুট + বল আরকি!

সহজ-সরল গুয়ারানিরা আধুনিক ফেডারেশন ফুটবল উদ্ভাবন করে বসে আছে, এমন কথা ভুলেও দাবি করেননি প্যারাগুয়ে সরকার৷ করবেনই বা কী করে: ফুটবলের রুলবুক, মানে নিয়মাবলী প্রথম তৈরি হয় ঊনবিংশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডে – ১৮৬৩ সালে৷ তা না হলে: বল নিয়ে নানা খেলা তো প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে এবং সব ধারা এসে মিশেছে আধুনিক ফুটবলে৷ কাজেই প্যারাগুয়ে সরকার বলেছেন: জেসুইটরা প্রথম এ দেশে আসেন ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দের কিছু পরে এবং সে আমলেই গুয়ারানিরা একটি বলের খেলা খেলতো, যা শুধু পা দিয়ে খেলা হতো৷

আরও মনে রাখা দরকার, যে আমলের কথা হচ্ছে, তখন গুয়ারানিদের বাসের এলাকা ছিল আজকের বলিভিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের অংশ জুড়ে৷ আজ তাদের প্রভাব ও আধিপত্য অনেকটা গুটিয়ে এসে শুধুমাত্র প্যারাগুয়ের একাংশে সীমিত হয়েছে, তবে এই দেশে স্প্যানিশের পরেই গুয়ারানি হলো দ্বিতীয় সরকারি ভাষা এবং দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন৷

প্রথম জেসুইট পাদ্রিরা দক্ষিণ অ্যামেরিকায় পৌঁছে ভ্যাটিকানকে রিপোর্ট লেখেন, এদেশের পুরুষরা কিভাবে একটি ‘‘বাউন্সিং বল'' নিয়ে খেলে থাকে৷ খেলাটার নাম নাকি ‘‘মাঙ্গাই''৷ নামটা এসেছে মাঙ্গাইজি গাছ থেকে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা ঐ গাছের বাদামি-হলুদ রজন নিয়ে তা থেকে তাদের বাউন্সিং বল তৈরি করত৷ গাছের ছালে লম্বা একট দাগ কাটলেই সেই ক্ষত থেকে কষ ঝরতে শুরু করে৷ ভিজে বালির একটি বল বানিয়ে তার উপর একের পর এক স্তর রজন লেপতে হয়৷ শেষে এক টুকরো খড়ে ফুঁ দিয়ে বলে হাওয়া ঢোকানো হয়৷ তবে বল তৈরি শেষ৷

বলটা খুব বাউন্স করত কিন্তু তা সত্ত্বেও প্লেয়ারদের বলটা কন্ট্রোল ও ড্রিবল করতে হতো৷ খেলায় কোনো গোল ছিল না, কিন্তু যে দলটি আগে ক্লান্ত হয়ে খেলা থামাতো, তারাই হেরে গেছে, বলে ধরে নেওয়া হতো৷ মুশকিলটা ছিল এই যে, সব ম্যাচই গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হতো! জেসুইটরা অকুস্থলে পৌঁছে গুয়ারানিদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করার ব্যবস্থা করলেন: রবিবার গির্জার প্রার্থনাসভার পর গুয়ারানিদের ঐ অদ্ভুত ‘ফুটবল' খেলা হতো৷

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য