1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা'র প্রথম ম্যারাথন দৌড়ে ফিলিস্তিনির জয়

৫ মে ২০১১

চৌদ্দশ'রও বেশি ফিলিস্তিনি বৃহস্পতিবার ভোরে গাজায় জড়ো হয়েছিলেন৷ এই প্রথমবারের মতো গাজা বরাবর ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন৷ আর এই আয়োজনে শরিক হতেই তাঁদের এই ভিড়৷

https://p.dw.com/p/119YS
ফাতাহ ও হামাসের সমঝোতার পর ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন ঘটছেছবি: AP

ভোরের সূর্য উঠতে না উঠতেই প্রায় ৫০ জন প্রতিযোগী গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত হানুন শহরে ঢোকার মুখে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান৷ তাদের নার্ভাস দেখাচ্ছিলো৷ দৌড় শুরু করার জন্য বাঁশির অপেক্ষায় তারা৷ অবশ্য শেষ পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার দৌড়ে মিশর সীমান্তের কাছে দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় গিয়ে পৌঁছতে পেরেছিল নয় জন৷

অন্যান্য প্রতিযোগীদের বেশিরভাগই ছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী৷ তারা উজ্জ্বল রঙের টি-শার্ট পরে শোভাযাত্রার আঙ্গিকে অল্প দূরত্বে ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়৷ সকাল থেকে ১২শ'রও

বেশি শিশু এতে অংশ নেয়৷ তারা প্রত্যেকে এক থেকে চার কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়ায়৷

বড়দের দৌড় প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত জয়ী হলেন ৩১ বছর বয়সি নাদের আল-মাসরি নামের একজন গাজাবাসী৷ তিনি বেইত হানুন থেকে এসেছেন৷ ২০০৮ সালে বেইজিং এ অনুষ্ঠিত অলিম্পিকস এ তিনি ৫ হাজার মিটার ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন৷ আশা করছেন, ২০১২ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য গেমসেও তিনি অংশ নেবেন৷

বার্তা সংস্থা এএফপি কে মাসরি বলেন, ‘‘আজ আমার জন্য খুবই আনন্দের একটি দিন৷ কেননা এই প্রথমবারের মতো গাজায় ম্যারাথন দৌড় হলো৷'' তিনি আরও বলেন, তাঁর আশা ছিল আড়াই ঘণ্টায় নির্দিষ্ট পথ পাড়ি দিতে পারবেন৷ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সময় লেগেছে আরেকটু বেশি৷ ২ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড৷

এই প্রতিযোগিতায় কেবল দু'জন বিদেশী প্রতিযোগী ছিলেন৷ একজন ফ্রান্সের - সেবাস্টিয়ঁ ত্রিভ যিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার গাজা অপারেশনের উপ-পরিচালক৷ অন্যজন তাঁর সহকর্মী গেমা কনেল৷ তিনি অস্ট্রেলিয়ান৷এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন তিনিই৷ আর তাঁদের দু'জনই এই প্রথমবারের মতো ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিলেন৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক