খেলাধুলায় জার্মানির কয়েকজন সুপারস্টার
জার্মানির এমন অনেক তারকা আছেন ক্রীড়াঙ্গনে যাঁরা চিরস্মরণীয়৷ এমন কয়েকজনকে নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
মিশায়েল শুমাখার
ফর্মুলা ওয়ানের সর্বকালের সেরা মিশায়েল শুমাখার৷ গত বছর ফ্রেঞ্চ আল্পসে স্কি করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর দীর্ঘ দিন কোমায় ছিলেন তিনি৷ পরে বাড়ি ফিরে গেলেও এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নন এফ-ওয়ানের এই কিংবদন্তি৷বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সাতটি ড্রাইভার শিরোপার পাশাপাশি ৯১টি গ্রঁ প্রি শিরোপাও জিতেছেন ‘শুমি’৷
বরিস বেকার
সবচেয়ে কম বয়সে উইম্বলডন জেতার রেকর্ডটি এখনো তাঁর দখলে৷ মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতেছিলেন বরিস বেকার৷ ১৫ বছরের (১৯৮৪-১৯৯৯) ক্যারিয়ারে ছয়টি গ্র্যান্ডস্লাম একক জেতা বেকার একসময় নিজে ছিলেন ব়্যাংকিং-এ পুরুষদের বিশ্ব সেরা, এখন বর্তমান বিশ্বসেরা নোভাক জোকোভিচের কোচ বেকার৷
মিরোস্লাভ ক্লোজে
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৬টি গোল করা ফুটবলার মিরোস্লাভ ক্লোজে৷ জার্মানির হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন৷ সর্বশেষ সুযোগটি এসেছিল ২০১৪ সালে৷ সেবার দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টেনেছেন জার্মানির হয়েও সবচেয়ে বেশি (৭১) গোল করা এই স্ট্রাইকার৷
ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ার
অনেকের মতে জার্মানির সর্বকালের সেরা ফুটবলার তিনি৷ জার্মানিকে খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ১৯৭৪ সালে, কোচ হিসেবেও জিতিয়েছেন ১৯৯০ সালে৷ ব্রাজিলের মারিও জাগালো ছাড়া আর কেউ খেলোয়াড় এবং কোচ দুই ভূমিকাতেই বিশ্বকাপ জিততে পারেননি৷ ‘কাইজার’ বা ‘সম্রাট’ নামেও পরিচিত বেকেনবাওয়ার ফুটবলে নতুনত্বও এনেছেন৷ ফুটবলে সুইপার বা লিবারো পজিশন এসেছে বেকেনবাওয়ারের মাধ্যমেই৷
ক্রিস্টিন ওটো
দুই জার্মানি এক হওয়ার আগেই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওায়ায় ক্রিস্টিন ওটোর পরিচয় দিতে গেলে লিখতে হয়, ‘পূর্ব জার্মানির ইতিহাসের সেরা সাঁতারু’৷ তবে একীভূত জার্মানিও এত বড় মাপের সাঁতারুর দেখা পায়নি৷ ওটো তাঁর ক্যারিয়ারকে স্মরণীয় করে রেখেছেন অলিম্পিকের এক আসরে ছয়টি সোনা জিতে৷ ১৯৮৮ সালে সিউল অলিম্পিকে এই অনন্য নজির গড়েন তিনি৷
স্টেফি গ্রাফ
মেয়েদের টেনিস ইতিহাসে অন্যতম সেরা তারকা স্টেফি গ্রাফ৷ ১৯৮২, অর্থাৎ পশ্চিম জার্মানির হয়ে শুরু করে ১৯৯৯ সাল, অর্থাৎ একীভূত জার্মানির হয়ে শেষ করাক ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে মোট ২২টি একক শিরোপা জিতেছেন গ্রাফ৷ এত বেশি গ্র্যান্ড স্লাম একক শিরোপা মেয়েদের টেনিসে আর কেউ জেতেননি৷ দীর্ঘদিন মেয়েদের টেনিসের বিশ্বসেরা ছিলেন তিনি৷ বিয়ে করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক টেনিস তারকা আন্দ্রে আগাসিকে৷