1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রামাদি ছিনিয়ে নেব: আবাদি

২৬ মে ২০১৫

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর হাত থেকে ইরাকের রামাদি শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরাকি বাহিনী৷ প্রাথমিক সমালোচনার পর ওয়াশিংটন ইরাকের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে৷

https://p.dw.com/p/1FWPC
Irak Ramadi Angriff
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Al-Shemaree

রামাদি শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সোমবার আরও যোদ্ধা নিয়ে এসেছে আইএস৷ শনিবার থেকে পালটা হামলা চালিয়ে ইরাকি বাহিনী শহরের পূর্বাংশে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে৷ ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী ও স্থানীয় উপজাতীয় সুন্নি যোদ্ধারাও তাদের সহায়তা করছে৷

আইএস-এর একের পর এক সাফল্যের কারণে ইরাকের সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে৷ বিশেষ করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার যেভাবে সরাসরি ইরাকি বাহিনীর সদিচ্ছা ও মনোবলের অভাব নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন, তার ফলে ইরাকের সরকার কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছিল৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি-র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন৷ হোয়াইট হাউসের সূত্র অনুযায়ী, গত ১৮ মাস ধরে আইএস-বিরোধী সংগ্রামে ইরাকি বাহিনীর আত্মত্যাগের প্রশংসা করেছেন বাইডেন৷ তিনি মার্কিন প্রশাসনের সহায়তা চালিয়ে যাবার আশ্বাসও দিয়েছেন৷ হায়দার আল-আবাদি বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ইরাকি সেনাবাহিনী রামাদি দখল করে নেবে৷

আইএস সিরিয়ার ঐতিহাসিক পালমিরা শহর দখল করার ফলেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ রোমান আমলের অমূল্য নিদর্শনগুলির ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ সিরিয়ার বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা আইএস-এর উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷ শহর দখল করার পর আইএস জঙ্গিরা অনেক শিশু সহ কমপক্ষে ২১৭ জনকে হত্যা করেছে৷

রামাদি ও পালমিরায় আইএস-এর সাফল্যের ফলে শুধু বিমান হামলার কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠছে৷ মার্কিন নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনী এতকাল এই কৌশল চালিয়ে এসেছে৷ অর্থাৎ আইএস-এর বিরুদ্ধে সরাসরি সংগ্রামের জন্য স্থানীয় বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে৷ একমাত্র আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে ইরানই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে৷ কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে সামরিক উপদেষ্টা, অন্যান্য ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে তেহরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী আইএস-বিরোধী অভিযানে মূল ভূমিকা পালন করছে৷ ইরানের আরেক ঘনিষ্ঠ শক্তি লেবাননের হেজবোল্লাহ-ও আল-কায়েদার শাখা হিসেবে পরিচিত আল-নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছে৷ সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী দমনে গোটা অঞ্চল জুড়ে ইরানের উপর নির্ভরতার পরিণাম কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)