1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কামারুজ্জামানের ফাঁসি এবং ব্লগারদের পথচলা

১৩ এপ্রিল ২০১৫

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্লগ জনপ্রিয় হওয়ার পেছনের কারণটা কি? যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ছেলের লেখা থেকেই কি এর সূত্রপাত? আজকের ব্লগওয়াচে থাকছে সেসব প্রশ্নের উত্তর৷

https://p.dw.com/p/1F6wX
Bangladesch Dhaka Proteste
ছবি: picture-alliance/dpa

ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এ ১১ই এপ্রিল ‘‘ভি তো আমরা দেখাবো ওয়ামি, তোমরা না'' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়৷ লিখেছেন অমি রহমান পিয়াল৷ সেখানে তুলে ধরেছেন, কোথা থেকে ব্লগারদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি উঠল৷ কেন তাঁরা কামারুজ্জামানের ছেলের একটি লেখার প্রতিক্রিয়ায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন৷

আরেক ব্লগার আরিফ জেবতিক ফাঁসি কার্যকরের তিন দিন আগে ফেসবুক পাতায় একটি পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার এই মুহূর্তটি বাংলাদেশি ব্লগারদের কাছে অন্য রাজাকারদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার চাইতে ভিন্নতর৷ বাংলা ব্লগে কামারুজ্জামানের দুই ছেলে ওয়ালি এবং ওয়ামির ক্রমাগত উস্কানিমূলক আচরণ নেট জগতে রাজাকারের বিচারের দাবিকে তীব্রতর করে তোলে৷ এই দুইজন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বেসবল দিয়ে পেটাতে হবে জাতীয় হুমকি দিত বা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অশ্লীল গালাগালি করতে পছন্দ করত৷ তাদের এই উদ্ধত আচরণের বিপরীতে বাংলা ব্লগাররা ধীরে ধীরে সংঘবদ্ধ হয়ে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তরুণ প্রজন্মের পক্ষে লেখালেখির স্পেস দখল করে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের জনমত গঠনে কাজ হয় এবং বাকিটা তো ইতিহাস...৷''

Mohammad Kamaruzzaman
ছবি: Reuters

আরিফ জেবতিক লিখেছেন, ‘‘কামারুজ্জামানের এই রায় কার্যকর করার মুহূর্তে আমি স্মরণ করছি সেকালে সেই সহযোদ্ধাদের, যাদের অনেকেই হয়তো আর ব্লগ জগতে এখন নেই, কিংবা থাকলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, নিজেদের মধ্যে মারামারি গালাগালিতে ব্যস্ত আছেন; কিন্তু এদের প্রত্যেকের রাতের পর রাত ঘুমহীন পরিশ্রম, দিনের পর দিন ধৈর্য্য ও ক্রোধের সমন্বয়, সবকিছু আজকের এই দিনে বড্ড মনে পড়ছে৷ আমরা এই দিনটি অবশেষে দেখে যেতে পারছি, আমরা গন্তব্যের শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে আছি৷''

এদিকে, কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর এখন যুদ্ধাপরাধের বিচারের পরবর্তী অবস্থা নিয়ে ভাবছেন ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীরা৷ আজম খান ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘কাদের মোল্লা, কামারুকে ঝুলানোর পর্ব শেষ৷ এরপরে সিরিয়ালে এগিয়ে আছে মুজাহিদ এবং সাকা চৌধুরী৷ একাত্তরের অসমাপ্ত লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়ের পথে আরো একটি ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ৷ জয় বাংলার লড়াই চলবে...''

সামহয়্যারইন ব্লগে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন রেজা ঘটক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘দুটি ট্রাইব্যুনালে গত পাঁচ বছরে এখন পর্যন্ত মোট ১৭টি মামলায় রায় হয়েছে৷ ৫টি মামলা পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়েছে৷ এছাড়া অপর ৬টি মামলা এখন বিচারাধীন রয়েছে৷ আর চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আরও নয়টি আপিল৷'' এই মামলাগুলোর বিস্তারিত তথ্য নিজের পোস্টে তুলে ধরেছেন রেজা ঘটক৷

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য