কাবুল থেকে কলকাতা – একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকেই আফগানরা, যাঁদের গড়পড়তা বাঙালি কাবুলিওয়ালা নামেই চেনে, তাঁরা কলকাতায় আসতে শুরু করেন, গড়ে তোলেন বসতি৷ সেই কাবুলিওয়ালাদের নিয়েই এবার একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী মন কেড়েছে কলকাতার, কলকাতাবাসীর৷
রেওয়াজ বদলায়নি আজও
আলোকচিত্র প্রদর্শনীটির নাম – ‘ফ্রম কাবুল টু কলকাতা, অফ বিলংগিং, মেমোরিস অ্যান্ড আইডেন্টিটি’৷ দুই সাংবাদিক-আলোকচিত্রী মোসকা নাজিব এবং নাজেস আফরোজের এই যৌথ উদ্যোগটি সত্যিই নজর কাড়ার মতো৷ ছবিতে একসঙ্গে খেতে বসেছেন কাবুলিওয়ালারা৷ যেমনটা রেওয়াজ ছিল কাবুলে৷ তার আগে সমবেত প্রার্থনা৷
রবিবারের আড্ডা
বহুদিন আগে এই কাবুলিওয়ালারা কলকাতা শহর আর শহরতলিতে বাসা বেঁধেছিল, হয়ে উঠেছিল আমাদেরই একজন৷ ছবিতে দেখুন তাঁদের রবিবারের আড্ডা৷ কলকাতার গড়ের মাঠের ধারে৷
কাবুলিওয়ালাদের নাচ
আড্ডার ফাঁকে মেজাজ বুঝে নেচে ওঠে পাজোড়া৷ কাবুলিওয়ালাদের নাচ৷ গড়ের মাঠে৷ অথচ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিখ্যাত ছোটগল্পটি বাদ দিলে, বাংলায় এই কাবুলিওয়ালাদের সমাজ সম্পর্কে প্রায় কিছুই লেখা হয়নি, বলা হয়নি৷
পোশাকেই যাঁদের চেনা যায়
তবে সেই অভাব কিছুটা হলেও দূর করলেন দুই সাংবাদিক-আলোকচিত্রী মোসকা নাজিব এবং নাজেস আফরোজ৷ ছবিতে উঠে এলো তাঁদের সাজপোশাক৷ কেউ কেউ আজন্ম দেশের বাইরে, তবুও সাজপোশাকে দেশজ সংস্কৃতি ধরে রাখেন কলকাতার কাবুলিওয়ালারা৷
রং-বেরঙের বাহারি পোশাক
আর আফগানি পোশাক মানেই রঙের বাহার৷ পরব-পার্বন থাকলে তো কথাই নেই৷
চিরন্তন সামাজিক ঐতিহ্য
আফগান সামাজিক ঐতিহ্য মেনে, প্রবীণরা এখনও সবথেকে বেশি সম্মান পান পরিবারে, দলে৷
প্রিয় খেলা ‘ক্রিকেট’
তৃতীয় বা চতুর্থ প্রজন্মের কাবুলিওয়ালাদের জন্ম কলকাতাতেই৷ সে জন্যই হয়ত তাঁদের প্রিয় খেলা ক্রিকেট৷
আজকের কাবুলিওয়ালা
আলোকচিত্রী মোসকা নাজিব এবং নাজেস আফরোজের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এ সময়ের এক কাবুলিওয়ালাও৷ এ যেন এক ভিনদেশি সমাজের মুখ৷