1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলা?

২২ আগস্ট ২০১৪

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে আইসিস জঙ্গিদের উপর বিমান হামলায় কিছু সাফল্যের পর মার্কিন প্রশাসন সিরিয়ায় তাদের ঘাঁটির উপর হামলা চালানো নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে৷ এদিকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন – আইসিস ইসলাম ধর্মের জন্য অপমানজনক৷

https://p.dw.com/p/1Cz62
Propagandabild IS-Kämpfer
ছবি: picture-alliance/abaca

সিরিয়া ও ইরাক জুড়ে নিজস্ব মডেলের কট্টরপন্থি ইসলামি রাষ্ট্র স্থাপন করতে চায় আইসিস৷ ইরাকে সেনাবাহিনী ও কুর্দি পেশমারগা যোদ্ধারা অ্যামেরিকা সহ অন্য রাষ্ট্রের সাহায্য নিয়ে আইসিস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু সিরিয়ায় অরাজকতার সুযোগ নিয়ে ইসলামি জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ সেখানে এক মার্কিন সাংবাদিকের নৃশংস হত্যা এই বাস্তব আরও স্পষ্ট করে তুলেছে৷ আন্তর্জাতিক মহলে একঘরে হয়ে পড়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সহযোগিতার কোনো সম্ভাবনাও আপাতত দেখা যাচ্ছে না৷ তাই প্রশ্ন উঠছে, শুধু ইরাকের উত্তরাঞ্চলে আইসিস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সীমিত সাফল্য যথেষ্ট কি না৷ তাছাড়া শুধু সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের দমন করা সম্ভব কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে৷

James Foley Journalist Reporter
জেমস ফলি: যেই মার্কিন সাংবাদিকের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিলছবি: picture-alliance/dpa

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল বৃহস্পতিবার আইসিস জঙ্গিদের পরবর্তী চাল নিয়ে তাঁর সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর মতে, ইরাকে চাপের মুখে পড়ে তারা কৌশলগত পশ্চাদপসারণ করে সিরিয়ায় ফিরে আবার নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারে৷ তারপর ফের ইরাকে ফিরে হামলা শুরু করতে পারে৷

সিরিয়ায় যে সব সরকার-বিরোধী গোষ্ঠী আইসিস-এর আদর্শের ঘোরতর বিরোধী, তারাও হয়ত ইরাকি কুর্দিদের মতো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাতে পারতো৷ কিন্তু অ্যামেরিকা সহ পশ্চিমা জগতের কোনো সামরিক ও আর্থিক সহায়তা ছাড়া তাদের হাতে এমন ক্ষমতা নেই৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুরু থেকেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কোনো পক্ষকে উল্লেখযোগ্য সহায়তা না করার নীতি অনুসরণ করে চলেছেন৷ এমনকি ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর সে দেশের সংকটেও আবার জড়িয়ে পড়তে চান না তিনি৷ আপাতত ইরাকি সরকার ও কুর্দিদের সীমিত ও বিচ্ছিন্ন সহায়তা দিয়ে চলেছে ওয়াশিংটন৷ সেইসঙ্গে ইরাকের পর সিরিয়ার আকাশেও আইসিস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে মার্কিন প্রশাসন৷ খোদ জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জেনারেল মার্টিন ডেম্পসে এমন হামলার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷

জেনারেল ডেম্পসে সামরিক হামলার পাশাপাশি এই সংকটের রাজনৈতিক সমাধানসূত্রেরও উল্লেখ করেছেন৷ তাঁর মতে, সিরিয়া ও ইরাকে সুন্নিরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে৷ আইসিস-এর সমর্থনের ভিত্তিই এই সম্প্রদায়৷ ইরাকে নতুন সরকার দেশের সব সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের ফলে অনেক অঞ্চলে শাসনযন্ত্র কার্যত ভেঙে পড়ায় রাজনৈতিক অগ্রগতির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না৷

Islamischer Staat Fahne
‘‘আইসিস ইসলাম ধর্মের জন্য অপমানজনক’’ছবি: picture alliance / AP Photo

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোইয়ুনো বলেছেন, আইসিস ইসলাম ধর্মের জন্য অপমানজনক৷ টিউনিশিয়াও আইসিস গোষ্ঠীর বর্বরোচিত অপরাধের তীব্র নিন্দা করেছে৷ আইসিস-এর কার্যকলাপ যে সার্বিকভাবে ইসলাম ধর্মের ভাবমূর্তির ক্ষতি করছে এমন উপলব্ধি বেড়েই চলেছে৷ ফলে বেশ কিছু মুসলিম রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছেন৷

এসবি/ডিজি (এপি, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান