1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইবোলার কবল থেকে ফিরে আসার পর...

সাক্ষাৎকার: রিচার্ড ওয়াকার/এসি১৩ অক্টোবর ২০১৪

লাইবেরিয়ায় মিশনারি হিসেবে কাজ করার সময় ইবোলা বা এবোলা রোগে আক্রান্ত হন ন্যান্সি রাইটবোল৷ বিমানযোগে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষামূলক জিম্যাপ ওষুধটি দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করা হয়৷ ডিডাব্লিউ-কে সে কাহিনিই শোনালেন ন্যান্সি৷

https://p.dw.com/p/1DU7O
USA Ebola-Überlebender Nancy Writebol
ছবি: DW/R. Walker

ডয়চে ভেলে: লাইবেরিয়ায় প্রথম যখন অসুস্থ বোধ করেন, তখন আপনার কী অনুভূতি হয়েছিল?

ন্যান্সি রাইটবোল: প্রথমে মনে হয়েছিল যেন ম্যালেরিয়া৷ আসলে খুব জ্বর হয়েছিল, আর কোনো লক্ষণ ছিল না৷ ম্যালেরিয়ার টেস্ট করাতে দেখা গেল, পজিটিভ৷ কাজেই আমি বাড়ি গিয়ে ম্যালেরিয়ার ওষুধ খেতে শুরু করি৷ চার দিন বাড়িতেই ছিলাম, নড়াচড়া করিনি, ওষুধ খেয়েছি৷ কিন্তু অবস্থা যা ছিল, তা-ই রয়ে গেছে৷ তখন আমাদের ডাক্তার বলেন, ‘‘ন্যান্সি, আমি তোমার ইবোলা টেস্ট করাতে চাই৷ তোমার ইবোলা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না, কেননা তোমার অন্য কোনো লক্ষণ নেই৷ কিন্তু ইবোলা টেস্ট করালে আমাদের সকলেরই মন শান্ত হবে৷'' ডাক্তার টেস্ট করালেন – বিকেলবেলা তার রেজাল্ট এলো: পজিটিভ৷

আপনার অবস্থা ক্রমেই আরো খারাপের দিকে যায়৷ আপনার কি পুরোটা সময় জ্ঞান ছিল?

সবসময়ে নয়, তবে মাঝেমধ্যে৷ আমার স্বামী ডেভিড বলেন, কোনো কোনোদিন আমি উঠে বসে ওর সঙ্গে কথা বলেছিল, হয়ত কিছু খেয়েছিও৷ কিছু কিছু আমার মনে আছে – আবার অনেকটাই মনে নেই৷ অনেকটা সময় ঘুমিয়েছি, বলে আমার মনে আছে – আর মনে আছে, দিনগুলো কী রকম মেঘলা আর বৃষ্টিবাদল ছিল৷ আমি খুবই দুর্বল ছিলাম৷ একা উঠে দাঁড়াতে পারতাম না, ডাক্তার কিংবা নার্সদের সাহায্য নিতে হতো৷ দিন দিন যেন আরো দুর্বল হয়ে পড়ছিলাম৷ খুব খারাপ সময় গেছে৷

আপনার চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে আপনাকে জিম্যাপ সেরাম দেওয়া হয়৷ মাত্র ছ'জন রোগীকে এই ওষুধটি দেওয়া হয়েছে৷ আপনার কি তার ফলে কোনো সমস্যা হয়েছিল?

সে সময়ে নয়৷ ওটা একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ হওয়ার কারণে আমরা ভেবেছিলাম, ‘‘আমি কি সত্যিই ঐ ওষুধটা নেব?'' কোনো এক সময় আমি ড. কেন্ট ব্র্যান্টলিকে টেলিফোন করি (ব্র্যান্টলি ন্যান্সির এক সহকর্মী, যিনি অনুরূপভাবে ইবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত হন; ব্র্যান্টলি জেডম্যাপ সেরামটি পরীক্ষা করেছিলেন)৷ আমি তাঁকে জিগ্যেস করি: ‘‘তুমি কি ঐ ওষুধটা নিয়েছ?'' উনি বলেন, ‘‘আমি সেটা করব কিনা, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই৷'' তখন আমি তাঁকে বলি, ‘‘তুমি না নিলে, আমিও নেবো না৷'' (পরে ন্যান্সি অনেক দোনামোনা করার পর ওষুধটা নিতে মনোস্থির করেন)৷

আপনাকে একটি বেসরকারি বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়, অ্যাটলান্টার এমোরি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য৷ বিমানযাত্রার কোনো খুঁটিনাটি আপনার মনে আছে?

আমাকে যখন বিমানে তোলা হয় আর ডেভিডের কাছ থেকে বিদায় নিতে হয়, তখন মনে হয়েছিল: আর কি কখনো ওর সঙ্গে দেখা হবে?...যে সব ডাক্তার আর নার্স উড়ালের সময় আমার দেখাশোনা করেছিলেন, তাদের কথা মনে আছে৷...উড়ালের সময় আমার সারাক্ষণ ভীষণ তেষ্টা পাচ্ছিল, কেন না আমি পুরোপুরি ‘ডিহাইড্রেটেড' হয়ে গেছিলাম৷...উড়ালের সময় আমি সবসময় সজ্ঞানে ছিলাম বলে আমার মনে হয় না৷

সুস্থ হয়ে ওঠার কথা নিশ্চয় মনে আছে?

আমার সেই দিনটা মনে আছে, ডাক্তাররা যেদিন ঘরে ঢুকে বলেন: ‘‘ন্যান্সি, তোমার বিপদ কেটেছে৷ তুমি বেঁচে যাবে৷''...আমি শুধু বলি: ‘‘প্রভুর কৃপা৷''....মনে আছে, আমার নাতিকে কোলে নিতে পেরে আমার কী রকম আনন্দ হয়েছিল৷

ন্যান্সি রাইটবোল সার্ভিং ইন মিশননামের একটি খ্রিষ্টীয় সংগঠনের হয়ে লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়ার একটি ইবোলা কেন্দ্রে কাজ করছিলেন৷ ৫৯ বছর বয়সি নার্স ন্যান্সির আদিবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা প্রদেশে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য