1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন সংকট সমাধানে অগ্রগতি

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে৷ বেলারুশে স্বাক্ষরিত বোঝাপড়া অনুযায়ী, দু’পক্ষের মধ্যে ‘বাফার জোন’ সৃষ্টি হবে৷ লুগানস্ক ও দোনেৎস্কের জন্য তিন বছরের স্বায়ত্তশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেন৷

https://p.dw.com/p/1DH2D
ছবি: picture-alliance/dpa

গত ৫ই সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও রুশপন্থি বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তা কিছুতেই কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছিল না৷ দুই পক্ষই একে-অপরের বিরুদ্ধে বার বার চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে৷ এই অবস্থায় গত শনিবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ইউক্রেনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ও ইউক্রেনীয় সরকারের প্রতিনিধিরা এক নয়'দফা বোঝাপড়া চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷ এর আওতায় দু'পক্ষই তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার সীমানা বা ‘ফ্রন্টলাইন' থেকে ১৫ কিলোমিটার পিছিয়ে যাওয়ার কথা৷ ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সংহযোগিতা সংগঠন ওএসসিই-র পর্যবেক্ষকরা এই এলাকা মনিটর করবেন৷ উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে তাদের ৮০ জন নিরস্ত্র পর্যবেক্ষক সেখানে সক্রিয় রয়েছেন৷

তবে সোমবার এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলেছেন, ‘বাফার জোন' সৃষ্টি করার বিষয় যে বোঝাপড়া হয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম৷ বিদ্রোহী নেতা আন্দ্রেই পুরগিন রাশিয়ার ইটার-টাস সংবাদ সংস্থাকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা অত্যন্ত কম৷ তাছাড়া ‘বাফার জোন'-এর বিষয়টি সবচেয়ে কঠিন৷

Petro Poroschenko redet vor dem US-Kongress
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোছবি: Reuters

ইউক্রেনের সরকার অবশ্য সোমবার জানিয়েছে, তারা দ্রুত এই চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু করবে৷ তবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেন, বিদ্রোহীরা এ বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগ দেখাচ্ছে না৷ তারা ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো রবিবার এক টেলিভিশন সংক্ষাৎকারে বলেন, এই বাফার জোন কার্যকর হলে সেনাবাহিনীকে আবার নতুন করে সাজানো সম্ভব হবে৷ তাছাড়া শুধু সামরিক উপায়ে এই যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব হবে না৷

উল্লেখ্য, পোরোশেঙ্কো লুগানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের জন্য তিন বছরের স্বায়ত্তশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ রুশপন্থি বিদ্রোহী নেতা ও স্বঘোষিত ‘প্রধানমন্ত্রী' ইগর প্লটনিটস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সরকার এটিকে ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' বা যে নামই দিক না কেন, কোনো এলাকার উপর ইউক্রেনের আইন বলবৎ না হলেই হলো – যা কার্যত স্বাধীনতারই নামান্তর৷

রাশিয়ার চাপ কার্যত মেনে নিয়ে পোরোশেঙ্কোর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন ইউক্রেনের চরম জাতীয়তাবাদী নেতারা৷ এই বিষয়টিকে সামনে রেখে আগামী ২৬শে অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে তাঁরা ভালো ফল করতে চান৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য