1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অ্যামেরিকা অঞ্চলে শীতল যুদ্ধ শেষের শুরু'

১৮ ডিসেম্বর ২০১৪

যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারও চালু করার ঘোষণায় এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন চিলির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেরাল্ড মুনোস৷ একই রকম ইতিবাচক মন্তব্য শোনা গেছে বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের কাছ থেকে৷

https://p.dw.com/p/1E6iX
Bildergalerie Kuba - USA Flüchtlinge Exilkubaner
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/T. Chapman

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো বুধবার এই নবসূচনার ঘোষণা দেন৷ ওবামা বলেন, গত ৫০ বছর দেখিয়েছে যে, বিচ্ছিন্নতা কাজ করেনি৷ সময় এখন নতুন কিছু করার৷ উল্লেখ্য, ১৯৬১ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না৷

কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তাঁর দেশের উপর মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এই নিষেধাজ্ঞা কিউবার বর্তমান অর্থনৈতিক দুর্দশার অন্যতম কারণ বলে গণ্য করা হয়৷

নতুন এই ঘোষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র এবার হাভানায় একটি দূতাবাস খুলবে৷ এছাড়া দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে৷ ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বারও উন্মোচিত হবে৷

আঠারো মাসের প্রচেষ্টার পর এই ঘোষণা এসেছে, বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে৷ দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেন৷ এ ব্যাপারে পোপ ফ্রান্সিসেরও সহযোগিতা নেয়া হয়৷ কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা, দুদেশেই পোপের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ ওবামা তাঁর বক্তব্যে পোপের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন৷

পোপ ফ্রান্সিস যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেন, বিশ্বব্যাপী অনেক সংঘাতের ঘটনার মধ্যে এটা একটি খুব ভালো খবর৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগেরিনি বলেন, এর ফলে ‘আরেকটি প্রাচীর পতনের সূচনা ঘটল'৷

কংগ্রেস কি উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাধা হতে পারে?

এই প্রশ্নও এখন দেখা দিয়েছে৷ কারণ ওবামার ঘোষণার সমালোচনা করেছেন অনেক রাজনীতিবিদ, বিশেষ করে রিপাবলিকানরা৷ ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ, যিনি পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী, তিনি কিউবার বিরুদ্ধে আবারও জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে৷ আরেক রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ ইলেনা রোস-লেটিনন ওবামার পদক্ষেপকে ‘বিপথগামী' উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে কাস্ত্রো সরকার আরও শক্তিশালী হবে৷

আগামী মাসেই মার্কিন কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে রিপাবলিকান দল৷ তখন রিপাবলিকানরা ওবামার উদ্যোগ ভেস্তে দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে৷ বার্তা সংস্থা এপি অবশ্য মনে করছে তার সম্ভাবনা খুবই কম৷

জেডএইচ/এসি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)