1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাই সাহায্য, সমালোচনা নয়

আলেক্সান্ডার ফ্রয়েন্ড/এসি৩০ এপ্রিল ২০১৫

নেপালে আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছাতে শুরু করেছে, যদিও প্রয়োজন অনেক বেশি৷ তবে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটির আর যাই হোক, বহির্বিশ্বের সমালোচনার কোনো প্রয়োজন নেই, বলে আলেক্সান্ডার ফ্রয়েন্ড-এর ধারণা৷

https://p.dw.com/p/1FI05
Nepal Erdbeben Hilfsaktion Hilfseinsatz Deutschland Rotes Kreuz
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Hanschke

আবার একটি দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হানা দিয়েছে৷ আবার সেই সব মর্মান্তিক ছবি: ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহর, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মানুষ৷ স্বয়ং মাউন্ট এভারেস্ট-এ ধস নেমে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কিছু পর্বতারোহী এই সাত দশমিক আট শক্তির ভূমিকম্পে৷ হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দেশটিতে আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছাতে শুরু করেছে বটে, কিন্তু প্রয়োজন আরো বেশি ত্রাণসাহায্য এবং আরো বেশি ত্রাণকর্মীর – কেননা এটা স্পষ্ট যে, নেপালের পক্ষে একা এই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়৷

নেপালের ভূমিকম্প প্রকৃতির রোষের বিরুদ্ধে আমাদের অক্ষমতার কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও আমরা অনেক কিছু করতে পারি: যারা প্রাণে বেঁচেছেন, তাদের সাহায্য করা; ভূমিকম্প ত্রাণে মুক্তহস্তে দান করা, যা জার্মানদের পক্ষে সহজ কাজ৷ এখানে মনে রাখতে হবে: পেশাদারি ত্রাণের সূচনাই এই অজানা দাতাদের দানে৷

সমালোচনা নয়

নেপালের বিপর্যয়গ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য সারা পৃথিবীর সংহতি দেখে সত্যিই অনুপ্রাণিত হতে হয়৷ অপরদিকে ত্রাণসাহায্যের একাংশ মূলত মিডিয়ার মনোযোগ আকর্ষণ করার আশায়: দাতারা চান, ত্রাণসামগ্রীর কনটেইনারের ওপর তাদের লোগো যেন ভালোভাবে চোখে পড়ে৷ তা সত্ত্বেও বলা যায়: ত্রাণসাহায্য কোথা থেকে এলো, তা বড় কথা নয়৷ বড় কথা: ত্রাণসাহায্য আসছে, এসে পৌঁছাতে শুরু করেছে৷

ত্রাণকার্য ঢিমেতালে চলেছে বলে সমালোচনা করার সময়ও এটা নয়৷ নেপালের মতো একটি দরিদ্র দেশে অনেক কিছুর সমালোচনা করা চলে: সরকারের অক্ষমতা, আমলাতন্ত্রের বাড়াবাড়ি, ব্যাপক দুর্নীতি৷ সংকটের মুহূর্তে সে সব প্রসঙ্গ তুলে কোনো লাভ আছে কি?

Freund Alexander Kommentarbild App
আলেক্সান্ডার ফ্রয়েন্ড, ডয়চে ভেলে

শিল্পোন্নত দেশগুলির ক্ষমতাও সীমিত

শিল্পোন্নত দেশগুলিতেও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে থাকে এবং সে সব দেশও তার মোকাবিলা করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে৷ জাপান ভূমিকম্পের দেশ; তাদের অবকাঠামো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলানোর উপযোগী করে তৈরি৷ তা সত্ত্বেও চার বছর আগের সুনামিতে জাপানে পনেরো হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷ আজ বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও কাট্রিনা ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে৷

শিল্পোন্নত দেশগুলিতে আগে থেকে বিপর্যয়ের আঁচ পাবার বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা আছে৷ কিন্তু ২০১০ সালে হাইতি, কিংবা ২০১৫ সালে নেপালের ভূমিকম্প ঘটে কোনোরকম নোটিশ না দিয়ে৷ এ'সব দেশের মানুষরাও জানেন যে, তারা ভূমিকম্পের এলাকায় বাস করেছেন৷ কিন্তু ভূকম্পন সামলানোর উপযোগী বাড়ি তৈরি করার খরচ দেবে কে এবং কোথা থেকে?

দীর্ঘমেয়াদি ফলশ্রুতি

নেপালের পক্ষে এই ভূমিকম্পের দীর্ঘমেয়াদি ফলশ্রুতিও কিছু কম হবে না৷ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংক্রান্ত বহু মন্দির ও ভবন বিনষ্ট হয়েছে৷ প্রভাবিত হবে পর্যটন শিল্প, যা কিনা নেপালের অর্থনীতির মেরুদণ্ড৷ আগামীতে দেখা যাবে, আন্তর্জাতিক সাহায্য বজায় থাকবে কিনা, কেননা মিডিয়া ঝুঁকবে পরবর্তী বিপর্যয় এবং পরবর্তী বিপর্যয়গ্রস্ত দেশের দিকে৷

কাজেই আমাদের সবজান্তা মনোভাব ছেড়ে উচিত, নেপালকে সাহায্য করা; অযাচিত পরামর্শের পরিবর্তে কম্বল, ওষুধপত্র আর পানি পরিশোধনের সরঞ্জাম পাঠানোই ভালো৷ নেপালের মানুষ বাকিটা তাদের এই নিদারুণ অভিজ্ঞতা থেকেই শিখবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য