1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীর যৌন উদ্দীপক বড়ির উৎপাদন স্থগিত

৯ অক্টোবর ২০১০

মেয়েদের জন্য পুরুষদের নীল বড়ি মানে ভায়াগ্রার মতোই এক ওষুধের খোঁজ চলছিল বেশ কয়েক বছর ধরে৷ জার্মান এক উৎপাদক খানিকটা সফলতা দেখিয়েছে এই খাতে৷ কিন্তু বাধ সাধলো মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷

https://p.dw.com/p/PZvO
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/dpa

জার্মান ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িন্গার ইনজেলহাইম গবেষণা চালাচ্ছিল ‘পিংক ভায়াগ্রা' নিয়ে৷ নারীর যৌন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করবে এটি৷ বিশেষ করে যেসব নারীর মধ্যে যৌন আকাঙ্খা কম তারাই ছিল এই ওষুধের মূল লক্ষ্য৷

কিন্তু মার্কিন খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাধ সাধলো এই বড়ির উৎপাদনে৷ কেননা, গত জুনে এক পরীক্ষায় ‘পিংক ভায়াগ্রা'র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ মার্কিন পরীক্ষায় দেখা গেছে, মেয়েদের যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে এই বড়ির কার্যকারিতা খুবই কম৷ তাছাড়া এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ১৫ শতাংশ মেয়ে পরীক্ষার মাঝ পথেই বড়ি গ্রহণ থেকে বিরত ছিল৷ অভিযোগ উঠেছে, এটি নারীর মধ্যে বিষন্নতা বাড়াতে পারে, এমনকি মূর্ছা যাওয়ারও কারণ হতে পারে এই যৌন উদ্দীপক বড়ি৷

‘পিংক ভায়াগ্রা' নিয়ে তাই আর বাড়াবাড়িতে যেতে চায় না জার্মান উৎপাদক৷ সংস্থাটি শুক্রবার জানিয়েছে, নারীর যৌন উদ্দীপক বড়ির উৎপাদন বন্ধ রাখা হচ্ছে৷ এটির নিবন্ধন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যত জটিলতা থেকে দূরে থাকতেই এমন সিদ্ধান্ত৷ আপাতত তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রকল্পের দিকেই নজর দেবে বোয়িন্গার৷

বর্তমানে বোয়িন্গারের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে স্ট্রোক প্রতিরোধে নতুন ওষুধ নিয়ে গবেষণা৷ এছাড়া ডায়েবেটিস এবং ক্যান্সারের নানা ওষুধ তৈরির দিকেও নজর দিচ্ছে সংস্থাটি৷

উল্লেখ্য, ১২ বছর আগে পুরুষের যৌন উদ্দীপক ভায়াগ্রা বাজারে আসে৷ এরপর থেকেই নারীর জন্য যৌন উদ্দীপক বড়ির চাহিদাও বাড়তে থাকতে৷ এই খাতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনাও দেখছে উৎপাদকরা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা