1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেক্সিকোর মাদক নিয়ন্ত্রকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

১৬ মার্চ ২০১০

মেক্সিকোয় অ্যামেরিকান কনসুলেট কর্মীর মৃত্যুর এই ঘটনার পর নড়ে চড়ে বসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই৷ এবার মেক্সিকোর তদন্তকারীদের সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনার তদন্তে নামার ঘোষণা দিয়েছে তারা৷

https://p.dw.com/p/MTvY
মেক্সিকোর মাদক নিয়ন্ত্রক বিভাগের এক সদস্য ধ্বংস করছে মারিজুয়ানার গাছছবি: picture-alliance / dpa

পৃথিবীর অন্যতম অপরাধপ্রবণ শহর মেক্সিকোর অধ্যুষিত সিউদাদ জুয়ারেজের মার্কিন কনসুলেটের কর্মচারী লেসলি ইনরিকুয়েজ, তাঁর স্বামী এবং এক বছরের শিশুকে নিয়ে যখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন, ঠিক তখনি গাড়িটিকে থামিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা৷ গুলি ছুঁড়ে হত্যা করে স্বামী এবং স্ত্রীকে৷ বেঁচে যায় শিশুটি৷ গত শনিবার ঘটে এই ঘটনা৷ একই দিন অপর একটি গাড়িতে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে ছিলেন মার্কিন কনসুলেটের আরেক কর্মী মেক্সিকান নাগরিক জর্জ সারসিডো৷ সন্ত্রাসীরা তাঁকেও গুলি করে হত্যা করে৷ প্রাণে বেঁচে যান তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা৷

এই হচ্ছে মেক্সিকোর নিত্য ঘটনার দুই-একটি উদাহরণ৷ প্রতিদিন সেখানে হত্যার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ৷ কিন্তু কারা এই হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে? একটিই উত্তর৷ আর তা হলো মাদক চোরাকারবারিরা৷ মাদক চোরাকারবারি গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে মেক্সিকোতে৷ গত তিন বছরে মাদক মাফিয়াদের সৃষ্ট সহিংসতায় মারা গেছে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ৷ এর মধ্যে কেবল ২০০৯ সালেই সিউদাদ জুয়ারেজেই মারা গেছে দুই হাজার ৬০০ মানুষ৷

অ্যামেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ক্যালডেরনকে সব ধরণের সহায়তা দিতে রাজী তারা৷ আন্ত:সীমান্ত সমঝোতা সহযোগিতার মাধ্যমেই এই কাজ করা হবে৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এই কাজে যা প্রয়োজন তার সব কিছুই সরবরাহ দিতে তাঁরা প্রস্তুত৷ তিনি জানিয়েছেন, মাদক চোরাকারবারিদের প্রতিহত এবং নিশ্চিহ্ন করতে প্রয়োজন অর্থ এবং আগ্নেয়াস্ত্র৷ এই সব সহায়তা দিতে রাজী যুক্তরাষ্ট্র৷

Symbolgrafik: FBI und Kapitol
ছবি: AP

এখানে বলে রাখা ভালো, ২০০৬ সালে ফিলিপ ক্যালডেরন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেন৷ পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশব্যাপী বর্তমানে ৫০ হাজার সৈন্য অভিযান পরিচালনা করছে৷ মেক্সিকোয় মাদক চোরাকারবারি চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াশিংটন মেক্সিকোকে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইতিমধ্যেই৷

মেক্সিকোর উত্তর সীমান্তে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; দক্ষিণ ও পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর; দক্ষিণ-পূর্বে গুয়াতেমালা, বেলিজ ও ক্যারিবিয়ান সাগর; এবং পূর্বে মেক্সিকো উপসাগর৷ প্রায় ২০ লাখ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত মেক্সিকোর ভৌগলিক এই সুবিধাগুলোই মূলত মাদক ব্যবসার একটি স্বর্গরাজ্য হিসাবে দাঁড় করিয়েছে তাকে৷ সাতটি মাফিয়া গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে মেক্সিকোর মাদক চোরাচালান৷ ২১টি মেক্সিকান প্রদেশে এই চোরাকারবারীরাই মূলত মারিজুয়ানা সরবরাহ করছে বিভিন্ন স্থানে৷ মাদকের ব্যবসার নিরাপত্তার জন্য তারা ব্যবহার করছে আধুনিক ভারী অস্ত্র৷ নিজেদের ব্যবসা সুসংহত করতে মাফিয়া গ্রুপগুলো বশ করে নিয়েছে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যকে৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী