1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজেরিয়ার সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৭ শতাধিক

২ আগস্ট ২০০৯

নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী ও ‘বোকো হারাম’ গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে পাঁচ দিনের সংঘর্ষে নিহতদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাইদুগুরিতে বোকো হারামের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ৭০০'রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/J27h
ইতিমধ্যে ৭০০-রও বেশি লাশ উদ্ধারছবি: AP

মৃতদেহের খোঁজ এখনও চলছে৷ নাইজেরিয়ার রেডক্রস ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা রবিবার একথা জানিয়েছেন৷ নাইজেরিয়ায় রেডক্রসের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলিউ মাইকানো বলেন, আমাদের হিসাব অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৭৮০৷ গোটা শহরে লাশ খোঁজার জন্য একটি যৌথ দল মোতায়েন করা হয়েছে৷ রেডক্রস মুখপাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, কয়েকদিন ধরে রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে থাকায় ঐ অঞ্চলে মারাত্মক রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে৷

ওদিকে, রাজধানী আবুজায় এক ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেবল মাইদুগুরি শহরেই ৭০০'রও বেশি লাশ গণকবর দেওয়া হয়েছে৷ বেশিরভাগ মৃতদেহই বোকো হারামের নেতা মোহাম্মদ ইউসুফের আস্তানার আশেপাশে সমাহিত করা হয়েছে৷ এটি ছিল তাদের সদর দপ্তর৷ বর্নো রাজ্যের সরকারি মুখপাত্র উসমান শিরোমা বলেছেন, শহরের রাস্তা থেকে মৃতদেহগুলোকে সরিয়ে ফেলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ মূলত, কারো আত্মীয়-স্বজনই মৃতদেহগুলো নিতে আসেনি৷ তাই সরকার সেগুলোকে গণকবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷

Karte Unruhen in Nigeria
মানচিত্রে নাইজেরিয়ার সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলছবি: DW

এক সপ্তাহ আগে পুলিশ স্টেশনে হামলার চক্রান্ত করার সন্দেহে বোকো হারামের কয়েকজন সদস্য গ্রেপ্তার হওয়াকে কেন্দ্র করে বাউচি শহরে গোলযোগ শুরু হয়৷ দলের অনুসারীরা এরপর থেকে টানা পাঁচদিন চারটি রাজ্যে সশস্ত্র সহিংস তৎপরতা চালায়৷ তবে, মুসলিম বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য, নাইজেরিয়ার এই ভয়াবহ সহিংসতা শুধুমাত্র ধর্মীয় উগ্রতার ফল নয় বরং সেখানকার জনগণের মাঝে বিদ্যমান দারিদ্র্য ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ৷

বোকো হারামের নেতা মোহাম্মদ ইউসুফকে বৃহস্পতিবার পুলিশি হেফাজতে থাকাকালে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ এর মধ্য দিয়ে সহিংসতার অবসান ঘটবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের৷ তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো পুলিশি হেফাজতে ইউসুফের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে৷ নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইয়োরুবার সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন আফেনিফেরা রিনিউয়াল গ্রুপ ইউসুফ হত্যার তদন্ত দাবি করেছেন৷ তাদের মতে, ইউসুফকে প্রকাশ্য বিচারের মুখোমুখি করলে আরো নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতো৷ এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউসুফের মৃত্যুকে 'অবৈধভাবে হত্যা' বলে আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন