বিতর্কিত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ
২৮ মে ২০০৯বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শেখ হাসিনা এই মতামত জানান৷
সিলেটের বিপরীতে ভারতের মনিপুরে এই বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে৷
বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণকে বাংলাদেশকে ধ্বংসের পাঁয়তারা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন৷ তিনি বাংলাদেশের মানুষকে বাঁধ নির্মাণের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, এশিয়ান হাইওয়ে নামে বর্তমান সরকার ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ খালেদা জিয়া-র৷ ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক দ্য হিন্দু জানিয়েছে এই তথ্য৷
হিন্দু জানায়, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শিব শংকর মেনন বাংলাদেশ সফর করেন এবং বাংলাদেশের একটি সংসদীয় কমিটিকে মনিপুর পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান৷
এদিকে, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে ভারত এই বাঁধ নির্মাণ করলে বাংলাদেশের সুরমা ও কুশিয়ারা নদী পানিশূণ্য হয়ে পড়বে বলে দাবি করছেন পরিবেশবিদরা৷ একাধিক সংসদ সদস্যেরও মত সেরকমই৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, যদি বাঁধটি নির্মাণ করা হয়, তাহলে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী দুটি শুকিয়ে যাবে৷ অর্থমন্ত্রীর মতামতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন জানিয়েছেন, এই বাঁধ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর৷
ভারত অবশ্য বলছে, এই বাঁধ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর নয়৷
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সরগরম বাংলাদেশের সুশীল সমাজও৷ তাঁদের দাবি, এই বাঁধ নির্মাণ করা হলে সিলেটের সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে, নদী এবং সংলগ্ন খালগুলোও পানিশূণ্য হয়ে পড়বে, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে অনেক সাধারণ মানুষের উপর৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক