1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিতর্কিত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ

২৮ মে ২০০৯

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সব দলের সাংসদদের নিয়ে গঠিত একটি সংসদীয় কমিটি টিপাইমুখ প্রকল্প পরিদর্শন করবে৷ সেখানে বাঁধ নির্মাণ করে ১৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে চায় ভারত৷

https://p.dw.com/p/HzQY
ছবি: AP

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শেখ হাসিনা এই মতামত জানান৷

সিলেটের বিপরীতে ভারতের মনিপুরে এই বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে৷

বাংলাদেশের বিরোধী দলের নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণকে বাংলাদেশকে ধ্বংসের পাঁয়তারা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন৷ তিনি বাংলাদেশের মানুষকে বাঁধ নির্মাণের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, এশিয়ান হাইওয়ে নামে বর্তমান সরকার ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ খালেদা জিয়া-র৷ ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক দ্য হিন্দু জানিয়েছে এই তথ্য৷

Wahlkampagne in Bangladesch
বেগম খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)ছবি: Mustafiz Mamun

হিন্দু জানায়, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শিব শংকর মেনন বাংলাদেশ সফর করেন এবং বাংলাদেশের একটি সংসদীয় কমিটিকে মনিপুর পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান৷

এদিকে, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে ভারত এই বাঁধ নির্মাণ করলে বাংলাদেশের সুরমা ও কুশিয়ারা নদী পানিশূণ্য হয়ে পড়বে বলে দাবি করছেন পরিবেশবিদরা৷ একাধিক সংসদ সদস্যেরও মত সেরকমই৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, যদি বাঁধটি নির্মাণ করা হয়, তাহলে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী দুটি শুকিয়ে যাবে৷ অর্থমন্ত্রীর মতামতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন জানিয়েছেন, এই বাঁধ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর৷

ভারত অবশ্য বলছে, এই বাঁধ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর নয়৷

টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সরগরম বাংলাদেশের সুশীল সমাজও৷ তাঁদের দাবি, এই বাঁধ নির্মাণ করা হলে সিলেটের সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে, নদী এবং সংলগ্ন খালগুলোও পানিশূণ্য হয়ে পড়বে, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে অনেক সাধারণ মানুষের উপর৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক