1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুয়ান্তানামোর বন্দিদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে বিতর্ক

১৩ মে ২০০৯

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বছরের মধ্যে কিউবার গুয়ান্তানামো বে'র মার্কিন বন্দিশিবির বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁর কর্মকালের দ্বিতীয় দিনের মাথাতেই৷ ২০১০ সালের মধ্যেই এই বন্দিশালা বন্ধ করে দেওয়া হবে৷

https://p.dw.com/p/HozO
ছবি: dpa

সেই নির্দেশনা দেবার সময়ে ওবামা বলেছিলেন, যে তিনি যে এই প্রতিশ্রুতি শুধু নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় দিয়েছেন, এমন নয়৷ জাতির স্থপতিদের ভাবনার সঙ্গে সংগতি রেখেও তাঁর এই সিদ্ধান্ত৷

সে সময়ে তিনি ঐ বন্দিশিবিরে আটক সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিষিদ্ধ করা সহ সিআইএ'র গোপন কারাগারগুলো বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন৷এর আগে প্রকাশিত সেনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু ঘারিব, গুয়ানতানামো বে বন্দিশালা বা আফগানিস্তানে বন্দি নির্যাতনের ঘটনায় শুধু নিম্নপর্যায়ের সেনাদের দোষারোপ করা ঠিক হবে না, এর সঙ্গে নীতিনির্ধারক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জাড়িত ছিল৷

কিউবার গুয়ান্তানামো শিবিরে বিনা অভিযোগে বছরের পর বছর ধরে বন্দীদের আটক রাখা এবং কঠোর পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেই মনে করেন মার্কিন নাগরিকরা৷ তখন এই ঘোষণাকে স্বাগত জানানো হয়েছিল৷ জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভোল্ফগাং শয়েবলে সে সময়ে বলেন, গুয়ানতানামো বন্দীশিবির সৃষ্টিটাই ভুল ছিল ৷ সেখানে যে সকল বন্দীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তাদের অতি সত্তর মুক্তি দেওয়া উচিত৷

এখন চলছে এই বন্দিশালা বন্ধের বিভিন্ন কার্যক্রম৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এই বন্দিদের কারা গ্রহণ করবে৷ এরই মধ্যে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এখানকার সর্বাধিক প্রচারিত বিল্ড পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই বন্দিশালার বন্দিদের বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য প্রেরণ করেনি যার মাধ্যমে এদের জার্মানিতে গ্রহণ করা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়৷ বিল্ডের রিপোর্ট অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে বন্দি ৯জন চীনা নাগরিককে গ্রহণ করতে জার্মানিকে অনুরোধ করেছে৷ বর্তমানে গুয়ান্তানামো কারাগারে ৫০ জন বন্দী রয়েছেন, যারা নির্যাতনের ভয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক নন৷ বার্লিনে মার্কিন এ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার বলেন, শীঘ্রই গুয়ান্তানামো থেকে ৩০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করছে ওয়াশিংটন৷ তাই ইউরোপীয় বন্ধুরা এবার এই বন্দিদের আশ্রয় দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷

গুয়ানতামোর বন্দিদের গ্রহণ করা না করা নিয়ে বেশ বির্তক রয়েছে৷ এই বির্তকের বিষয়টি আরও জোরদার হচ্ছে জার্মানির এ বছরের নির্বাচনকে সামনে রেখে৷ এবার দেখার পালা ভবিষ্যতে কি হয়?

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক