1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছোঁয়াচে রোগ ইনফ্লুয়েঞ্জা

৩ মে ২০০৯

ইনফ্লূয়েঞ্জা নামটি আমরা সকলে কমবেশি জানি৷ সাধারণভাবে তা ফ্লু নামে পরিচিত৷ সাধারণত অর্থোমাইক্সোভিরিডাএ ভাইরাসগুলো থেকেই এই ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হয়ে থাকে৷ স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে৷

https://p.dw.com/p/Hj5m
সোয়াইন ফ্লু ঠেকাতে মেক্সিকোতে সতর্কতা (ফাইল ফটো)ছবি: AP

ফ্লূ হওয়ার লক্ষণ কি? সাধারণত জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশীতে ব্যথা, কাশি, দুর্বলতা এগুলো হচ্ছে ফ্লুর লক্ষণ৷ কখনো কখনো বমিও হতে পারে৷ বিশেষ করে ফ্লু হলে রোগীর অবশ্যই কাশি এবং জ্বর হবে৷ ফ্লু এর মাত্রা বেশি হয়ে গেলে রোগীর নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে৷

সাধারণত হাঁচি ও কাশির মধ্য দিয়ে ফ্লুর ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তাতে আক্রান্ত হয়৷ পাখীর মল থেকেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে৷ এছাড়া লালা এবং রক্ত থেকেও ফ্লুর ভাইরাস ছড়ায়৷ তাই যেখানে ফ্লু দেখা দেয় সেখানে হাঁচি, কাশি, কিংবা থুথু ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে৷

গবেষকদের তথ্য মতে প্রতি বছর গোটা বিশ্বে বিভিন্ন ধরণের ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে আড়াই লাখ থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে৷ তবে এ ধরণের ফ্লু যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করে তখন তা গোটা বিশ্বে অল্প সময়ের মধ্যে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে৷ সাধারণত প্রতি তিন চার দশকে এমনটি দেখা যায়৷ যেমন ১৯১৮ সালে ১৮ মাসের মধ্যে গোটা বিশ্বে চার কোটি লোক মারা গিয়েছিলো৷ ১৯৬৮ সালে আরেক ধরণের ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলো প্রায় ১০ লাখ মানুষ৷ গত কয়েক বছর ধরে আমরা বার্ড ফ্লুর কথা শুনে আসছি৷ এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়ছে৷ সর্বশেষ এখন সোয়াইন ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে৷ মেক্সিকো থেকে শুরু হয়েছে এই ফ্লু৷ তবে ক্রমেই তা মহাদেশ থেকে মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷ ইতিমধ্যেই সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক