1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদী আরবে ফতোয়া বিষয়ক সম্মেলন

ফাহমিদা সুলতানা২৩ জানুয়ারি ২০০৯

সৌদী আরবের মক্কা নগরীতে গত ১৭-ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিশ্বের মুসলিম চিন্তাবিদদের এক সম্মেলন৷ পাঁচদিন ব্যাপী এই সম্মেলনে আলোচনার বিষয় ছিল ফতোয়া এবং এর বিধান৷ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ (এমডব্লিউএল)৷

https://p.dw.com/p/GfAq
অনেকে মনে করেন ভুলভাবে ফতোয়া জারি করে নারী অধিকার ক্ষুন্ন করা হয় ...ছবি: AP

ইসলামে ফতোয়া জারি করার বিধান নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷ যার যখন ইচ্ছে ফতোয়া জারি করতে পারেন না৷ তাই ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী না হয়ে, দক্ষতা এবং নৈপুণ্যের সঙ্গে আধুনিক যুগের আলোকে ফতোয়া দেয়ার বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয় সম্মেলনে৷ সম্মেলনের আয়োজকরা বলছেন, ইসলামে ফতোয়া ইস্যু করার কোন কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ না থাকায়, এই সম্মেলন থেকে পুরো বিষয়টির ওপর তারা একটি দিক নির্দেশনা পেয়েছেন৷

মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল তুর্কী বলেছেন, ইসলামী আইন বা শারিয়ার বিধি বিবেচনা না করেই এবং এই বিষয়টি গভীর ভাবে না জেনেও অনেক সময় ফতোয়া জারি করে থাকেন কেউ কেউ৷

বলা হয়ে থাকে, কোরআন শরীফ এবং কয়েক শতাব্দীর ইসলামী চিন্তার আলোকে ইসলামী চিন্তাবিদরা ফতোয়া জারি করেন৷ মানুষের জীবনের অনেক ছোট-খাটো বিষয় এবং অনেক বড় ধরনের বিষয়ের ওপরও ফতোয়া দেয়া হয়৷ এমনকি সৌদী আরবের মত দেশগুলো, যেখানে শারিয়া বা ইসলামী আইন ব্যাবহৃত, সেই দেশের আইনের ভিত্তি হিসেবে, সেখানে আদালতের বিভিন্ন মামলায় ফতোয়াকে আদালতের রায়ের জন্যেও ব্যাবহার করার বিধান রয়েছে৷অর্থনৈতিক লেনদেন এবং চিকিৎসা থেকে শুরু করে, একজন মুসলিম মহিলাকে কোন পোশাক পরতে হবে এবং ইসলামের শত্রু হিসেবে অভিযুক্ত একজনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে, এর সবকিছুতেই সেখানে ফতোয়ার ব্যাবহার প্রচলিত একটি ব্যাপার৷

উল্লেখ করা যেতে পারে যে ব্রিটিশ-ভারতীয় ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির, “দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'' বইটির জন্যে ইরানের আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি, তাকে হত্যার ফতোয়া জারি করেছিলেন৷ এই ঘটনার পর রুশদিকে বছরের পর বছর আত্মগোপন করে থাকতে হয়েছে৷ এই ফতোয়া অবশ্য বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলোতে ব্যাপকভাবো সমালোচিত হয়৷

সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়দার নেতা ওসামা বিন লাদেনের কাছ থেকেও ১৯৯৮ সালে মার্কিনবিরোধী ফতোয়া আসে৷ এমনকি ফতোয়া জারির বিষয়টি অনেক সময় সংশ্লিসষ্ট সরকারের জন্যেও সমস্যা সৃষ্টি করে৷ এমনই এক ঘটনা ঘটে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে৷ গাজায় ভয়াবহ ইসরায়েলী হামলা পরিপ্রেক্ষিতে, ইসরায়েলীদের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে এক ফতোয়া জারি করেন শেখ আওয়াদ আল কারনী৷ এই ফতোয়া জারির পর সৌদী সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে৷