গ্রীম ভাইদের রূপকথা: সোনার হাঁস
৩ অক্টোবর ২০০৮সেই গাছ বাজারে বিক্রি করতে হবে৷ ওরা তিন ভাই৷ ও বড়৷জঙ্গল দিয়ে হেটে যাচ্ছে৷ মা তাকে খাবার জন্য বানিয়ে দিয়েছে ডিমের কেক৷ আর সঙ্গে এক বোতল পানীয়৷ হাটতে হাটতে আচমকা তার সঙ্গে দেখা হলো এক লোকের৷ ধূসর রঙের চুল লোকটির৷ ছেলেটিকে সে বনের পথে শুভেচ্ছা জানালো৷ বললো,
: আমাকে এক টুকরো কেক দিতে পারো৷ আর একটু পানীয়৷
ছেলেটি বললো
: আমি তোমাকে কেন খাবার দেবো৷ তুমি তো আমার কেউ নও৷ তারপর লোকটিকে পাশ কাটিয়ে সে চলে গেল৷
একটি পুরানো গাছ পেলো সে৷ গাছটি শুকিয়ে গেছে৷ সারা গায়ে সবুজ রঙ্গের শ্যাওলা জমেছে৷ এই গাছটি কাটলে বেশ হয়৷ তারপর যেই না ঐ গাছটি কাটতে গেলো তখনই তার কুঠার গেলো ভেঙ্গে৷ ভাঙ্গা কুঠার দিয়ে তো আর গাছ কাটা যায় না৷ অগত্যা বাড়ি ফিরে গেলো সে৷
এবার যাত্রা শুরু করলো মেজ ছেলে৷ মা তাকেও একই ধরনের খাবার দিয়ে দিল৷ সঙ্গে পানীয়৷ পথে যেতে যেতে তার সঙ্গেও দেখা হলো সেই ধূসর রঙের চুলের লোকটির৷ এবারও লোকটি খাবার চাইলো৷ বড় ভায়ের মতো তারও একই জবাব৷
বললো
: আমার খাবারে কাউকে ভাগ দিতে পারবো না৷
এ কথা বলেই সে একটি গাছের কাছে গেলো৷ যেই না গাছ কাটা শুরু করবে তখনই কুড়ালটি ছিটকে এসে পড়লো তার পায়ের উপর৷ টনটন করে উঠলো তার পা৷ এ অবস্থায় তো আর গাছ কাটা যায় না৷ তাই আস্তে আস্তে বাড়ি ফিরে গেল সে৷
বাবার বারণ উপেক্ষা করে এবার বনে গেল ছোট ভাই৷
দেখা হলো সেই ধূসর চুল ওয়ালা লোকটির সঙ্গে... কি হলো এরপর?