তামিমের চিত্র প্রদর্শনী
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২বাংলাদেশের তরুণ আঁকিয়ে জলিলুর রাব্বি তামিম৷ ইতিমধ্যে ঢাকায় অবস্থিত অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ-এ তাঁর তিনটি একক শিল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ২০০৬ সালে তাঁর শিল্পকর্মের প্রথম প্রদর্শনী হয়৷ এরপর ২০০৮ এবং ২০১০ সালে আরো দু'টি প্রদর্শনী করেন৷ আর এবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে তিন মাসের আবাসিক কর্মসূচিতে অংশ নেন শিল্পী তামিম৷ সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁর কাজগুলো নিয়ে পাঁচ দিনের একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি৷
ডয়চে ভেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্যারিসে তাঁর আবাসিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তামিম বলেন, এটাকে ‘আর্টিস্ট ইন রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম' বলা হয়৷ এটা বিশ্বের একটি বড় আবাসিক কর্মসূচি৷ এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রায় ৩০০ শিল্পী থাকেন৷ শিল্পীরা এখানে প্রত্যেকে একটি করে স্টুডিও সম্বলিত আবাসন সুবিধা পান৷ তাদের কাজ হলো নিজের কাজ নিয়ে গবেষণা চালানো এবং আরো উৎকর্ষ সাধন করা৷ এখানে তারা নতুন করে কাজ করতে পারেন এবং প্রদর্শনীও করতে পারেন৷
নিজের শিল্পকর্ম নিয়ে প্যারিসে অনুষ্ঠিত একক প্রদর্শনী সম্পর্কে শিল্পী তামিম জানান, ‘‘এখানে শিল্পীরা প্রদর্শনী করার ব্যাপারে স্বাধীন থাকেন৷ এখানে গ্যালারি আছে দুটো৷ শিল্পীরা চাইলে সেখানে প্রদর্শনী করতে পারেন কিংবা ওপেন স্টুডিও করতে পারেন৷ কেউ যদি কোনটিই করতে না চান তাতেও কোন সমস্যা নেই৷ আমি এখানে একটি প্রদর্শনী করলাম খুব সম্প্রতি৷ কারণ একজন শিল্পী হিসেবে ছবির শহর, কবিতার শহর প্যারিসের ব্যাপারে আমারও একটি আলাদা অনুভূতি এবং আকর্ষণ রয়েছে৷ সেই কারণে আমার অনেক আগে থেকেই আগ্রহ ছিল প্যারিসে একটি প্রদর্শনী করার৷ আমি বিশেষভাবে লাল রং নিয়ে কাজ করছি বছর খানিক ধরে৷ ফলে সেই কাজেরই একটা প্রতিফলন ছিল আমার এই প্রদর্শনীতে৷''
বাংলাদেশের শিল্পীরা কীভাবে ফরাসি সরকারের এই আবাসিক কর্মসূচিতে আরো বেশি অংশগ্রহণ করতে পারেন, এ ব্যাপারে জলিলুর রাব্বি তামিমের পরামর্শ, ‘‘বাংলাদেশ থেকে কেউ আসতে চাইলে নিজে থেকে আবেদন করতে পারেন৷ আবার ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত হয়েও এই আবাসিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে৷ তবে আমি বলবো, এ ধরণের কর্মসূচির জন্য হাতে কিছুটা সময় নিয়ে আবেদন করা উচিত৷ কারণ এসব কর্মসূচির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে একটু বেশি সময় লাগে৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম