1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন দূত ব্রাহিমি

১৮ আগস্ট ২০১২

আলজেরিয়ার কূটনীতিক লাখদার ব্রাহিমিকে সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত নির্বাচন করা হয়েছে৷ তবে তিনি বলছেন, তাঁর কাজটা বেশ কঠিন৷

https://p.dw.com/p/15sJ5
ছবি: picture-alliance/dpa

বর্তমান বিশেষ দূত কোফি আনান তাঁর পদে থাকতে চাইছেন না৷ তাই তিনি এ মাসের শুরুতে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান৷ কোফি আনানের স্থান পূরণে শুক্রবার ব্রাহিমির নাম ঘোষণা করে জাতিসংঘ৷

সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে নিজের দেয়া প্রস্তাবের প্রতি আন্তর্জাতিক বিশ্বের পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়ায় কোফি আনান পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন৷

নতুন নিয়োগ পাওয়া ব্রাহিমিও বলেছেন, তাঁর কাজটা বেশ কঠিন৷ ফ্রান্স ২৪ টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বন্ধ করার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী নন৷ তবে তা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী৷

এদিকে ব্রাহিমির নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়া বলেছে, তারা আশা করে ব্রাহিমি কোফি আনানের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবেন৷ এছাড়া জেনেভায় ‘অ্যাকশন গ্রুপ অফ সিরিয়া'র বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে তা তিনি মেনে চলবেন৷

রাশিয়া ছাড়াও সিরিয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের মতের সঙ্গে তফাৎ থাকা আরেক দেশ চীন৷ তারাও ব্রাহিমিকে সহায়তার কথা জানিয়েছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশ্টন এক বিবৃতিতে ব্রাহিমিকে সমর্থন জানানোর অঙ্গীকার করেছেন৷

আলজেরিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাহিমি আরব লিগের প্রতিনিধি হিসেবে আশির দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধ শেষ করায় সহায়তা করেন৷ সেসময় তাঁকে তখনকার সিরীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়েছে৷

এছাড়া সেপ্টেম্বর ১১ হামলার আগে ও পরে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের দূত হিসেবেও কাজ করেন ব্রাহিমি৷ এরপর ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরাক আক্রমণের পর সেখানে জাতিসংঘের দূতের দায়িত্ব পালন করেন ব্রাহিমি৷

এদিকে, সিরিয়ায় ‘নো-ফ্লাই জোন' বলবতের প্রস্তাবে রাশিয়া সমর্থন জানাবে না বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ৷ উল্লেখ্য, জাতিসংঘের কোনো সদস্য এখনো নো-ফ্লাই জোনের প্রস্তাব না দিলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না৷

সিরিয়ার সরকারি বাহিনী শনিবারও আলেপ্পোর বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

সিরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের সময় রবিবার শেষ হচ্ছে৷ এর প্রাক্কালে মিশন প্রধান জেনারেল বাবাকার গায়ে সিরীয় সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য সরকার, বিদ্রোহী দুপক্ষকেই দায়ী করেছেন৷

লন্ডন ভিত্তিক ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস' এর হিসেবে শুক্রবার সিরিয়ায় নিহত হয়েছে ১২৯ জন৷

সব মিলিয়ে সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজারের মতো বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা৷

জেডএইচ / এআই (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য