1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

১৬ আগস্ট ২০১২

বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার আর্জি৷ বিধানসভার এক অনুষ্ঠানে মতা বন্দোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, আজকাল নাকি টাকা দিয়ে আদালতের রায় কেনা যায়৷

https://p.dw.com/p/15qib
ছবি: AP

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজনীতি এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত নয়৷ বহুক্ষেত্রেই টাকার বিনিময়ে রায় কেনা হয়৷ এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকেও ছাড়েননি তিনি৷ তাঁর মতে, কিছু সাংবাদিক এবং সংবাদ সংস্থার মধ্যে পেইড নিউজের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷

বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে এই ধরণের মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক দেশজুড়ে৷ এরই জের ধরে কলকাতার কিছু আইনজীবী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে আবেদন রাখেন যে, আদালত যেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা গ্রহণ করেন৷ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন মঞ্জুর করে৷ পাঁচটি মিডিয়া সংস্থাকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাষণের রিপোর্টের হলফনামা দাখিল করতে বলা হয়৷ তারপর ঠিক করা হবে যে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার মামলা আনা যায় কিনা৷ এ ব্যাপারে আগামীকাল শুনানি হওয়ার কথা৷

Indien Mamata Banerjee
স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ছবি: DW

আজ কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে ধিক্কার মিছিল করেন আইনজীবীরা৷ দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরাও প্রতিবাদে সোচ্চার হন৷ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সালমান খুরশিদ অবশ্য মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ‘বেনিফিট অফ ডাউট' দিয়ে বলেন যে, বিচার বিভাগকে হেয় করার উদ্দেশ্য ওনার ছিলনা৷ পক্ষান্তরে বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে চেয়েছেন তিনি৷

অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ডয়চে ভেলেকে বললেন, টাকা দিয়ে বিচার কেনা যাচ্ছে, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো মারাত্মক কথা৷ যে রায়গুলি ওনার পক্ষে গেছে সেগুলি ছাড়া৷ ওভাবে মন্তব্য করা যায়না৷ রায় পছন্দ না হলে আপিল করা যায়৷ সে অধিকার সকলেরই আছে৷ এখানে গোটা বিচারবিভাগকে গালাগাল দেয়া অনুচিত৷

তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জি মনে করেন, এতে আদালত আবমাননা হয়নি৷ আদতে এটা একটা সাধারণ মন্তব্য৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য