1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মসজিদে স্পিকারের ব্যবহার

৩ আগস্ট ২০১২

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় মসজিদের মাইক নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ শব্দ দূষণ কমাতে নিয়ম পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছেন অনেকে৷

https://p.dw.com/p/15jbF
ছবি: AP

রমজান মাসে রোজা রাখছেন বেরিঙিন কুসুমা৷ কিন্তু সমস্যা হলো, তাঁর বাড়ি মসজিদের পাশেই৷ রাতে শোবার সময় কানে প্লাগ লাগিয়ে শুতে হয়৷ না হলে স্পিকারে আযানের শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়৷ বছরের বাকি সময় তার মাত্রা মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও রমজানের সময় মসজিদে কার্যকলাপ অনেক বেড়ে যায়৷ তখন শুধু আযান নয়, ভোরে সেহরি'র সময়ও জানিয়ে দেওয়া হয় লাউডস্পিকারের মাধ্যমে৷ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ সেহরি করতে হয়৷ কিন্তু রাত আড়াইটা থেকেই তা ঘোষণা করা হতে থাকে৷ তাছাড়া রাতদিন কোরান পাঠ করা হয়৷ ১৯শে আগস্টের আগে-পরে ঈদ পর্যন্ত এমনটাই চলতে থাকবে, বলেন ২২ বছর বয়স্ক কুসুমা৷

Moschee Indonesien Jakarta
রমজান মাসে মসজিদের আকর্ষণ বেড়ে যায়ছবি: AP

প্রায় ২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৮ লক্ষ মসজিদ আছে বলে অনুমান করা হয়৷ ফলে অনেক সময় ছোট এলাকায়ও তিন-চারটি মসজিদ থেকে স্পিকারে জোরালো শব্দে আযান বা অন্যান্য ঘোষণা শোনা যায়৷ অনেকের পক্ষে এই তীব্র শব্দ সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে৷ এই অবস্থায় পর্যটকেরাও বিস্মিত হয়ে পড়েন৷ বছর দুয়েক আগে লম্বক দ্বীপে এক গেস্ট হাউসের মার্কিন মালিক বিরক্ত হয়ে মসজিদের স্পিকারের তার কেটে দিয়েছিলেন৷ ধর্মের অবমাননার দায়ে তার ৫ বছরের জেল হয়৷

ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষও রয়েছেন৷ এমনকি অনেক মুসলিমও মনে করেন, যে ইসলাম ধর্মে কোথাও লাউড স্পিকারের মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবাবেগ প্রকাশের কথা বলা হয় নি৷ জাকার্তা শহরের এক হাসপাতালের কর্মী আনিতা রিজকি বলেন, ‘‘আমার অ-মুসলিম প্রতিবেশীদের সামনে অপরাধবোধ হয়৷ কারণ মসজিদের লাউডস্পিকারের শব্দে তাদের প্রায় সারা রাত জেগে থাকতে হয়৷ '' ডাক্তাররাও এই তীব্র শব্দ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন৷ কান বিশেষজ্ঞ রনি সুভেন্তো বলেন, বিশেষ করে যারা মসজিদের খুব কাছে থাকেন, তাদের জন্য এমন মাত্রার শব্দ খুবই বিপজ্জনক৷

ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৩ দশক পুরানো বিধিনিয়ম অনুযায়ী মসজিদ চালানো হয়৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী মসজিদে লাউডস্পিকারের ব্যবহার মোটেই বে-আইনি নয়৷ কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শব্দের ডেসিবেল মাত্রা এত বেড়ে গেছে, যে সেই আইনে পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছেন অনেকেই৷ স্বয়ং ভাইস প্রেসিডেন্ট বোয়েদিনো মসজিদগুলির উদ্দেশ্যে শব্দের মাত্রা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ বলেছেন, দূর থেকে আযানের নরম শব্দ শুনতে পেলে তা হৃদয় ছুঁয়ে যায়৷ খুব কাছ থেকে তীব্র আওয়াজের ফল হয় বিপরীত৷

এসবি / এএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য